স্টাফ রিপোর্টার
নড়াইল জেলা জাতীয় পার্টির বর্তমান সভাপতি ও সাবেক সভাপতির সমর্থকদের মধ্যে হাম’লা-পাল্টা হাম’লার ঘটনা ঘটেছে। আজ শুক্রবার (৮ নভেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টায় লোহাগড়ার সিএন্ডবি চৌরাস্তা (কুন্দসী) এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। জাতীয় পার্টির পরিচয়ে একদল লোক সভা-সমাবেশ করার সময় জেলা জাতীয় পার্টির বর্তমান সভাপতি এ্যাডভোকেট ফায়েকুজ্জামান ফিরোজের নেতৃত্বে তার সমর্থকরা বাধাপ্রদান করলে হা’মলা-পা’ল্টাহা’মলার ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, নড়াইল জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি এ্যাডভোকেট ফায়েকুজ্জামান ফিরোজের নেতৃত্বে শুক্রবার বেলা ১১টায় কুন্দসী সরকারি প্রাইমারি স্কুলের পাশে দলের অস্থায়ী কার্যালয়ে যৌথ কর্মী সম্মেলন চলছিল। ওই কর্মী সম্মেলন শেষে নেতৃবৃন্দ জানতে পারেন সিএন্ডবি স্ট্যান্ডের পাশে জাতীয় পার্টির ব্যানার ব্যবহার করে জাতীয় পার্টি থেকে বিভিন্ন অভিযোগে বিতা’ড়িত ও বহি’ষ্কৃত কয়েকজন এনপিপির (ন্যাশনাল পিপলস পার্টি) সমর্থক সভা-সমাবেশ করছেন। পরে নড়াইল জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতির নেতৃত্বে তার সমর্থকরা তখন সিএন্ডবি স্ট্যান্ডের ওই সভাস্থলে আসেন। দলের সভাপতি সভাস্থলে পৌঁছেই কর্তব্যরত পুলিশ কর্মকর্তার সাথে কথা বলতে থাকেন।
সভাপতি পুলিশকে বলছিলেন, আমি জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি। আমি অন্যত্র দলের সভা করলাম। আর এখানে জাতীয় পার্টি পরিচয়ে যারা সভা করছে তারা এনপিপির সদস্য। তারা জাতীয় পার্টি থেকে বিতা’ড়িত এবং বহি’ষ্কৃত। তিনি ওই সভা বন্ধের দাবি জানান। এসময় জেলা জাতীয় পার্টির সাবেক সভাপতি শরীফ মুনির হোসেনের সমর্থকরা বর্তমান সভাপতির সমর্থকদের ওপর লা’ঠিসোটা নিয়ে হা’মলা চালায়। ওই সময় দু’পক্ষের সং’ঘর্ষ বেঁধে যায়। হা’মলায় দু’পক্ষের অন্তত ৪-৫জন কমবেশি আহ’ত হয়েছেন। আহতরা স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছেন।
জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি সভাপতি অ্যাডভোকেট ফায়েকুজ্জামান ফিরোজ বলেন, শরীফ মুনির হোসেন জাতীয় পার্টির সাবেক সভাপতি ছিলেন। তিনি এখন জাতীয় পার্টি থেকে বহি’ষ্কৃত। সদ্য সমাপ্ত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শরীফ মুনির হোসেনসহ কয়েকজন বিএনপির নেতৃত্বাধীন এনপিপি’তে (ন্যাশনাল পিপলস পার্টি) যোগ দেন। এখন ওইসব নেতাদের সাথে জাতীয় পার্টির কোনো সম্পর্ক নেই। আমি ও আমার সমর্থকরা ঘটনাস্থলে গিয়ে সভা বন্ধ করতে প্রশাসনকে অনুরাধ করলে আমার সমর্থকদের ওপর হা’মলা চালালে দু’পক্ষের সং’ঘর্ষ বেঁধে যায়।
এদিকে, শরীফ মুনির হোসেন পক্ষের নেতা আবুল হাসান চঞ্চল বলেন, আমরাই জাতীয় পার্টি। আমরা সভা করছিলেন বর্তমান সভাপতির সমর্থকরা বাধা প্রদান করায় বি’শৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টি হয়। লোহাগড়া থানার ওসি (তদন্ত) আমানুল্লা-আল বারী বলেন, পুলিশ সুপারসহ লোহাগড়া থানা পুলিশের অনুমতি নিয়ে কয়েকজন লোক জাতীয় পার্টি পরিচয়ে সিএন্ডবি স্ট্যান্ডে সভা-সমাবেশ করছিলেন। এসময় জেলা জাতীয় পার্টির বর্তমান সভাপতি ও তার সমর্থকরা ওই সভায় বাধা দিলে বি’শৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।