নিউজ ডেস্ক
আজ ২০ নভেম্বর, ২০১৯ কবি বেগম সুফিয়া কামাল এর ২০তম মৃত্যুবার্ষিকী আগামীকাল। ১৯৯৯ সালের এই দিন সকালে বার্ধক্যজনিত কারণে ইন্তেকাল করেন সুফিয়া কামাল। সম্পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যদায় ২৮ নভেম্বর তার ইচ্ছানুযায়ী তাকে আজিমপুর কবরস্থানে সমাহিত করা হয়। জননী সাহসিকার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে পৃথক বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সুফিয়া কামাল ১৯১১ সালের ২০ জুন বেলা ৩টায় বরিশালের শায়েস্তাবাদস্থ রাহাত মঞ্জিলে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের পর সুফিয়া কামাল পরিবারসহ কলকাতা থেকে ঢাকায় চলে আসেন। ভাষা আ’ন্দোলনে তিনি সক্রিয়ভাবে অংশ নেন এবং এই আন্দোলনে নারীদের উদ্বুদ্ধ করেন। তিনি ১৯৫৬ সালে শিশু সংগঠন কচিকাঁচার মেলা প্রতিষ্ঠা করেন।
পাকিস্তান সরকার ১৯৬১ সালে রবীন্দ্র সঙ্গীত নি’ষিদ্ধের প্রতিবাদে সংগঠিত আন্দোলনে তিনি জড়িত ছিলেন। এবং তিনি ছায়ানটের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। ১৯৬৯ সালে মহিলা সংগ্রাম কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হন এবং গণঅ’ভ্যুত্থানে অংশ নেন।
১৯৭০ সালে তিনি মহিলা পরিষদ প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৭১ সালের মার্চে অসহযোগ আ’ন্দোলনে নারীদের মিছিলে নেতৃত্ব দেন। মুক্তিযু’দ্ধের সময় তার ধানমন্ডির বাসভবন থেকে মুক্তিযো’দ্ধাদের সহায়তা দেন। স্বাধীন বাংলাদেশে নারী জাগরণ ও নারীদের সমঅধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামেও তিনি উজ্জ্বল ভূমিকা পালন করেন। ১৯৯০ সালে স্বৈরা’চার বিরোধী আন্দোলনে অংশগ্রহণসহ কা’র্ফু উপেক্ষা করে নীরব শোভাযাত্রা বের করেন।
সাম্প্রদা’য়িকতা ও মৌ’লবাদের বিরুদ্ধে কবি আজীবন সংগ্রাম করেছেন। প্রতিটি প্রগতিশীল আ’ন্দোলনে অংশ নিয়েছেন তিনি। সাঁঝের মায়া, মন ও জীবন, শান্তি ও প্রার্থনা, উদাত্ত পৃথিবী ইত্যাদি তার উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ। এ ছাড়া সোভিয়েতের দিনগুলি এবং একাত্তরের ডায়েরী তার অন্যতম ভ্রমণ ও স্মৃতিগ্রন্থ।
সুফিয়া কামাল দেশ-বিদেশের ৫০টিরও বেশী পুরস্কার লাভ করেছেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য বাংলা একাডেমী পুরস্কার, সোভিয়েত লেনিন পদক, একুশে পদক, বেগম রোকেয়া পদক, জাতীয় কবিতা পরিষদ পুরস্কার ও স্বাধীনতা দিবস পদক। (সূত্রঃ বাসস)
