ডেস্ক রিপোর্ট
মোটরযান আইন ২০১৮ কার্যকর হওয়ার পর থেকে নতুন সড়ক পরিবহন আইন সংশোধনের দাবিতে সারাদেশে বিচ্ছিন্নভাবে চলছে সড়ক ধ’র্মঘট। ফলে দূরপাল্লার রুটের যাত্রীরা পড়েছেন চরম দু’র্ভোগে। শ্রমিকেরা রাস্তাঘাটে নেমে শ্রমিকেরা ভা”ঙচু’র করছেন। নতুন আইন কার্যকর হওয়ার পর থেকে পরিবহন চালক-মালিকেরা চিত্র নায়ক ও নিরাপদ সড়ক চাই সংগঠনের চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চনকে দু’ষছেন। এমনকি গাজীপুরে ইলিয়াস কাঞ্চনের গা’লে জু’তা মা’রার কথা লিখে ব্যানার টানানো হয়েছে। অনেকের ধারণা মোটরযান আইন ২০১৮ এর পেছনে তার ভূমিকা রয়েছে। এর থেকেই যত ক্ষো’ভ। বিষয়টি জানবার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ইলিয়াস কাঞ্চন লেখেন-
“আমি দৃঢ়ভাবে বলতে চাই, সড়ক পরিবহন আইনটি করা হয়েছে সড়কের শৃঙ্খলা ফেরানোর জন্য, সড়কে দুর্ঘটনা কমানোর জন্য। জে’ল বা জরিমানা আদায়ের জন্য নয়। কাউকে শা’স্তি দেবার উদ্দেশ্যে নয়। যদি আপনারা এই আইন সঠিকভাবে মেনে চলেন তাহলে সড়কে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে। আর যদি সড়কে শৃঙ্খলা ফিরেই আসে তাহলে আইনে জরিমানার ভ’য় কিসের?
আপনি অ’পরাধ করলেন আপনার জেল জরিমানা হবে। আপনি যদি অ’পরাধ না করেন তাহলে কেন আপনার জেল জরিমানা হবে? আমি বুঝতে পারছিনা নিজেদের সংশোধন না করে, সঠিক লাইসেন্স না নিয়ে, দক্ষতা অর্জন না করে, গাড়ির রেজিস্ট্রেশন ও ফিটনেস না নিয়ে উল্টো জেল-জরিমানার কথা বলে জনগণকে জি’ম্মি করে কেন অরা’জক পরিস্থিতির সৃষ্টি করা হচ্ছে?
অথচ একটু ধৈর্য্য ধরে আইনের ভেতরে গিয়ে পর্যালোচনা করলে দেখা যাবে এই আইনটিতে কাউকে এককভাবে দা’য়ী বা টা’র্গেট করা হয়নি। বিশেষ করে চালকশ্রেণীকে নয়। বরং তাদের পেশাগত মর্যাদা বৃদ্ধি, কর্মঘন্টা নির্ধারণ, নিয়োগপত্রসহ গাড়ি চালনায় সঠিক পরিবেশ তৈরির কথাও রয়েছে। তবুও কেন এই বিরো’ধিতা, কেন এই আইনকে মেনে না নিতে পারার মানসিকতা?” উল্লেখ্য, সড়ক দুর্ঘটনায় নিজের স্ত্রীর মৃত্যুর পর থেকেই তিনি নিরাপদ সড়ক চাই সংগঠন দিয়ে সড়কে নিয়মনীতি, আইন-শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে ব্যাপকভাবে আন্দো’লন করে আসছেন।