নিউজ ডেস্ক
শনিবার (২৩ নভেম্বর) দুপুরে কক্সবাজারের মহেশখালীতে ৯৬ জন জলদ’স্যু আ’ত্মসম’র্পণ করেছেন। মহেশখালীর কালারমারছড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের হাতে অ’স্ত্র ও গো’লাবা’রুদ জমা দিয়ে ১৮ বাহিনীর এসব জলদ’স্যু এবং অ’স্ত্রের কারিগর আ’ত্মসম’র্পণ করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘মহেশখালীতে যারা আ’ত্মসম’র্পণ করেছেন খু’ন ও ধ’র্ষণ ছাড়া তাদের বাকি সব মামলা তুলে নেওয়া হবে। স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে সরকারের পক্ষ থেকে তাদের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দেয়া হবে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যারা জলদ’স্যুতা, স’ন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়িত তাদের প্রত্যেকের নাম পরিচয় আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বা’হিনীর হাতে চলে এসেছে। একই সঙ্গে তাদের সহায়তাকারী প্রভাবশালী গডফা’দারদের তালিকাও তৈরী করা হয়েছে। স’ন্ত্রাসী ও গড’ফাদার কেউ আইনের হাত থেকে রেহাই পাবে না বলেও জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে আইজিপি ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বলেন, ‘বাংলাদেশের মাটিতে কোন জ’ঙ্গি, সন্ত্রা’সী ও অপ’রাধীর স্থান হবে না। যে কোন সময় ৯৯৯ নাম্বারে কল করে পুলিশের অনিয়মের বিরু’দ্ধেও বলতে পারবেন। সে যেই হোক অপরা’ধীর ছাড় নেই।’
পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনের সংসদ সদস্য জাফর আলম, কক্সবাজার-২ (কুতুবদিয়া-মহেশখালী) আসনের সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক, কক্সবাজার-৩ (সদর-রামু) আসনের সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল, পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক, কক্সবাজার জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তাক আহমদ চৌধুরী, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) ও ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আশরাফুল আফসার, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা, সাধারণ সম্পাদক ও কক্সবাজার পৌর মেয়র মুজিবুর রহমান বক্তৃতা করেন।
আত্মসমর্পণকারী প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকার আর্থিক অনুদান দেয়া হয়েছে। অনুষ্ঠানের পর অ’স্ত্র আইনের মামলায় তাদের গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আ’ত্মসম’র্পনকারীরা ১৩টি ৩০৩ রাই’ফেল, ১টি দেশীয় তৈরী দোন’লা ব’ন্দুক, ১৪১টি একনলা বন্দু’ক, ২৮টি ৩০৩ রা’ইফেলের গু’লি ও ২৫৫টি কার্তুজ জমা দিয়েছে। ২০১৮ সালের ২০ অক্টোবর র্যাবের মাধ্যমে মহেশখালী-কুতুবদিয়ার ৪৩ জলদ’স্যু আ’ত্মসম’র্পণ করে।