নিউজ ডেস্ক
স্ত্রীর অধিকার ও সন্তানের স্বীকৃতি পেতে ডেনমার্ক থেকে কুমিল্লায় এসেছেন নাদিয়া (২৯) নামের এক ড্যানিশ নারী। তার সাথে রয়েছে তিন বছর বয়সী একটি কন্যা সন্তান। গত ৩ দিন আগে ডেনমার্কের ওই নারী বাংলাদেশে এসে কুমিল্লা জেলার নাঙ্গলকোট উপজেলার আশারকোটা গ্রামে যান। ওই গ্রামের মফিজ মেম্বারের বাড়িতে গিয়ে অবস্থান নেন তিনি। নাদিয়ার দাবি, মফিজ মেম্বারের ছেলে সাইফ তার স্বামী। অভিযোগ উঠেছে, এ সময় প্র’তারক আখ্যা দিয়ে সাইফের বাড়ির লোকজন ওই নারীকে প্রহা’র করে।
মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) রাতে নাদিয়া গণমাধ্যমে জানান, প্রায় ১০ বছর আগে নাঙ্গলকোট উপজেলার আশারকোটা গ্রামের মফিজ মেম্বারের ছেলে সাইফ তাকে বিয়ে করে। এরই মধ্যে তাদের সংসারে জন্ম নেয় একটি কন্যা সন্তান। দীর্ঘ ১০ বছর বিবাহিত জীবনে নাদিয়ার পরিবার ও তার চাকরির বেতনের প্রায় ৫০ কোটি টাকা হা’তিয়ে নিয়েছেন সাইফ। এছাড়া সম্প্রতি সাইফ ডেনমার্ক থেকে বাংলাদেশে আসবে বলে নাদিয়ার কাছ থেকে প্রায় ৫০ হাজার ইউরো নিয়েছেন। তিন মাস আগে বাংলাদেশে আসে সাইফ। দেশে এসেই নাদিয়ার সঙ্গে সকল যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়।
খবর পাওয়া গেছে, দেশে এসে সাইফ বিয়ে করেছে। কুমিল্লার কোটবাড়ি এলাকার অনার্স পড়ুয়া এক মেয়েকে ডেনমার্ক নিয়ে যাবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়ে কৌশলে বিয়ে করেছে। গত সোমবার রাতে ড্যানিশ নারীকে গ্রামের বাড়ি থেকে কৌশলে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার পদুয়ার বাজার বিশ্বরোড এলাকার হোটেল নুরজাহানে নিয়ে আসে সাইফের বাড়ির লোকজন। পরে সেখান থেকে কুমিল্লা নগরীর রেইসকোর্স এলাকায় হোটেল রেডরোফ ইনে নেওয়া হয় তাকে।
হোটেলে থাকাকালীন সময়ে নাদিয়া বলেন, “সাইফ মঙ্গলবার সকালে ডেনমার্ক চলে গেছে। সে আমাকে ফোন করে বলেছে আমিও যেন চলে যাই। তাই আমার বাংলাদেশে থেকে লাভ কি? আমিও আজকে চলে যাচ্ছি।”
এদিকে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নাদিয়া কুমিল্লা জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজিম উল আহসান ও নাঙ্গলকোট থানার অফিসার ইনচার্জ মামুনুর রশিদের সঙ্গে সাক্ষাত করেন এবং বিষয়টি নিয়ে নাঙ্গলকোট থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন। এ বিষয়ে নিশ্চিত করে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজিম উল আহসান বলেন, “মঙ্গলবার রাত ৩টার ফ্লাইটে নাদিয়া ডেনমার্ক চলে গেছেন। তাকে আমরা বিমানবন্দর পর্যন্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছি।”