নড়াইল প্রতিনিধি
সন্তান কর্তৃক বৌমাকে শ্বাসরোধে হত্যার কথা স্বীকার করলেন শ্বশুর। রোববার (২৪ ফেব্রুয়ারী) নড়াইল প্রেসক্লাবে এসে এ কথা জানালেন নিহত গৃহবধূর শ্বশুর। নড়াইল পৌরসভার দূর্গাপুর এলাকায় এ ঘটনায় নিহত গৃহবধু আশা খাতুনের(২০) স্বামী রফিকুল ইসলামকে পুলিশ গ্রেফতার করছে।
নিহতের পরিবারের অভেযোগ, এক বছর আগে নড়াইল পৌরসভার দূর্গাপুর এলাকার আব্দুল গাফফারের ছেলে রফিফুলের সাথে বিয়ে হয় সদরের মাইজপাড়া ইউনিয়নের হোসেনপুর গ্রামের নুর ইসলামের মেয়ে আশা খাতুনের। বিয়ের পর থেকেই মাদকাসক্ত রফিকুল স্ত্রী আশাকে শারীরিকভাবে ও মানসিকভাবে নির্যাতন করতো এবং বিভিন্ন সময় রফিকুল ও তার মা টাকার জন্য ছেলের শ্বশুর বাড়িতে চাপ দিতো। টাকা না দিলে নেমে আসতো নির্যাতন। এরই জের ধরে গত শুক্রবার ( ২১ ফেব্রুয়ারী) ভোরে রফিকুল ও তার মা হনুফা আশাকে শারীরিকভাবে অত্যাচারের পর শ্বাসরোধে হত্যা করে। পরে বিষয়টি ভিন্ন দিকে প্রবাহিত করার জন্য গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় নিহতের বাবা নুর ইসলাম বাদী হয়ে শনিবার সদর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছে।
নিহতের শ্বশুর গাফফার মোল্যা রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে নড়াইল প্রেসক্লাবে এসে সাংবাদিকদের বলেন, আমার নেশাগ্রস্থ ছেলে রফিকুল ও তার মা হনুফা বৌমা আশাকে তার বাবার বাড়ি টাকা আনতে বলতো। না আনলে প্রায় শারীরিকভাবে নির্যাতন করতো। আমি প্রতিবাদ করলে আমাকেও মারতো। ঘটনার দিন ছেলে রফিকুল বৌমাকে বেদম প্রহার করে। পরে নিস্তেজ হয়ে গেলে ওড়না পেচিয়ে বৌমাকে শ্বাসরোধ করে মেরে ফেলে। তিনি ছেলে ও স্ত্রীর বিচার দাবি করেন।
নড়াইল সদর থানার ওসি ইলিয়াস হোসেন জানান, এ ঘটনায় সদর থানায় রফিকুল ও তার মায়ের বিরুদ্ধে আতহত্যার প্ররোচণা মামলা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসলে এটা হত্যা না আত্মহত্যা তা বোঝা যাবে। রফিকুলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অপর আসামীকে ধরার চেষ্টা করা হচ্ছে। মাদক সেবনের দায়ে রফিকুল কয়েক দফা জেল-হাজতও খেটেছে। সন্তান কর্তৃক বৌমাকে শ্বাসরোধে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন শ্বশুর গাফফার মোল্যা এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি (ওসি) এ বিষয়টি শোনেননি বলে জানান।