নড়াইলে প্রধান শিক্ষকের অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

1
751
নড়াইলে প্রধান শিক্ষকের অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত
নড়াইলে প্রধান শিক্ষকের অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

স্টাফ রিপোর্টার

নড়াইলে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এক প্রধান শিক্ষকের অনৈতিক কাজের প্রতিবাদ এবং তার অপসারনের দাবিতে স্কুলের ছাত্ররা মানববন্ধন করেছে। শনিবার (২৯ফেব্রুয়ারী) দুপুর ১২টায় সদরের ভদ্রবিলা ইউনিয়নের আর.বি.এফ.এম ভবানীপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনে শিক্ষার্থীরা মানববন্ধনন করে। মানববন্ধন চলাকালে বিদ্যালয়ের নবম শ্রেনীর ছাত্র নীরব শেখ, মহিদুল, বাদল, সাব্বির প্রমুখ বক্তব্য রাখে।

শিক্ষার্থীরা জানায়,প্রধান শিক্ষক এর আগে বিদ্যালয়ের একাধিক ছাত্রীর সাথে অনৈতিক কাজ করার পরও তার বিরুদ্ধে কোন শাস্তিমুলক ব্যাবস্থা নেওয়া হয়নি। তিনি আমাদের নৈতিক শিক্ষা দিবেন আর তিনি নিজেই খারাপ কাজ করছেন। আমাদের সহপাঠি এবং বোনদের বিভিন্ন অজুহাতে তিনি তার রুমে ডেকে নিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেয়। এই প্রধান শিক্ষকের শিক্ষকের কাছে আমাদের মেয়েরা নিরাপদ নয়। তাই আমরা এই প্রধান শিক্ষকের অধীনে কোন ক্লাস করবোনা।

জানা গেছে, সম্প্রতি ১০ম শ্রেণির এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানী করার ঘটনা সর্বমহলে জানাজানি হলে ওই ছাত্রীর বাবা প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি’র সভাপতি ও জেলা শিক্ষা অফিসার বরাবর। এ ঘটনার বিচার দাবি করেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্কুলের এক শিক্ষক এবং এলাকার একাধিক ব্যক্তি জানান, প্রধান শিক্ষক মোঃ শরিফুল ইসলাম আর.বি.এফ.এম ভবানীপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে যোগদান করার পর থেকে একের পর এক যৌন কেলেংকারীর ঘটনা ঘটিয়ে চলেছেন। এর আগে আরও ৩টি ঘটনা নানা মহলে দেন দরবারের মাধ্যমে প্রধান শিক্ষক শরিফুল ইসলাম ধামাচাপা দেন। বিষয়টি স্পর্শকাতর হওয়ায় যৌন হয়রানির শিকার ছাত্রীরা লজ্জা,সম্মান ও ভয়ে গোপন রাখে।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ শরিফুল ইসলাম বলেন, গত জানুয়ারী মাসের ৭ তারিখ থেখে ২৮ ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত মেডিকেল ছুটিতে ছিলেন। তিনি এ ধরনের ঘটনা সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে অবিহিত করেন। অভিযোগকারী মেয়ে ক্লাসের বাইরে থাকায় আমি তাকে শাসন করেছি মাত্র। তার বিরুদ্ধে কিছু ব্যক্তি ষড়যন্ত্রে লিপ্ত বলে মন্তব্য করেন।

এ ব্যাপারে জেলা শিক্ষা অফিসার এস.এম ছায়েদুর রহমান বলেন, ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ পেয়েছি। অভিযুক্ত মেয়ের সাক্ষাৎকার নিয়েছি। দু’এক দিনের মধ্যে প্রধান শিক্ষকের বক্তব্য নেওয়া হবে। অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষকের অপরাধের বিষয়টি প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় শাস্তির ব্যবস্থা নেওয়া হবে।