স্টাফ রিপোর্টার
নড়াইলে বিদেশ ফেরত ব্যক্তিদের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। এদের বড় অংশ হোম কোয়ারেন্টাইনে না থেকে যত্রতত্র ঘুরে বেড়াচ্ছে। ফলে এলাকায় বাড়ছে আ*তংক। এদের স্থানীয়ভাবে বাইওে ঘোরাঘুরি করতে নিষেধ করা হলেও তারা তা মানছেন না। আইন শৃংখলা বাহিনীকে বিষয়টি দেখতে বলা হলে তারা বলছেন, এটি স্বাস্থ্য বিভাগের দায়িত্ব। এদিকে স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে একার পক্ষে এ ভয়াবহ পরিস্থিতি মোকাবেলা করা সম্ভব নয়। এটি মোকাবেলায় সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
জেলার কালিয়া উপজেলার চাঁচুড়ি ইউনিয়নের চাঁচুড়ি গ্রামে লোকমান হোসেন নামে এক যুবক কয়েকদিন পূর্বে ফ্রান্স থেকে নিজ এলাকায় এসেছে। তিনি হোম কোয়ারেন্টাইনে না থেকে যত্রতত্রভাবে এলাকায় ঘোরাঘুরি করছেন। তাকে স্থানীয় কয়েক ব্যক্তি বাড়ির বাইওে বের হতে নিষেধ করলেও তিনি তা মানছেন না। এ ব্যাপারে স্থানীয় মনোরঞ্জন কাপুড়িয়া কলেজের অফিস সহকারী কবি সিপন সোহাগ এ প্রতিনিধিকে বলেন, লোকমানের বিষয়টি কালিয়া থানার ওসিকে জানালে ওসি বলেছেন বিষয়টি স্বাস্থ্য বিভাগকে জানান, এটা তাদের দায়িত্ব।
সম্প্রতি নড়াইল পৌরসভার দক্ষিণ নড়াইল ও মহিষখোলা এলাকায় দুজন বিদেশ থেকে নিজ এলাকায় এসেছেন। প্রশাসন থেকে এবং জনপ্রতিনিধির মাধ্যমে তাদের হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হলেও প্রকৃতভাবে তা মানছেন না।
নড়াইলের সিভিল সার্জন মোঃ আব্দুল মোমেন বলেন, প্রবাসিদের সংখা দিন দিন বাড়ছে। সর্বশেষ জেলায় ২০জন হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছে। বিদেশ থেকে আসা ব্যক্তিদের পর্যবেক্ষণে আইন শৃংখলা বাহিনী, প্রশাসন, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান, মেম্বর এবং বিভিন্ন ব্যক্তিবর্গ এগিয়ে না আসলে ভয়াবহ রূপ নিতে পারে বলে আশংকা প্রকাশ করেন। এটা সমস্যা একা স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষে সামলানো সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেন।
নড়াইলে করোনা পরীক্ষার জন্য থার্মাল স্ক্যানার, শনাক্তের জন্য কিটস, প্রয়োজনীয় পোষাক এবং জরুরি সেবা দেওয়ার জন্য কোনো আইসিইউ-এর ব্যবস্থাই নেই। তবে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছেন, করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের জন্য সদর হাসপাতালে ১০টি, কালিয়া উপজেলা হাসপাতালে ৫টি এবং লোহাগড়া হাসপাতালে ৫টি শয্যার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া ১টি মেডিকেল টিম, ১টি র্যাপিড রেসপন্স টিম, তথ্য আদান-প্রদানের জন্য একটি কন্ট্রোল টিম গঠন করা হয়েছে। সদর হাসপাতালের হট লাইন (০১৭৩০-৩২৪৮০১) নম্বরে যোগাযোগের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে এবং করোনা শনাক্তের জন্য আইইডিসিআর-এর মাধ্যমে হট লাইনের মাধ্যমে স্যাম্পল কালেকশানের ব্যবস্থা রয়েছে।