স্টাফ রিপোর্টার
মা*দক উদ্ধার ও মা*দক ব্যবসায়ী ধরতে গিয়ে নড়াইল জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশ সদস্যের সঙ্গে র্যাপিড অ্যা*কশন ব্যা*টালিয়ন (র্যাব) সদস্যের সংঘ*র্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় তদন্তে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। শনিবার দুপুর ১২.৪০টার দিকে উপজেলার লক্ষ্মীপুর গ্রামে ডিবি পুলিশ সদস্যের সঙ্গে র্যাব সদস্যের মা*রামা*রি হয়। এ ঘটনায় উভয়পক্ষের দুজন সদস্য আহত হন। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার পুরুলিয়া ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর গ্রামের হারুন কাজির পুকুর পাড়ে ইয়া*বা কেনাবেচা-হচ্ছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ক্রেতা সেজে শনিবার দুপুর ১২.৪০টার দিকে খুলনা র্যাব-৬ এর স্পেশাল কোম্পানির ওয়ারেন্ট অফিসার ডিএডি হাবিবুর রহমান ফো*র্স নিয়ে ঘটনা স্থলে পৌঁছায়। এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন নড়াইল জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশের উপ-পরিদর্শক সৈয়দ জমারত আলীর নেতৃত্বে ডিবি পুলিশের একটি দল।
এ সময় মা**দক উদ্ধারকে কেন্দ্র করে উভয়পক্ষের মধ্যে কথা কা*টাকা*টির এক পর্যায়ে তারা মা*রামা*রিতে জড়িয়ে পড়েন। একে অপরকে কি*ল-ঘু*ষি মা*রেন। রাস্তার মধ্যেই হা*তাহা*তিতে জড়িয়ে পড়েন র্যাব-ডিবি পুলিশ সদস্যরা। একে অপরকে হেলমেট দিয়ে মা*রতে থাকেন তারা।
দুই পক্ষ যখন মা*রামা*রিতে লিপ্ত তখন ঘটনাটি দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখেছেন স্থানীয় লোকজন ও পথচারীরা। এতে দুজন সদস্য আহত হন। ঘটনা শুনে র্যাব ও ডিবি পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনা স্থলে গিয়ে রাত আটটা পর্যন্ত দফায় দফায় বৈঠক করে উভয় পক্ষের দ্ব*ন্দ্বের অবসান ঘটান।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী লক্ষ্মীপুর গ্রামের বাসিন্দা বিল্লাল কাজী বলেন, ‘হঠাৎ চেঁ*চামেচির শব্দ শুনে ঘটনা স্থলে গিয়ে দেখি সাদা পোষাকধারি ডিবি ও র্যাবের সদস্যরা মা*রামা*রি করছে। ডিবির ৪ জনসহ মোট ৮/৯ জন সদস্য মা*রামা*রিতে অংশ নেয়। আমাদের কাউকে তাদের নিকট যেতে দেয়নি। তবে আমরা দূর হতে দেখি উভয়পক্ষ হেলমেট দিয়ে মা*রামা*রি করছে। এতে দুইজন সদস্য আহত হন। সকাল ১১ টা থেকে বিকাল পর্যন্ত তারা ঘটনাস্থলে অবস্থান করার পর এএসপি সার্কেল ও র্যাবের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এসে তাদের নিয়ে যায়।
এরপর রাত আনুমানিক ৮ টার দিকে খুলনার ডিআইজি অফিসের এএসপি জালাল উদ্দিন ঘটনা স্থলে এসে আমিসহ লক্ষ্মীপুর গ্রামের বাসিন্দা জিয়া কাজী, ইকবাল,তনু কাজীর স্ত্রী, রঘুনাথপুর গ্রামের আলমিরের সাক্ষ্য গ্রহণ করে।’
এ ঘটনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলামকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- এএসপি সার্কেল রিপন চন্দ্র সরকার ও ডিআইও ওয়ান ইকবাল।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন বলেন, ‘উভয় পক্ষ সিভিলে থেকে মা*দক উদ্ধার করতে যেয়ে ক্রেডিট নিতে গিয়ে ভুল বোঝাবুঝির সূত্র পাত্র হয়। এ ধরনের ঘটনা অনাকাংখিত।
এ ঘটনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলামকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। ডিআইজি অফিসের এএসপি জালাল উদ্দিন ও কালিয়া উপজেলার সার্কেল এএসপি রিপন চন্দ্র সরকার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। উভয় পক্ষের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা থেকে বিষয়টি সুরাহা করা হয়েছে।’
এএসপি সার্কেল রিপন চন্দ্র সরকার বলেন, ‘মা*দক উদ্ধারকে কেন্দ্র করে উভয়পক্ষের নিজেদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি হয়ে কথা কা*টাকা*টি হয়। এ ঘটনায় রাত ১১.৪৫ টার সময় কালিয়া থানায় মা*দক আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়। মামলায় লক্ষ্মীপুর গ্রামের মৃত জব্বার মোল্যার ছেলে কোবাদ মোল্যা (৪২)সহ অ*জ্ঞা*তনামা ৪/৫ জনকে আসামী করা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে ১১০ পিস ইয়া*বা ও দুই পিস বাঁশের লা*ঠি উদ্ধার করা হয়েছে।’