নিউজ ডেস্ক
করোনাভাইরাসে মৃত্যু-আক্রান্তের সর্বোচ্চ সীমা অতিক্রম করেছে যুক্তরাষ্ট্র। একইসাথে এক দিনে সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর রেকর্ড গড়েছে দেশটি। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের এমন ভয়াবহ সত্যকে মেনে নেয়া ছাড়া আর গতি নেই। সরকারি সূত্র অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় যুক্তরাষ্ট্রে ৪৫৯১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এমুহূর্তে যেন সেখানে শোকের মাতম চলছে। মৃত্যু ও আক্রান্তের সংখ্যা কমে যাওয়ায় ধাপে ধাপে লকডাউন তোলার কথা ঘোষণা করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। কিন্তু এমন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে তাকে সামাল দিতে হবে।
ন্যাশনাল রিভিউ সূত্রে জানা যায়, যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা ৩৫ হাজারের কাছাকাছি। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টাতেই মৃত্যু হয়েছে ৪৫৯১ জনের।
তবে হোয়াইট হাউস আগেই জানিয়েছিল, নিউইয়র্কে বহু মানুষের অনেক মানুষের মৃত্যু হয়েছে করোনা আক্রান্ত সন্দেহে। তাঁদের অনেকেরই মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত করা হবে। গত সপ্তাহে নিউইয়র্ক সিটি প্রশাসন ঘোষণা করেছিল, করোনা আক্রান্ত সন্দেহে মৃত্যু হয়েছে ৩৭৭৮ জনের। তাঁদের মৃত্যু করোনার কারণেই কিনা, ধাপে ধাপে তা নিশ্চিত করা হবে। হোয়াইট হাউসের একটি সূত্রে দাবি করা হয়েছে, এই ৪৫৯১ জনের মধ্যে ওই সম্ভাব্য মৃতদের একটা বড় অংশ থাকতে পারে। সেই অংশটি বাদ দিলে অবশ্য মৃতের সংখ্যা রেকর্ড ছাড়ায়নি।
যুক্তরাষ্ট্রে এই মুহূর্তে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৬৭১৪২৫। মার্কিন সময় অনুযায়ী বুধবার রাতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ঘোষণা করেছিলেন, মৃত্যু ও আক্রান্তের সংখ্যার সীমা অতিক্রম করার পর এ বার লকডাউন তোলার পালা। রাজ্যগুলির গভর্নরদের সঙ্গে কথা বলে ধাপে ধাপে লকডাউন তোলার প্রক্রিয়া শুরু হবে। শিথিল করা হবে লকডাউনের নিয়মকানুনও। কানেক্টিকাটের গভর্নর ইতিমধ্যেই লকডাউন তোলার ঘোষণা করেছিলেন। কিন্তু তার মধ্যে মৃত্যুর এই পরিসংখ্যান আসার পর নতুন করে উদ্বেগ বেড়েছে হোয়াইট হাউসের। (সূত্রঃ ন্যাশনাল রিভিউ ও আনন্দবাজার)