করোনা পরিস্থিতিতে রাজধানীর বাজারে ভোক্তার সাঁড়াশি অভিযান, লক্ষাধিক টাকার জরিমানা

7
18
করোনা পরিস্থিতিতে রাজধানীর বাজারে ভোক্তার সাঁড়াশি অভিযান, লক্ষাধিক টাকার জরিমানা
করোনা পরিস্থিতিতে রাজধানীর বাজারে ভোক্তার সাঁড়াশি অভিযান, লক্ষাধিক টাকার জরিমানা

স্টাফ রিপোর্টার

বুধবার (২২ এপ্রিল, ২০২০) দ্রব্যমূল্যে (আদা) কারসাজি, নিত্যপণ্যের মূল্য তালিকা সংরক্ষণ না করা, ধার্যকৃত মূল্যের অধিক মূল্যে নিত্যপণ্য বিক্রয় করার দায়ে রাজধানীর পাইকারি ও খুচরা বাজারে ১৮ টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান‌কে ১ লক্ষ ১ হাজার টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়েছে।

জাতীয় ভোক্তা অ‌ধিকার সংরক্ষন অ‌ধিদপ্ত‌রের মহাপরিচালক বাবলু কুমার সাহা স্বয়ং ঢাকা মহানগরীতে বাজার তদারকি কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেন। এ সময় তিনি নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যযাচাইসহ ন্যায্যমূল্যে টিসিবির পণ্য বিক্রয় কার্যক্রম পরিদর্শন করেন ও দিকনির্দেশনা দেন।

এছাড়াও অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের সার্বিক নির্দেশনায় পরিচালক শামীম আল মামুনের (প্রশাসন) তত্ত্বাবধানে রাজধানীর ১৬ টি বাজারে (পাইকারি ও খুচরা) এ অভিযান পরিচালনা ক‌রে জ‌রিমানা করা হয়।

অ‌ভিযা‌নে নেতৃত্ব দেন মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার, উপ-পরিচালক (উপসচিব) ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়, প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক মোঃ মাসুম আরেফিন ও সহকারী পরিচালক শাহনাজ সুলতানা, আব্দুল জব্বার মন্ডল, ফাহমিনা আক্তার রজবী নাহার রজনী, তাহমিনা বেগম, মোঃ মাগফুর রহমান এবং মাহমুদ আক্তার।

ঢাকা মহানগরের শ্যাম বাজার, বাবুবাজার, কাপ্তানবাজার, শাহ আলী বাজার, কল্যাণপুর নতুন বাজার, কৃষি মার্কেট বাজার, শিয়া মসজিদ বাজার, আদাবর বাজার, মিরপুর বড় বাগবাজার, পীরেরবাগ পাকা মসজিদ বাজার, শান্তিনগর বাজার, মালিবাগ রেলগেট বাজার, রামপুরা বাজার, উত্তর বাড্ডা বাজার, মধ্য বাড্ডা বাজার এবং গুদারাঘাট বাজারে এই তদারকিমূলক অভিযান পরিচালিত হয়।

ঢাকা মহানগরীর ১৯টি স্থানে টিসিবির ন্যায্য মূল্যের পণ্য বিক্রয় (ট্রাকসেল) তদারকি করা হয়। এছাড়া ঢাকার বাইরে বিভাগে উপ-পরিচালক ও জেলায় সহকারী পরিচালক নেতৃত্বে ৬৫টি বাজারে অভিযান পরিচালিত হয়।

অভিযান প্রসঙ্গে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাবলু কুমার সাহা আসন্ন রমজানে ও করোনা পরিস্থিতিতে আদা, পেঁয়াজ, রসুন, চাল, ডালসহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য নিয়ম মেনে যৌক্তিক ও ন্যায্যমূল্যে বিক্রয় করার জন্য সংশ্লিষ্ট উৎপাদনকারী, আমদানিকারক, পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতাকে অনুরোধ করেন।

আদার আমদানি মূল্য সর্বোচ্চ ১০০ টাকার বেশি নয় এর সাথে পরিবহন ব্যয়সহ অন্যান্য আনুষঙ্গিক ব্যয় এবং যৌক্তিক মুনাফা যোগ করে আদা বিক্রয় করার জন্য তিনি সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান। এছাড়া নিত্যপণ্যের মূল্য কারসাজিকারীর বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স প্রদর্শন করা হবে মর্মে তিনি উল্লেখ করেন।