স্টাফ রিপোর্টার
নড়াইলের কামাল প্রতাপ, শালিখা ও আমাদা গ্রামে আধিপ*ত্য বিস্তারের জের ধরে গত ৮ বছরে ৩ জন খু*ন হয়েছে। এ পর্যন্ত ২০টির মতো সংঘ*র্ষের ঘটনা ঘটেছে। দু’শতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছে। সর্বশেষ পুলিশের ওপর হাম*লা ও পিকআপ ভ্যান ও বাড়ি ভাং*চু*র-লু*টপা*টের ঘটনায় দুটি মামলায় ৬০জনকে আ*সামি করা হয়েছে। ফলে ৩টি গ্রাম পুরুষ শূন্য হয়ে পড়েছে।
জানা গেছে, বুধবার (৬মে) রাতে সদরের বাঁশগ্রাম ইউনিয়নের কামাল প্রতাপ গ্রামে ৪টি বাড়ি ভাং*চু*রের সময় পুলিশ এক ব্যক্তিকে আটক করলে ৩ গ্রামের লোকজন পুলিশের ওপর হাম*লা করে মা*রধ*র ও আসামি ছি*নতা*ইয়ের চেষ্টা করে। এ সময় তারা পুলিশের পিকআপ ভ্যান ভাং*চু*র করে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ৩ রাউ*ন্ড ফাঁ*কা গু*লি ব*র্ষণ করে।
গ্রামবাসী সূত্রে জানা গেছে, বুধবার (৬ মে) রাত সাড়ে ১০টার দিকে কামাল প্রতাপ গ্রামের সাফি ম্যোল্যা হ*ত্যা মামলার আ*সামি আফজাল জমাদ্দার, রাজ্জাক মল্লিক, মন্টু মল্লিক ও মোস্তাক মল্লিকের বাড়ি প্র*তিপ*ক্ষ বাদি পক্ষের সেকেন মেম্বর, বাবুল শেখ, সাইফুল মোল্যা ও আফসার মিঞার লোকজন ভাং*চু*র ও লু*টপা*ট করছিল।
এ সময় টহল পুলিশ খবর পেয়ে ভাং*চু*র ও লু*টপা*টকা*রীদের ধাও*য়া করে আহাদ খান নামে এক ব্যক্তিকে আটক করে। রাত সাড়ে ১১টার দিকে পার্শ্ববর্তী আমাদা, শালিখা ও কামালপ্রতাপ গ্রামের প্রায় অর্ধশত ব্যক্তি লা*ঠিসো*টা নিয়ে আসা*মি ছি*নিয়ে নিতে স্থানীয় পুলিশ ক্যাম্পে হাম*লা করলে কনস্টেবল আশিক ও রাকিব আহ*ত হয়। সন্ত্রা*সী*রা পুলিশের পিকআপ ভ্যান ভাং*চু*র করে। পুলিশ পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে ৩ রাউ*ন্ড ফাঁ*কা গু*লি করে।
জানা যায়, সদর উপজেলার বাঁশগ্রাম ইউনিয়নের কামালপ্রতাপ, শালিখা এবং পার্শ্ববর্তী লোহাগড়া উপজেলার লক্ষ্মীপাশা ইউনিয়নের আমাদা গ্রামের বাবুল শেখ, সাইফুল মোল্যা, সেকেন মেম্বর, আফসার মিঞা গ্রুপের সাথে বিদ্যুৎ জমাদ্দার, টুলু জমাদ্দার, আফজাল জমাদ্দার, রাজ্জাক মল্লিক, মন্টু মল্লিক ও মোস্তাক মল্লিক গ্রুপের দীর্ঘ ৮ বছর ধরে আধিপ*ত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গ্রাম্য দ্ব*ন্দ্ব-সং*ঘা*ত চলে আসছে।
এ পর্যন্ত দু’গ্রুপের মধ্যে কমপক্ষে ২০বার সংঘ*র্ষ হয়েছে। আহ*ত হয়েছে দুই শতাধিক মানুষ এরই জের ধরে প্র*তিপ*ক্ষের হাতে গত ৫ বছর পূর্বে কামাল প্রতাপ গ্রামের এসকেন্দার কাজী, ২০১৯ সালের ২৫ এপ্রিল ডাবলু শেখ এবং এ বছরের ১৩মার্চ সাফি মোল্লা (৩৫) খু*ন হয়।
সদর থানার ওসি মোঃ ইলিয়াছ হোসেন ঘটনার বলেন, এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার বিকেলে পুলিশ বাদি হয়ে ২৩জনের বিরু*দ্ধে এবং ক্ষ*তিগ্র*স্থ এক ব্যক্তি ৩৭ জনের বিরু*দ্ধে বাড়ি ভাং*চুর ও লু*ট*পা*টের মামলা করেছে। আসা*মিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। এলাকার পরিস্থিতি এখন শান্ত।
এ ব্যাপারে নড়াইলের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন পিপিএম বলেন, এসব গ্রামে দীর্ঘ দিন ধরে গ্রাম্য দ্ব*ন্দ্ব-ক্যাই*জা লেগেই আছে। আমি নড়াইলে যোগদানের পর এসব দ্ব*ন্দ্ব-ফ্যা*সাদ মিমাংসার চেষ্টা করছি এবং এ চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। সর্বশেষ বুধবারের ঘটনায় দো**ষীদের বিরু*দ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।