স্টাফ রিপোর্টার
নড়াইলের লোহাগড়ায় মোর্শেদা সা*র্জিক্যাল ক্লিনিকে অ*জ্ঞান ডাক্তার ছাড়াই সি*জার করার ফলে প্রসূ*তি মায়ের মৃ*ত্যূর অভিযোগ পাওয়া গেছে। নবজাতকের দায় নেবে কে এমন প্রশ্ন সকলের। জানতে চাইলে ভাড়াটিয়া ম*স্তান স*ন্ত্রা*সী নিয়ে আসলেন আরএমও ডাক্তার আবদুল্লাহ আল মামুন।
অভিযোগে জানা যায় মোর্শেদা সা*র্জিক্যাল ক্লিনিকে ইতনা দৌলতপুর ফকিরচরের মোছাঃ মিষ্টি বেগম নামের এক প্রসূ*তি মায়ের সকাল ৭টায় প্রথম সি*জার অপা*রেশন ২টায় দ্বিতীয় সি*জার অপা*রেশন করা হয় তাতে মায়ের অবস্থা আশং*কাজনক হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনায় পাঠালে মায়ের মৃ*ত্যূ হয়। ভাগ্যক্রমে নিষ্পা*প নবজাতক শিশুটি বে*চে যায়।
বিষয়টির সত্যতা যাচাইয়ের জন্য মোর্শেদা সা*র্জিক্যাল ক্লিনিকে গিয়ে জানতে চাইলে মালিক মোঃ জাকির হোসেন বলেন, আমি কিছুই জানিনা ডাক্তার মামুন জানেন তবে রো*গির শ্বা*ষক*ষ্ট ছিল। প্র*সূতি মায়ের তথ্য জানতে চাইলে জানান কোন তথ্য নাই। রেজিষ্টার খাতা দেখতে চাইলে বলেন নাই।
মৃ*ত্যূর কারণ জানার জন্য লোহাগড়া উপজেলা হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাক্তার মামুন হোসেনকে মোবাইলে ফোন দিলে পাল্টা প্রশ্ন করে তিনি জানতে চান আপনি কোথায় ক্লিনিকেই থাকেন আমি আসতেছি। ২০ মিনিট পরে ডাক্তার মামুন বিসমিল্লাহ ক্লিনিকের মালিকানা শেয়ার ওবায়দুর রহমানের মটর সাইকেলে এসে ওবায়দুরকে দেখিয়ে বলেন, ওনার ক্ষ*মতা সম্পর্কে জানেন। পরে আরো কয়েকজন এসে উপস্থিত হয়। ডাক্তার মামুন আরো বলেন, আপনার উদ্দেশ্য কি? আমার চুল এমনি পাকেনি। লোহাগড়ার কোন সাংবাদিক আমার বিরু*দ্ধে নিউজ করতে সাহস পায়না। আশা করি আপনি ও নিউজ করবেননা।
উল্লেখ্য, বিগত ৩০ নভেম্বর ২০১৬ সালে মো. জাকির হোসেনকে ভু*য়া ডাক্তারী করার কারণে এক লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে দুই মাসের জে*ল ও চেম্বার সিলগালা করেছিল ভ্রাম্যমাণ আদালত। তৎকালীন নিউজে জানা যায় এলাকাবাসীর অভিযোগের ভিত্তিতে নড়াইলের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সালমা পারভিন ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অভিযান চালিয়ে ওই ভু*য়া ডাক্তারকে জরিমানা ও অনা*দায়ে দুই মাসের জেল দেন।
উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লে*ক্সের গেটের সামনে মোর্শেদা সা*র্জি*ক্যাল ক্লিনিক ও ডায়া*গনস্টিক সেন্টারের প্রোপাইটর ভু*য়া ডাক্তার মো. জাকির হোসেন দীর্ঘদিন যাবৎ এলাকায় ডাক্তারি করে রো*গীদের সঙ্গে প্রতা*রণা করে আসছিলো।
এ বিষয়ে লোহাগড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুকুল কুমার মৈত্র বলেন, আমরা লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নিব। সিভিল সা*র্জন ডাঃ আব্দুল মোমেন সাহেবকে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি কল রিসিভ করেননি।