স্টাফ রিপোর্টার
করোনা সংক’টের মধ্যে এবার শুরু হলো ডে*ঙ্গু জ্ব*রের প্রাদুর্ভাব। এ বছর নড়াইলে ডে*ঙ্গু জ্ব*রে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন ৭জন। এর মধ্যে ডে*ঙ্গুতে আক্রা’ন্ত হয়ে ১১জুলাই লোহাগড়া উপজেলার পাচুড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা সহকারী পুলিশ সুপার (অব) শরীফ মোস্তফা কামাল (৭৫) মা*রা গিয়েছেন।
এদিকে করোনা প্রাদুর্ভাবে জেলার সর্বত্র চা-এর দোকানগুলোতে চালু হওয়া প্লাষ্টিকের ওয়ান টাইম কাপ যত্রতত্র পড়ে থাকায় এসবের মধ্যে বৃষ্টির পানি ভরে ডে’ঙ্গু রো*গের বাড়তি ঝুঁ*কি বাড়াচ্ছে। ডে’ঙ্গু প্রতিরোধে এখনও তেমন কোনো প্রস্তুতি গ্রহণ করেনি সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
জানা গেছে, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরু হবার পর থেকে নড়াইলে চা-এর দোকানগুলোতে করোনা সংক্র’মণের ভ*য়ে কাঁচের কাপের প্রচলন বন্ধ হয়ে গেছে। জেলার সর্বত্র চা-এর দোকানগুলোতে চালু হয়েছে প্লাষ্টিকের ওয়ান টাইম কাপ, যা প্রতিদিন প্রায় ১ লাখ পিস বিক্রি হচ্ছে। পরিত্য*ক্ত এসব কাপ অপ*সারণ না করায় যত্রতত্র পড়ে থাকা এসব খালি কাপের মধ্যে বৃষ্টির পানি ভরে ডে’ঙ্গু রো*গের বাড়তি ঝুঁ*কি ও দূ’ষণ বাড়াচ্ছে। নড়াইল শহরের ব্যবসায়ীরা জানান, বর্তমানে প্রতিদিন পাইকারী দোকানগুলো থেকে কমপক্ষে ১লাখ প্লাষ্টিকের চায়ের কাপ বিক্রি হচ্ছে। ক’দিন পূর্বে প্রায় ২লাখ কাপ বিক্রি হয়েছে।
সিভিল সা*র্জন অফিসের তথ্য প্রদানকারী কর্মকর্তা ফারজানা ইয়াসমিন জানান, এ বছর লোহাগড়া হাসপাতালে স্থানীয়ভাবে ডে’ঙ্গু জ্ব*রে আক্রান্ত ৭জন রো*গি চিকিৎসা নিয়েছেন। এদের মধ্যে শরীফ মোস্তফা কামাল প্রথম ডে’ঙ্গু জ্ব*রে মা*রা গিয়েছেন। গত বছর ঢাকা থেকে আক্রা’ন্তের সংখ্যা বেশী হলেও এবার স্থানীয়ভাবে আক্রা’ন্তের সংখ্যা বাড়তে পারে। ডে’ঙ্গু প্রতিরো*ধে করণীয় সম্পর্কিত দু’টি চিঠি উপজেলা চেয়ারম্যান এবং জেলার তিন পৌর মেয়রের কাছে কাছে পাঠানো হয়েছে।
সদর হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা. আব্দুস সাকুর বলেন, এখনও পর্যন্ত কোনো ডে’ঙ্গু রো*গি ভর্তি না হওয়ায় সদর হাসপাতালের ডে’ঙ্গু ওয়ার্ড প্রস্তুত করা হয়নি। রো*গি আসলে তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা করা হবে। করোনা মোকা’বেলায় ব্যস্ত থাকায় ডে’ঙ্গু প্রতিরো*ধে সেইভাবে প্রস্তুতি গ্রহন করা হয়নি। তবে ডে’ঙ্গু শনাক্তে কিটের ব্যবস্থা রয়েছে।
জেলা প্রশাসক আনজুমান আরা বলেন,বিভিন্ন উপজেলা চেয়ারম্যান ও পৌরসভার মেয়র, সরকারি/বে-সরকারি প্রতিষ্ঠান, বাড়ির আঙ্গিনা, রাস্তার পাশের ঝোপ-ঝাড়, জলাশয়, ড্রেন, হাট-বাজার প্রভৃতি স্থানে ডে*ঙ্গু প্রতিরো*ধে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা অভিযান সফল করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তিনি এ কাজে প্রত্যেক ব্যক্তি ও পরিবারকে এগিয়ে আসার জন্য আহবান জানান।
উল্লেখ্য, গত বছর ১৭ জুলাই থেকে নভেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে প্রায় সাড়ে ৪শ ডে*ঙ্গু রো*গি চিকিৎসা নেয়। এসব রো*গির মধ্যে প্রথমাবস্থায় অধিকাংশই ঢাকা থেকে আক্রা’ন্ত হলেও পরবর্তীতে স্থানীয়ভাবেই বেশী আক্রা’ন্ত হতে দেখা যায়। গত বছর সরকারি হিসেবে কেউ ডে’ঙ্গু জ্ব*রে কেউ মারা যায়নি। তবে ডে*ঙ্গু উপসর্গে ২জনের মৃ*ত্যু হয়। গত বছর প্রথাবস্থায় ডেঙ্গু শনাক্তে কিটের অপ্র’তুলতা দেখা দিলে নড়াইল-২ আসনের এমপি মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা নিজস্ব অর্থায়নে জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে ১ হাজারের বেশী কিটের ব্যবস্থা করে দেন।