স্টাফ রিপোর্টার
নড়াইলের তুলারামপুরের গ্রাম্য ডাক্তার শাহিন মোল্যাসহ তিন সন্তানের হা*মলায় পিতা মশিয়ার মোল্যা জ*খম হয়ে নড়াইল সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। জানাগেছে সদরের তুলারামপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ তুলারামপুর গ্রামের মশিয়ার মোল্যা (৭০)কে ডাক্তার পুত্র শাহিন মোল্যা (৩৪), মিলন মোল্য (৪০), তুহিন মোল্যা (৩৮) তিন পুত্রসন্তান ও প্রথম স্ত্রী হাজেরা বেগম মা*রপি*ট করে জ*খম করেছে। মশিয়ার মোল্য বর্তমানে নড়াইল সদর হাসপাতালের ১৪ নম্বর বেডে মুমূ*র্ষু অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
মশিয়ার মোল্যা বলেন, মঙ্গলবার (১৪ জুলাই) বিকালে আমি আমার ছোট স্ত্রীকে বসত ঘরে থাকা অবস্থায় অ*তর্কিত ভাবে আমার প্রথম স্ত্রী হাজেরা বেগম তার তিন সন্তানদের নিয়ে আমাকে বাঁশের লা*ঠি দিয়ে আমাকে মা*রপি*ট শুরু করলে আমি মাটিতে লু*টিয়ে পড়ে জ্ঞা*ন হারি*য়ে ফেলি। এখন দেখছি আমার হা*ত ভে*ঙ্গে গেছে ব্যান্ডেজ করা।
তিনি আরো জানান দীর্ঘ ২০ বছর ধওে আমার প্রথম স্ত্রী হাজেরা আমাকে শারি*রীক নির্যা*তন করছে আমার নামের সম্পত্তি তার নিজের নামে লিখে নেওয়ার জন্য। আর এ জন্য প্রায়ই আমাকে ছেলেদের দিয়ে মা*রপি*ট করায়। আমি যে জমিতে বসবাস করি সে জমি একই গ্রামের চরপাড়ার ভবেশ চৌধূরীর সাথে এয়োজ বদল করা।
সম্প্রতি আমাদের উভয়ের জমির উপর দিয়ে রেল লাইন স্থাপন হওয়ার কাজ শুরু হয়। এই রেললাইনের টাকা আমার ডাক্তার ছেলে শাহিন মোল্যা তার নিজের নামে উত্তোলনের জন্য ভবেশ চৌধূরীর কাছ থেকে না-দাবি প্রত্যয়ন পত্র লিখে নেয়। সেটা আমি জানতে পেরে আমার শরীক ভাইদের জানিয়ে দেই। এতে বেশি ক্ষি*প্ত হয়ে ওরা সবাই মিলে গতকাল আমাকে মা*রপি*ট করেছে।
মশিয়ার মোল্যার ছোট স্ত্রী বলেন, আমার সতীন তার ছেলে ও ছেলেবউদের নিয়ে এসে আমার স্বামীকে শুধু মা*রপি*টই করে নাই আহ*ত স্বামীকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিতে বা ভ্যান আনতে ও বা*ধা দিয়েছিল এবং আমার ঘরে থাকা ৭০ হাজার টাকা ও একটা সোনার চেইন ও সোনার কানের দুল নিয়ে গেছে। পরে খবর পেয়ে সাংবাদিকরা এসে দেখে ভ্যান এনে দিলে তারপর আমার স্বামীকে হাসপাতালে ভর্তি করাতে পারি। আমার স্বামীর হা*ত, পা’ ও বু*কের হা*ড়ে মা*রাত্মক সম*স্যা হয়েছে।
ডাক্তার শাহিন মোল্যা ও তার মা হাজেরা বেগম বলেন, মা*রপি*ট করা হয়নি শুধু ধা*ক্কা দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে কর্তব্যরত ডাক্তার বলেন, মশিয়ার মোল্যার অবস্থা আ*শং*কা জনক। আমরা এক্সে*রে ও কিছু টেষ্ট করতে দিয়েছি রিপোর্ট পেলে সার্বিক বিষয়ে বলতে পারবো। এ বিষয়ে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ ইলিয়াস হোসেন বলেন, আমরা হাসপাতাল মারফত বিষয়টি জানতে পেরে পুলিশ পাঠিয়ে তদন্ত করিয়েছি। লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।