স্টাফ রিপোর্টার
নড়াইল সদরের আউড়িয়া ইউনিয়নের ঐহিত্যবাহী নাকসী মাদরাসা এলাকার প’শুরহাট ও কাঁচাবাজারের অ*বৈধ দখ*লদার উচ্ছে*দের দাবি করেছেন এলাকাবাসী। অ*বৈধ দখ*লদার উ*চ্ছেদের দাবিতে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী। তবে কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন ভূ*ক্তভো*গীরা।
এদিকে অ*বৈধ দখলের কারণে নাকসী প’শুহাটে গাদাগাদি করে গরু, ছাগলসহ কোর’বানির প’শু বেচাকেনা চলছে। এখানে প্রতি মঙ্গলবার ব্যাপকহারে পশুর উঠলেও দখ*লের কারণে বেচাকেনায় সম*স্যা হচ্ছে। ঈদুল আযহা উপলক্ষে নির্ধারিত মঙ্গলবারের পাশাপাশি শনিবারও প’শুর হাট বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ইজারাদারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। করোনাভাইরাসের কারণে শারী*রিক দূরত্ব বজায় রেখে হাট চালুর নিয়ম থাকলেও দখ*লের জন্য স্বা*স্থ্যবিধি মেনে চলা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
লিখিত অভিযোগে জানা যায়, আউড়িয়া ইউনিয়নের কমলাপুর মৌজার দাগ নম্বর ৫২৫০, ৫২৯৪ ও ৫২৯৫ এর খতিয়ান নম্বর ১৭৪১ ও ১৬৮৩ জমি এক সময় ইউনিয়ন পরিষদের নামে ছিল। নাকসী মাদরাসা বাজারেও বেশ খাস জমি আছে। অথচ বর্তমানে এসব জমির কোনো হদিস পাওয়া যাচ্ছে না। সবমিলে প্রায় ৬০ শতক জমি অ*বৈধ দখ*লে আছে। আর প’শুরহাটের আশেপাশে স’মিলের অসংখ্য কাঠের গুড়ি, দু’টি দোকানসহ দখ*লকৃত জমিতে অন্তত ১২টি দোকান ও দালানঘর অ*বৈধ ভাবে গড়ে তোলা হয়েছে। এতে প’শুহাটে আসা ক্রেতা-বিক্রেতাসহ গরু-ছাগল এবং কোর*বানিযোগ্য অন্যান্য প’শু বেচাকেনায় বেশ সম*স্যা হচ্ছে। ভ্যান, নসিমন, করিমন, পিকআপ, ছোট-বড় ট্রাক থেকে হাটে প’শু উঠানামা করতে পারছে না। প্রায় ১৫ বছর ধরে এসব জমি অ’বৈধ দখ*লে আছে।
নড়াইলের সীমাখালী এলাকার সমাজসেবক শিকদার হাদিউজ্জামান বলেন, অ’বৈধ দ*খলদার উ*চ্ছেদের দাবিতে এলাকাবাসী পক্ষ থেকে গত ৯ জুলাই সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর আবেদন করা হয়েছে। আমাদের দাবি, দ্রুতই অ*বৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করে নাকসী মাদরাসা প*শুরহাট ও কাঁচাবাজারের স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরিয়ে দেয়া হোক।
এ ব্যাপারে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সালমা সেলিম বলেন, প’শুরহাট থেকে কাঠেরগুড়ি অপসারণসহ অ*বৈধ দ*খলকার উ*চ্ছেদের জন্য দ্রুতই কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আগামি মঙ্গলবার (২১ জুলাই) কোর’বানির প’শুরহাটের আগেই দ*খলদার উ*চ্ছেদ করা হবে।