স্টাফ রিপোর্টার
নড়াইলে কোরবা*নির জন্য ২৯ হাজার ৫৩২টি হাজার গরু ও ছাগল প্রস্তুত করা হয়েছে। গৃস্থালি থেকে শুরু করে খামারিরা এসব গরু-ছাগল লালন-পালন করেছেন। ইতোমধ্যে জেলার তিনটি উপজেলার আটটি হাটে কোর*বানির প’শু বেচাকেনা শুরু হয়েছে।
এদিকে করোনা সং*কটের কারণে স্বাস্থ্যঝুঁকির কথা বিবেচনা করে ‘নড়াইল কোর*বানির হাট’ নামে মোবাইল অ্যাপ ও ওয়েবসাইটেরও উদ্বোধন করা হয়েছে। তবে অনলাইনে কেনাবেচার চেয়ে হাটে ক্রেতা-বিক্রেতা বেশি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সদরের নাকসী মাদরাসা, মাইজপাড়া, কালিয়ার পহরডাঙ্গাসহ বিভিন্ন পশুহাটে এমন চিত্র দেখা গেছে।
ক্রেতা-বিক্রেতারা বলছেন, অনলাইন পদ্ধতিতে গরু-ছাগল বেচাকেনা করে তারা স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছেন না। কারণ, এ পদ্ধতিতে আকার, আকৃতি, সুস্থতাসহ বিভিন্ন বিষয় স্বচোক্ষে দেখা যায় না। কো*রবানির প’শু সরাসরি দেখেশুনে কেনার অনুভূতিটাই অন্যরকম। তবুও করোনাকালে স্বাস্থ্যঝুঁ*কির কথা বিবেচনা করে কেউ কেউ ঝুঁ*কছেন অনলাইনের দিকে।
জেলা প্রশাসন ও প্রাণিসম্পদ অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ বছর নড়াইলে কোর*বানির হাটে বিক্রির জন্য ২৯ হাজার ৫৩২টি গরু এবং ছাগল প্রস্তুত করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৮ হাজার ৮০১টি গরু এবং ১০ হাজার ৭৩১টি ছাগল ও ভেড়া রয়েছে।
হাটের পাশাপাশি করোনা সং*কটের কারণে ক্রেতাদের ঘরে বসে প*শু কিনতে গত ১০ জুলাই বিকেলে ভিডিওকনফারেন্সের মাধ্যমে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এমপি ‘নড়াইল কোর*বানির হাট’ নামে একটি মোবাইল অ্যাপ ও ওয়েবসাইটের উদ্বোধন করেন। তবে হাটের দিকেই ক্রেতা-বিক্রেতাদের ভিড় বেশি লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
যদিও বেচাকেনা এখনো জমে উঠেনি। এ বছর হাটগুলোতে ৪০ থেকে ৭০ হাজার টাকার গরুর চাহিদা বেশি। এক্ষেত্রে ছাগলের চাহিদা সাত থেকে ১০ হাজার টাকার মধ্যে। ঈদের আগ মুহূর্তে কো*রবানির প’শুরহাট জমজমাট হয়ে উঠবে, এমন প্রত্যাশা ক্রেতা-বিক্রেতাসহ হাট ইজারাদারদের।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাক্তার মারুফ হাসান বলেন, নড়াইলে কো*রবানির প’শুর চাহিদার চেয়ে বেশি গরু-ছাগল প্রস্তুত করা হয়েছে। এ জেলায় ২৪ হাজার ৫০০ প’শুর চাহিদা থাকলে ২৯ হাজারের বেশি প’শু রয়েছে। এছাড়া কোর*বানিযোগ্য প’শুর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাটগুলোতে ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম রয়েছে। করোনাকালে ক্রেতা-বিক্রেতারা স্বা*স্থ্যবিধি মেনে চলছেন কিনা, সেদিকেও লক্ষ্য করা হচ্ছে।
জেলা প্রশাসক আনজুমান আরা বলেন, করোনার দু*র্যোগময় মুহূর্তে কো*রবানির পশু ঘরে থেকেই মোবাইল অ্যাপ ও ওয়েবসাইটের মাধ্যমে কেনার জন্য সবাইকে উৎসাহিত করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে কেউ যাতে প্র*তারিত না হন, সেদিকেও কঠোর নজরদারি রয়েছে।