স্টাফ রিপোর্টার
নড়াইলের বাহিরগ্রামে এসি*ড নিক্ষে*পের ঘটনাকে সম্পূর্ণ সাজানো দাবি করে মা*মলা প্রত্যা*হার এবং প্রকৃত ঘটনা উদঘা*টন করে দো*ষীদের শা*স্তির দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২০ আগস্ট) দুপুর ১২টায় শহরের আদালত সড়কে এ মানববন্ধন অনুুষ্ঠিত হয়। কয়েক’শ নারী পুরুষের অংশগ্রহণে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য রাখেন স্থানীয় কলোড়া ইউপি চেয়ারম্যান আব্বাস হোসেন, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আশিষ কুমার বিশ্বাস, পাশ্ববর্তী মূলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ অধিকারী ও আসা*মীদের পরিবারের সদস্য স্বপন মোল্যা, পারভীন খাতুন, আয়শা বেগম প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, সদর উপজেলার কলোড়া ইউনিয়নের বাহিরগ্রামের গোলাপ মোল্যার কন্যা তানিয়া বেগম নিজের পি*ঠে এসি*ড দিয়ে পু*ড়িয়ে প্রতিপ*ক্ষকে শা*য়েস্তা করতে নড়াইল সদর থানায় ৭জনকে আ*সামী করে মামলা করেছে। পূর্ব শ*ত্রুতা এবং অতিরিক্ত টাকা আদা*য় করার লো*ভে পড়ে তানিয়া এ কাজ করেছে। মাম*লায় গ্রেফ*তার হওয়া ৩ আসা*মিকে নির্দো*ষ দাবি করে অবিলম্বে তাদের মুক্তি ও সঠিক তদ*ন্তপূর্বক ঘটনার সাথে জ*ড়িতদের শা*স্তি দাবি জানানো হয়।
এদিকে এসি*ড নি*ক্ষে*প মামলার বাদী তানিয়ার বোন মিনি বেগম বলেন, তার বোন তানিয়া প্রতিবেশী মৃ*ত মোস্তফা মোল্যার জুয়েল মোল্যাকে বিছালীর ব্যবসা করার জন্য ১ বছর পূর্বে ১৫ লাখ টাকা দেয়। এ টাকা ফেরত চাওয়াকে কেন্দ্র করে সোমবার (১৭ আগস্ট) রাত ৯টার দিকে সে বাড়ির পার্শ্ব থেকে জুয়েলসহ তার সহযোগিরা তানিয়ারও ও*পর এসি*ড নিক্ষে*প করে। এ ঘটনায় তার পি*ঠ ও নীচের অংশ ঝল*সে যায়। তানিয়া এখন খুলনা মেডিকেল হাসপাতালে চি*কিৎসাধীন রয়েছে।
স্থানীয় ইউপি মেম্বর আনোয়ার মোল্যা জানান, অভিযু*ক্ত জুয়েলের বক্তব্য সে তানিয়ার কাছ থেকে ২ লাখ ৩০ হাজার টাকা নিলেও পুরো টাকা পরিশোধ করে দিয়েছে। এখন তাকে ব্লা*কমে*ইল করার জন্য তানিয়া ১৫ লাখ টাকা দা*বি করছে। এ টাকার লেনদেন নিয়ে কয়েকবার গ্রাম্য সা*লি*শ বি*চারও হয়েছে। কিন্তু কোনো মি*মাংসা হয়নি।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নড়াইল সদর থানার ওসি (তদন্ত) সুকান্ত সাহা জানান, এ ঘটনায় ৭জনকে আসা*মী করে মামলা হয়েছে। ইতিমধ্যে মামলার তিনজন আসা*মীকে গ্রেফ*তার করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। আশা করি প্রকৃত দো*ষীরাই বিচারের সম্মুখীন হবে।