স্টাফ রিপোর্টার
শি*শু সন্তা*নের হ*ত্যার বিচা*রের দাবিতে দ্বারে দ্বারে ঘুরছে ফল বিক্রেতা হ*তদরিদ্র মা আন্না বেগম। স*ন্তান হ*ত্যার প্রায় দেড় বছর অতিবাহিত হলেও এখনও হ*ত্যাকারীদের কোনো সন্ধান দিতে পারেনি পুলিশ। কারা এবং কেন শি*শু সাব্বিরকে হ*ত্যা করলো সে খবরও দিতে পারেনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
অবশেষে কোনো উপায় না পেয়ে তিনি সাংবাদিকদের দ্বা*রস্থ হলেন। তার বিশ্বাস এবার যদি তিনি সন্তান হ*ত্যার বিচার পান। বুধবার (২ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টায় নড়াইল প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে স্বামী হারা আন্না বেগম বলেন, আমি গ*রিব মানুষ, আমার কেউ নেই বলে আমার সন্তানের মামলায় কোনো অগ্রগতি হচ্ছে না।
জানা গেছে, ৪র্থ শ্রেণির ছাত্র সাব্বির হোসেন জেলার কালিয়া উপজেলার খড়রিয়া গ্রামের শাহাদত হোসেনের পূত্র। বাবা তার মার কোনো খোঁজ-খবর না নেওয়ায় মা আন্না বেগমের সাথে নড়াইল পৌর এলাকার বিজয়পুরে নানা বাড়িতে থাকত। সাব্বির সংসারের চাকাকে সচল রাখতে লেখাপড়ার পাশাপাশি ব্যা*টারিচালিত ভ্যান চালিয়ে দরি*দ্র মায়ের সংসারে বাড়তি আয় রোজগার করত।
২০১৯ সালের ১৫মার্চ বিকেলে বাড়ি থেকে ভ্যান নিয়ে বের হয় সাব্বির। পরে আর বাড়ি ফেরেনি। এর দু’দিন পর ১৭ মার্চ বাড়ির থেকে ৩ মাইল দুরে নড়াইল-গোবরা সড়কে কাড়ারবিল এলাকায় একটি ডোবার মধ্যে তার লা*শ উ*দ্ধার করে পুলিশ। সে সময় ধারণা করা হয় সাব্বিরকে হ*ত্যা করে ব্যাটা*রিচালিত ভ্যানটি দু*বৃত্তরা নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় সাব্বিরের মা আন্না বেগম বাদি হয়ে ১৯মার্চ সদর থানায় কারও নাম উল্লেখ না করে নড়াইল সদর থানায় হ*ত্যা মামলা দায়ের করে। মামলাটির কোনো অগ্রগতি না হওয়ায় বাদির আবেদনের প্রেক্ষিতে মামলা তদন্তে সিআ*ইডিতে হস্তান্তর করা হয়।
এ ব্যাপারে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস.আই আরমিন বলেন, মামলাটি আমরা ৪ মাস পর পাই। তখন স*ন্দেহভাজন ৩জনকে গ্রেফ*তার করা হয়। কিন্ত কোনো ক্লু পাওয়া যায়নি। আমরা দো*ষিদের খুজে বের করতে অত্যন্ত আন্তরিকভাবে চেষ্টা করছি। কিন্তু বাদি বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জনের নাম বলায় আমরা বিভ্রান্ত হচ্ছি। কিন্তু আমরা ঠা*ন্ডা মাথা*য় মামলাটির তদন্ত করছি। চার্জসিট এখন দেওয়া সম্ভব হয়নি। প্রকৃত দো*ষীদের খুজে বের করার চেষ্টা করছি।