স্টাফ রিপোর্টার
অ*বহে*লিত জনপথ নড়াইলবাসীর কাছে এখন একটি আস্থার নাম দুর্নীতি দমন কমিশনার (তদন্ত) বীর মুক্তিযো*দ্ধা এফ এম আমিনুল ইসলাম হিরু। সরকারি উচ্চ পদস্থ একজন চাকুরে হওয়া সত্ত্বেও তিনি খুব সাদাসিদা ও নি*রহং*কারি জীবন-যাপন করে থাকেন। সামর্থ ও সুযোগ থাকলে মানুষকে একটু উপকার করতে কখনই কা*র্পণ্যবোধ করেন না। বৈশ্বিক মহা*মারি করো*নার প্রা*দুর্ভাব শুরু হবার পর থেকে নড়াইলের গর্বিত এই সন্তান কর্মহীন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষকে নিজস্ব তহবিল থেকে খাদ্য ও আর্থিক সহায়তা দিয়ে যাচ্ছেন।
শুধু তাই নয় জেলার বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার ভবন নির্মাণে সংশ্লিষ্ট অফিসে তার ডিমান্ডের ভিত্তিতে গত তিনটি অর্থ বছরে জেলার ৩৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আর্থিক বরাদ্দ পেয়েছে। কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। তবে অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের দরপত্র আহবান প্রক্রিয়াধীন। জানা যায়, অনেক স্কুল-কলেজ প্রতিষ্ঠার পর থেকে কোনো শ্রেণিকক্ষ বরাদ্দ পায়নি। তাঁর সুপারিশে সেসব প্রতিষ্ঠান শ্রেণিকক্ষের জন্য আর্থিক বরাদ্দ পেয়েছে।
শিক্ষক ও সংশ্লিষ্টরা জানান, যেসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও পরিচালনা পরিষদ এই দুদক কমিশনারের কাছে তাদের প্রতিষ্ঠানের শ্রেণিকক্ষের প্রয়োজনীয়তার কথা বলেছেন তিনি তাদের সবার জন্য চেষ্টা করেছেন এবং করছেন। এ ধরণের বড় আর্থিক বরাদ্দ পাওয়ায় এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ ও ছাত্র-ছাত্রী ভীষণ খুশি। এসব কারণে অবহেলিত নড়াইলের উন্নয়নমূলক এবং সেবামূলক কাজের জন্য তিনি মানুষের মন জয় করে নিয়েছেন।
১৯৬৮ সালে নড়াইল ভিক্টোরিয়া কলেজ ছাত্র সংসদে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ থেকে মনোনয়নপ্রাপ্ত হয়ে আ্যাডভোকেট এস.এম ফজলুর রহমান জিন্নাহ-এর ক্যবিনেটে ক্রীড়া সম্পাদক নির্বাচিত হন। স্বাধীনতা সংগ্রামে মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও স্বাধীনতা যুদ্ধেও অংশগ্রহন করেন।
জানা গেছে, দুদক কমিশনারের চাহিদায় সদরে ২১টি, লোহাগড়ায় ৯টি এবং কালিয়া উপজেলায় ৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শ্রেণিকক্ষ পেয়েছে। এর মধ্যে ৯টি ডিগ্রী, উচ্চ মাধ্যমিক, ফাজিল ও আলিম মাদ্রাসা এবং ২৫টি মাধ্যমিক স্কুল ও দাখিল মাদ্রাসা রয়েছে।
স্মৃতি চারণ করতে গিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনার (তদন্ত) এফ, এম আমিনুল ইসলাম হিরু বলেন, ১৯৭০ সালে জাতীয় ও প্রাদেশিক নির্বাচনের পূর্বে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নড়াইলে একটি নির্বাচনী জনসভায় আসেন। বৃষ্টির কারণে সভামঞ্চের চারপাশ ছিল ক*র্দমাক্ত। বঙ্গবন্ধুকে মঞ্চে যেতে হলে কাঁদা মাড়িয়ে যেতে হবে। এ সময় বঙ্গবন্ধুকে বললাম, আমরা আপনাকে উঁচু করে মঞ্চে নিয়ে যাব। বঙ্গবন্ধু বললেন, পারবি আমাকে নিয়ে যেতে! তখন আমিসহ তিন বন্ধু তাঁকে উঁচু করে মঞ্চে নিয়ে যাই। এটা আমার জীবনের সেরা একটি ঘটনা। তিনি আরও বলেন, আমি নড়াইলের সন্তান। সুযোগ পেলেই নড়াইলে আসি এবং জেলার অ*বহেলিত মানুষের জন্য কিছু করার চেষ্টা করি।