দেশে হিন্দু বি*ধবারা স্বামীর সম্পত্তিতে ভা*গ পাবেন

382
22
দেশে হিন্দু বি*ধবারা স্বামীর সম্পত্তিতে ভা*গ পাবেন
হিন্দু বিধবাঃ ফাইল ছবি

ডেস্ক রিপোর্ট

বাংলাদেশের হিন্দু বি*ধবারা স্বামীর সম্পত্তিতে ভা*গ পাবেন মর্মে রায় ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। এখন থেকে কৃষিজমিসহ স্বামীর সব সম্পত্তিতে হিন্দু স্ত্রীগণ ভা*গ পাবেন ভো*গদখ*ল এবং বিক্রিও করতে পারবেন। বুধবার (২ সেপ্টেম্বর) এ সম্পর্কিত একটি মামলার চূড়ান্ত শুনানি শেষে হাইকোর্টের বিচারপতি মিফতাহ উদ্দিন চৌধুরীর একক বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।

বাংলাদেশের সংবিধানে নারী-পুরুষের সমান অধিকারের কথা বলা হয়েছে। নারী নীতিতেও বলা হয়েছে সমান অধিকারের কথা। কিন্তু সম্পত্তিতে এ দেশের হিন্দু নারীর উত্তরাধিকার প্রতিষ্ঠা পায়নি এতকাল। বুধবারের এ রায়ের ফলে হিন্দু নারীরা সেই উত্তরাধিকারের স্বীকৃতি পেলেন বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

আদালতে ব্যারিস্টার উজ্জ্বল ভৌমিক এ মামলায় এমিকাস কিউরি (আদালতের বন্ধু) হিসেবে মামলা পরিচালনায় সহায়তা করেন। বাদী গৌরীদাসীর পক্ষে আইনজীবী মো. আব্দুল জব্বার ও তার দেবরের পক্ষে ছিলেন নাফিউল ইসলাম।

ব্যারিস্টার উজ্জ্বল ভৌমিক জানান, ১৯৪১ সালে ইন্ডিয়ান ফেডারেল কোর্টের এ সংক্রান্ত এক মামলার রায়, ১৯৩৭ সালের হিন্দু আইন এবং ১৯৭২ সাল থেকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় কাঠামো পরিবর্তনের পর আইন পর্যালোচনা করে আদালত বলেন, দেশে প্রচলিত যে আইন আছে তাতে জমির (কৃষি এবং পতিত ভূমি) মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। সে জন্যই স্বামীর সব জমিতে অংশীদারিত্ব পাবেন হিন্দু বিধ*বা নারীরা।

এ রায়ের ফলে ৮৩ বছর পর স্বামীর সম্পত্তিতে অধিকার ফিরে পেলেন হিন্দু বি*ধবারা। হাইকোর্টের এ রায়ের ফলে এখন থেকে কৃষিজমিসহ স্বামীর সব সম্পত্তিতে স্ত্রীরা অংশ পাবেন। দেশে প্রচলিত আইন অনুযায়ী, হিন্দু বিধ*বারা স্বামীর কৃষিজমিরও অংশীদারি পেত না। অথচ ১৯৯৬ সালে খুলনার বটিয়াঘাটার হিন্দু বিধ*বা নারী গৌরীদাসীর নামে কৃষিজমি রেকর্ড হয়। এর বিরু*দ্ধে একই বছর খুলনার বিচারিক আদালতে (বটিয়াঘাটা) মামলা দায়ের করেন গৌরীদাসীর দেবর জ্যোতিন্দ্র নাথ।

শুনানি শেষে বিচারিক আদালত এই মামলার রায়ে বলেন, হিন্দু বি*ধবারা স্বামীর অ-কৃষিজমিতে অধিকার রাখলেও কৃষিজমির অধিকার রাখেন না। এরপর সে রায়ের বিরু*দ্ধে ১৯৯৬ সালেই গৌরীদাসী খুলনার জজ আদালতে আপিল আবেদন করেন। ওই আবেদনের প্রেক্ষিতে হিন্দু বিধ*বা নারী স্বামীর কৃষিজমির ভাগ পাবেন বলে ২০০৪ সালে রায় দেন।এরপর খুলনার জজ আদালতের রায়ের বিরু*দ্ধে হাইকোর্টে রিভিশন আবেদন করা হয়। উভয়পক্ষের দীর্ঘ শুনানি এবং এমিকাস কিউরিদের মতামত নিয়ে হাইকোর্ট রায় ঘোষণা করলেন। (সূত্রঃ বাসস)