স্টাফ রিপোর্টার
রকেটের মাধ্যমে এক চাকুরিজীবীর বেতনের টাকা খো’য়া যাওয়ার পর, তা উ’দ্ধা’র করেছে পুলিশ। বুধবার (৭ অক্টোবর) রাত ৮টার দিকে টাকার প্রকৃত মালিক নারায়নগঞ্জের সোনারগাঁও এলাকায় একটি ব্যা’টা’রি কোম্পানির টেকনেশিয়ান নাজমুল হকের কাছে এ টাকা তুলে দেন নড়াইলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রিয়াজুল ইসলাম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) ওসি নাসির উদ্দিন, এএসআই কামালসহ পুলিশ সদস্যরা।
পুলিশ জানায়, চাকুরিজীবী নাজমুলের বেতনের টাকা তার কোম্পানি থেকে প্রতিমাসে রকেটের মাধ্যমে দেয়া হয়। কিন্তু, সেপ্টেম্বর মাসের বেতনের ২২হাজার টাকা কোম্পানি থেকে ছা’ড়া হলেও প্রতা’রকচ’ক্র সেই টাকা অ’পকৌ’শলে তাদের রকেট অ্যাকাউন্টে হা’তিয়ে নেয়। নাজমুল বিষয়টি নারায়নগঞ্জ পুলিশকে জানায়।
পুলিশ প্রযুক্তি ব্যবহার করে দেখতে পায় এই টাকা প্রথমে ময়মনসিংহে, পরবর্তীতে গাজীপুরে এবং প্র’তারকচ’ক্রের হা’ত ঘুরে সবশেষে নড়াইলের লোহাগড়ায় পাঠানো হয়েছে।
এরপর নড়াইল পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিনের (পিপিএম-বার) নির্দে’শে মাঠে না’মে ডিবি পুলিশ। মাত্র দুই ঘণ্টার অভিযানে বুধবার (৭ অক্টোবর) বিকেলে নড়াইলের লোহাগড়া কলেজপাড়া এলাকা থেকে করিম খলিফা (২৫) নামে একজনকে আ’টক করে পুলিশ এবং তার কাছ থেকে সেই ২২ হাজার টাকা উ’দ্ধা’র করা হয়। করিমের বাড়ি ফরিদপুরের ভা’ঙ্গা এলাকায়। করিম পেশায় নির্মাণ শ্রমিক।
নড়াইলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রিয়াজুল ইসলাম জানান, করিম সরাসরি প্র’তারকচ’ক্রের সঙ্গে জ’ড়িত নয়। তার দুলাভাই প্র’তারকচ’ক্রের অন্যতম সদস্য। করিমের দুলাভাই অ”পকৌ’শলে তার (করিম) রকেট অ্যাকাউন্টে ২২ হাজার টাকা পাঠিয়ে দেয়। এই প্রতা’রকচ’ক্রকে গ্রে’ফতারে পুলিশ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
টাকা পেয়ে নাজমুল হক বলেন, নড়াইলের পুলিশ সুপারসহ অন্যান্য কর্মকর্তাদের আন্তরিকতায় আমি খোয়া যাওয়া ২২ হাজার টাকা ফেরত পেয়েছি। ক’ষ্টার্জিত এই টাকায় আমার সংসার চলে। টাকা ফেরত পেয়ে যেন ‘সোনার হরিণ’ হা’তে পেয়েছি।