স্টাফ রিপোর্টার
নড়াইল শহরের প্রা’ণকেন্দ্র রূপগঞ্জের পাশেই নড়াইল-যশোর সড়ক ঘেঁ’ষে কেন্দ্রিয় বাস টার্মিনাল। ওই সড়কটি এশিয়ান হাইওয়েরও অংশ। প্রতিদিন এখান থেকে শত শত যানবাহনে হাজারো যাত্রী যশোর, খুলনা, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে যাতায়াত করে। এছাড়া ব্যবসায়িক কারণেও এই স্থানটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। অথচ এই টার্মিনালের সামনের চত্বরে আছে ছোট্ট একটি ডো’বা। দীর্ঘদিন থেকে ওই ডো’বায় ফে’লা হয় আব’র্জনা। ডো’বা ছাপিয়ে এখন টার্মিনাল চত্বর থেকে সড়ক পর্যন্ত ময়লা-আবর্জনার ভা’গাড়ে পরিণত হয়েছে। যে কারণে উম্মুক্তভাবে গড়ে উঠেছে ম’য়লার ভাগা’ড়। এ ময়লার দুর্গন্ধে স্থানীয়রা যেমনি চরম দুর্ভো’গে, তেমনি বি’ড়’ম্বনায় প’ড়ছেন হাজারো পথচারী।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, বাস টার্মিনাল চত্বর ও তার আশপাশ জু’ড়ে ময়’লার একটি বিশাল স্তু’প পড়ে আছে। নড়াইল জেলা শহরের একমাত্র ময়’লার ভা’গাড় এটি। শহরের বাসাবাড়ি ও সবগুলো বাজারের সবধরনের আব’র্জনা, ক্ষুদ্র শিল্পপ্রতিষ্ঠানের ব’র্জ্য, বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি কার্যালয়ের ম’য়লা-আব’র্জনা এখানে ফেলা হচ্ছে। এখন থেকে ছড়াচ্ছে প্রচ’ন্ড দু’র্গন্ধ। এলাকার পরিবশেটাই এখন দুর্গ’ন্ধময়। যাত্রী ও পথচারীরা এখান দিয়ে চলা-চল করেন না’ক চে’পে। স্থানীয় লোকজনের না’ভিশ্বা’স অবস্থা। বিশেষ করে, পথটি অতিক্রম করার সময় শি’শুদেরকে বেশি ক’ষ্ট করতে হয়।
টার্মিনাল ঘিরে গড়ে উঠেছে গাড়ি ও য’ন্ত্রাংশ মেরামতের কারখানা। দু’র্গন্ধের কারণে এ কারখানার কর্মীরা না’কে ও মু’খে গামছা বা মা’স্ক বেঁ’ধে কাজ করেন। আছে আরো কিছু দোকান। দুর্গ’ন্ধের ফলে সেখানে থাকতে পারেন না পথচারী, যাত্রী বা স্থানীয় লোকজন। এমনকি দুর্গ’ন্ধ ঠে’কাতে টার্মিনালের দোতলায় শ্রমিক কার্যালয়ের দরজা-জানালা ব’ন্ধ করে বসেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
প্রায় চার বছর ধরে এখানে শহরের ম’য়লা ফে’লা হচ্ছে। শহরে আর কোনো বিকল্প ভাগা’ড় নেই। নড়াইল সদর পৌরসভার ম’য়লাগুলো এনে রাস্তার পাশেই ফেলে চলে যায়। পৌরসভা এলাকার প্রতিদিনের ম’য়লার রাখতে রাখতে ম’য়লার বিশাল স্তুপ হয়ে উঠেছে। এতে পুরো এলাকায় দুর্গ’ন্ধ ছ’ড়িয়ে প’ড়েছে। এখানে অবস্থানকারীরা মাঝে মাঝেই অ’সু’স্থ হচ্ছেন। দ্বিতল ভবন তৈরি করে ২০০৪ সালে এ বাস টার্মিনাল চালু হয়। গত পাঁচ-ছয় বছর ধরে এখানে ময়’লা-আব’র্জনা ফেলা হচ্ছে।