স্টাফ রিপোর্টার
যশোরের অভয়নগরে ট্রেনের সাথে প্রাইভেট কারের ধা’ক্কায় নিহ’ত ৩জন একই পরিবারের। তারা হলেন, নড়াইল শহরের ভ’ওয়াখালী এলাকার মৃ’ত সালাউল্লাহ ভূইয়ার পূত্র প্রকৌশলী হিরক ভূইয়া (৩৬), তার বড়ো বো’ন শিল্পী বেগম (৪২), ভাই’জি রাইসা (৭) এবং অন্য একজন শহরের রূপগঞ্জ এলাকার মৃ’ত মকবুল হোসেনের ছেলে হীরকের বন্ধু বালু ব্যবসায়ী আশরাফুল আলম (৩৪)। গাড়ীর ভেতরে থাকা হীরকের *স্ত্রী’ শাওন (৩০) এবং একমাত্র স’ন্তান দেড় বছ’রের শি’শু ক’ন্যা হুমায়রা খুলনা মে’ডিকেল কলেজ হাসপাতা’লে মৃ’ত্যুর সাথে লড়ছেন।
গত তিন বছরে হীরকের বাবা-মা ও দুই ভাই রো’গাক্রা’ন্ত হয়ে এ পৃথিবী থেকে বিদা”য় নিয়েছেন। সর্বশেষ হীরক ও তার বোন শি’ল্পী মা’রা যাওয়ায় শুধু তার বড়ো বো’ন শাহীনা বেঁ’চে রইলো। পরিবারটি শহরের ভ’ওয়াখালী এলাকায় ভাড়া থাকতো। হীরক ঢাকায় একটি কোম্পানিতে চাকরি করতো। এদিকে আশরাফুলের ম’রদে’হ রাতেই নড়াইলে এসেছে। শনিবার সকাল ১১টায় তার নামাজে জা’না’জা অনুষ্ঠিত হয়।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত হীরক ও তার ভাইজি রাইসা ও বো’ন শিল্পীর ম’রদে’হ এখনও নড়াইলে আসেনি। তবে নিহ’ত হীরক ভূঁইয়াসহ পরিবারের সদস্যবৃন্দের বাদ আছর রূপগঞ্জ জামে মসজিদের সামনে, জা’না’জার নামাজ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
ম’র্মা’ন্তিক এ সড়ক দু’র্ঘটনায় নড়াইলে শো’কের ছায়া নেমে এসেছে। জানা গেছে, শুক্রবার তারা চিকিৎ’সক দেখাতে প্রাইভেট কার যোগে নওয়াপাড়ায় যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে রেল ক্র’সিং-এর সময় তারা দু’র্ঘটনায় নি’পতি’ত হন। দু’র্ঘটনার সময় হীরক নিজেই গাড়ী চা’লাচ্ছিলেন।
জানা গেছে, চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে খুলনাগামী মহানন্দা মেইল ট্রেনটি শুক্রবার বিকেলে উপজেলার ভা’ঙ্গাগেট রেলক্র’সিংয়ে পৌঁছায়। এ সময় ভৈরব সেতু পার হয়ে প্রাইভেট কারটি ভা’ঙ্গাগেট রেলক্র’সিং দিয়ে যশোর-খুলনা মহাসড়কে ও’ঠার জন্য রেললাইন পা’র হচ্ছিল। এসময় রেলক্র’সিংয়ে কোনো গেট বা গেটম্যান ছিলো না। এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে রেলক্র’সিংয়ে কোনো গেট বা গেটম্যান না থাকার কারণে, প্রায় সময় দু’র্ঘটনা ঘ’টার উপ’ক্রম হয়।
ট্রেনের সাথে প্রাইভেটের ‘সংঘ’র্ষে শি’শুসহ ৪ জন নিহ’ত, নড়াইলে শো’ক