স্টাফ রিপোর্টার
নড়াইল সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজের অনার্স একাউন্টিং তৃতীয় বর্ষের এক ছা’ত্রীকে হা’ত-*পা’ ও মু’খ বাঁ’ধা অব*স্থায় পুলিশ উ’দ্ধা’র করেছে। শনিবার (১৭ অক্টোবর) রাত ৯টা ৩০ মিনিটের দিকে নড়াইল শহরের কুড়িগ্রামে চিত্রশিল্পী এস এম সুলতান কমপ্লে’ক্সের পার্শ্ব থেকে উ’দ্ধা’র করা হয়। ভূ’ক্তভো’গি ছা’ত্রীর নাম কনা বিশ্বাস। সে জেলার কালিয়া উপজেলার চাঁচুড়ি ইউনিয়নের আরাজি বাঁশগ্রামের পুস্পেন বিশ্বাসের ক’ন্যা। তাকে উ’দ্ধা’রের সদর হাসপাতা’লে ভ’র্তি করা হয়। রোববার সকাল ১০টার দিকে তার জ্ঞা’ন আসে।
মেয়েটির বাবা পুস্পেন বিশ্বাস জানান, কনা প্রতি দিনের মতো সকাল সাড়ে ৮টার বাড়ি থেকে নড়াইল ভিক্টোরিয়া কলেজের হো’স্টেলের পার্শ্বে কো’চিং করতে আসে। সকাল ৯টা ২০ মিনিটের দিকে তার সাথে কথা হলে তাকে একটি নতুন মোবাইল সিম কিনতে বলি। এর পর তার সাথে আর কথা হয়নি। দুপুরে বাড়িতে না আসায় তাকে ফোন করলে ফোন ব’ন্ধ পাওয়া যায়। বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে মে’য়ের নতুন মোবাইল নম্বর থেকে (০১৬০৮-৪৭৬৪৬০) আমার কাছে ফোন করে বলা হয় মে’য়েকে পে’তে হলে ৫ লাখ টাকা লাগবে। তখন আমি পুলিশের সাথে যোগাযোগ করি। পরে সন্ধ্যার পর এক ম’হিলা কন্ঠে মে’য়ের পুরোনো ফোন নম্বর থেকে আমাকে ফোন করে বলা হয় সুলতান কম’প্লেক্সের পার্শ্ব থেকে আপনার মে’য়েকে নিয়ে যান।
এ সময় সদর থানা পুলিশকে বিষয়টি জানালে পুলিশ মে’য়েকে উ’দ্ধা’র করে সদর হাসপা’তালে ভ’র্তি করে। রোববার সকাল ১০টার দিকে মে’য়েটির জ্ঞান ফেরার পর সে বলেছে, শনিবার দুপুর ১২টার দিকে রূপগঞ্জ নিশিনাথতলা থেকে বাড়ি যাওয়ার জন্য ভ্যানে ওঠে। পরে মাছিমদিয়া সুলতান সেতুর কাছে গেলে একজন মু’খে রুমাল ধ’রলে তার আর কিছু ম’নে নেই।
এ ব্যাপারে সদর হাসপাতালের আর এমও মশিউর রহমান বাবু বলেন, রোববার সকাল ১০টার দিকে মে’য়েটির জ্ঞা’ন ফিরেছে। মে’য়ের সকল ধরনের প’রীক্ষা-নি’রীক্ষা স’ম্পন্ন হয়েছে। রি’পোর্ট পেতে দু’একদিন সময় লাগবে।
এ ব্যাপারে নড়াইল সদর থানার ওসি ইলিয়াছ হোসেন বলেন, এ ঘটনায় মে’য়ের বাবা বা’দি হয়ে সদর থানায় মা’ম’লা করেছেন। আসা’মি অ’জ্ঞা’ত। কাওকে গ্রে’ফ’তার করা স’ম্ভব হয়নি। মে’য়ের মোবাইল ফোন নম্বর ট্রা’কিং করে আ’সা’মিদের চি’হিৃত করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে তিনি জানান।