স্টাফ রিপোর্টার
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) খুলনার উপ-পরিচালক নিভা রাণী পাঠকের স্বা’মী বেসরকারী কলেজের শিক্ষক (অবঃ) অরুণ রায় (৭২)নিহ’তের ঘ’টনায় নড়াইল সদর থানায় মা’ম’লা হয়েছে। শনিবার (২৪ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১১টায় নিহ’তের *স্ত্রী নিভা রাণী পাঠক বাদি হয়ে এ মা’ম’লা দা’য়ের করেন। আসা’মি অ’জ্ঞা’ত।
তবে এ ঘট’নায় বাড়ির ৩জন পুর’নো ও বর্তমান কে’য়ার’টেকা’র ব্যনাহাটি গ্রামের বিপুল বিশ্বাস, বিধান রায় ও অরবিন্দু দাস ও ১জন ভ্যানচালক অমরেশ রায় এবং নিহ’তের এক আ’ত্মী’য় রজত পাঠককে জি’জ্ঞা’সাবাদের জন্য আ’টক করা হয়েছে। এদিকে ঘ’টনার তিন দিনেও হ’ত্যার কোনো জ’ট খোলেনি।
মা’ম’লার বা’দি নিভা রাণী পাঠক জানিয়েছেন, কারো নাম উল্লেখ না করেই মা’ম’লা হয়েছে। শুনেছি জমিজমা নিয়ে শ’রিকদের সাথে ঝা’মে’লা ছিল। কাদের সাথে ছিল বা কোনো মা’ম’লা ছিল কিনা তাও বলতে পারব না। তিনি আরও বলেন, আমার স্বা’মী একজন নি’রী’হ লোক, এলাকায় তার কোন শ’ত্রু থাকতে পারে না। যারাই হ’ত্যা করুক তিনি এর সু’ষ্ঠু বি’চার দা’বি করেন।
অরুণ রায়ের পূত্র ইঞ্জিনিয়ার ইন্দ্রোজিত রায় জানান, আমরা বুঝতে পারছি না কিভাবে এমনটি হলো। সি’ন্দুকের চাবি এখনও পাওয়া যায়নি। পুলিশ সবার উপস্থিতিতে সি’ন্দুক খু’লে দেখা যায় সি’ন্দুকে রাখা প্রায় ২লাখ টাকা, অলংকার এবং জমির কাগজপত্র সব কিছুই ঠিকঠাক ছিল। এছাড়া বাড়ির কোনো কিছু খো’য়া যায়নি।
এ মা’ম’লার ত’দ’ন্ত কর্মকর্তা সদর থানার এস আই শিমুল কুমার দাস বলেন, আ’টক ৫জনের কাছ থেকে এখনও পর্যন্ত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। সবাইকে আলাদা আলাদা করে জি’জ্ঞা’সাবাদ চলছে। তিনি আরও বলেন, সি’ন্দুকের চাবিসহ বাড়ির অন্যান্য চাবি ছড়ার মধ্যে ছিল। ছড়াটি এখনও পাওয়া যায়নি।
জানা গেছে, মাউশির উপ-পরিচালক নিভা রাণী পাঠক, তার দু’সন্তান প্রকৌশলী ইন্দ্রোজিৎ রায় এবং এক মেয়ে চিকি’ৎসক ইন্দিরা রায় চাকরির সুবাদে জেলার বাইরে অবস্থান করেন। গ্রামের বাড়ি সদর উপজেলার তুলারামপুর ইউনিয়নের ব্যানাহাটি গ্রামে নিভা রাণীর স্বা’মী অরুণ রায় এ’কা থাকতেন।
শুক্রবার (২৩ অক্টোবর) সারাদিন অরুণ রায়ের সাথে পরিবারের সদস্যরা মোবাইল ফোনে যোগাযোগ ব’ন্ধ পান। পরে সন্ধ্যার পর নীভা রাণী ও ছেলে ইন্দ্রোজিৎ খুলনা থেকে বাড়িতে এসে ক্ল’পসি’পল গেট ব’ন্ধ পেয়ে ম’ই বে’য়ে দ্বিতল ভবনের দরজা ভে’ঙ্গে ঘরে প্রবেশ করে দেখেন অরুণ রায়কে হ’ত্যা করা অ’বঃস্থায় দেখতে পায়।