স্টাফ রিপোর্টার
নড়াইল চা’ঞ্চল্যকর কলেজ শিক্ষক (অবঃ) অরুণ রায় হ’ত্যার ঘ’টনায় দু’জনকে আ’টক করেছে সদর থানা পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, তারা প্রাথমিকভাবে তারা হ’ত্যার কথা স্বীকার করেছে। হ’ত্যায় ব্যবহৃত ছু’রি উ’দ্ধা’র করা হয়েছে। আ’টককৃতরা হলো, সদরের তুলারামপুর ইউনিয়নের ব্যানাহাটি গ্রামের নরোত্তম দত্তের পূত্র একাদশ শ্রেণির ছাত্র রাজু দত্ত (১৮) এবং তার বন্ধু পার্শ্ববর্তী যশোর জেলার জামদিয়া ইউয়িনের দোগাছি গ্রামের কৃষ্ণ বিশ্বাসের পূত্র বখা’টে দিপু বিশ্বাস (১৮)। জানা গেছে একা দু’জনই নে’শাগ্র’স্থ।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নড়াইল সদর থানা পুলিশ শুক্রবার (৩০ অক্টোবর) রাতে রাজু দত্তকে ব্যানাহাটি গ্রামের একটি মা’ছের ঘের থেকে এবং শনিবার সকালে দোগাছি গ্রামে বিলের মধ্যে থেকে দিপুকে আ’টক করে।
নিহ’তের এক নিকটা’ত্মীয় জানান, শনিবার সকাল ৯টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত নিহ’তের বাড়ির পূর্ব পার্শ্বের একটি ডো’বা থেকে পুলিশ তার (ভাসুর) ব্যবহৃত চাবির ছ’ড়া (এতে ২১টি চাবি ছিল), বাড়ির ফল কা’টা ছু’রি এবং হ’ত্যাকা’রীদের ব্যবহৃত একটি টু’পি উ’দ্ধা’র করে। তিনি বলেন, রাজু ও দিপু নে’শাগ্র’স্থ এবং এলাকায় খা’রাপ ছেলে হিসেবে পরিচিত। একদিন কলেজ শিক্ষক অরুণ রায় তাদের নে’শা করতে নি’ষে’ধ এবং ব’কাব’কি করেন। এ কারণে তাকে হ’ত্যা করতে পারে।
এ ব্যাপারে মামলার ত’দ’ন্ত কর্মকর্তা সদর থানার ওসি (অ’পারে’শন) শিমুল কুমার দাস দু’জনকে আ’টকের কথা স্বীকার করে বলেন, প্রাথমিকভাবে তারা হ’ত্যার কথা স্বীকার করেছে এবং একটি ছু’রিও পাওয়া গেছে। এখনও ১৬৪ ধারায় জবা’নব’ন্ধি নেওয়া হয়নি। জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে রোববার (১নভেম্বর) জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে হয়ত এ ব্যাপারে একটি সংবাদ সম্মেলন করা হতে পারে। তখন বিস্তারিত জানানো হবে।
পুলিশ সুপার জসিম উদ্দিন পিপিএম বলেন, দু’জনকে আট’ক করা হয়েছে। তাদের জি’জ্ঞা’সাবা’দ চলছে। হ’ত্যার কিছু আ’লা’মতও পাওয়া গেছে। এসব যা’চাই-বা’ছাই করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, শুক্রবার (২৩ অক্টোবর) রাত ৮টার দিকে সদর থানা পুলিশ সদরের তুলরামপুর ইউনিয়নের হিন্দু অধ্যুষিত ব্যানাহাটি গ্রামের নিজ বাড়িতে অ’বস’রপ্রাপ্ত কলেজ শিক্ষক অরুণ রায়ের গ’লাকা’টা লা’শ উ’দ্ধা’র করা হয়। জানা গেছে, এ বাড়িতে তিনি এ’কা থাকতেন। নিহ’তের ঘটনায় ২৪ অক্টোবর নিহ’তের *স্ত্রী নিভা রাণী পাঠক সদর থানায় অ’জ্ঞা’ত আ’সা’মিদের বিরু’দ্ধে হ’ত্যা মা’ম’লা দা’য়ের ক’রেন।