স্টাফ রিপোর্টার
নড়াইলের কালিয়ায় নবগঙ্গা নদীর ওপ’র নির্মাণাধীন ‘কালিয়া সেতুর’ কাজ ব’র্ধিত সময়েও শে’ষ হয়নি। কালিয়াবা’সীর বহুল প্রত্যাশিত এসেতুর ফে’র বা’ড়ানো হয়েছে কাজের মেয়া’দকাল। এর আগেও ন’কশা জ’টিলতা, করো’নাভা’ইরাস পরিস্থি’তি, নদীর পানির প্র’বাহ হঠাৎ বৃ’দ্ধি ও নানাবিধ অ’জুহা’ত দেখিয়ে অতিরি’ক্ত এক বছর সময় বা’ড়ানো হয়েছিল। এ পর্যন্ত সেতুর নির্মাণকাজের ৫০ শতাংশ শেষ হয়েছে। ফলে ২য় দফায় ফের কাজের মেয়াদকাল বা’ড়ানো হলেও এ সময়ের মধ্যে কাজ শে’ষ হবে কী-না তা নিয়েও দেখা দিয়েছে সংশয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, কালিয়া সেতু নির্মাণ কাজ শে’ষ করার জন্য ২০২০ সালের জুন পর্যন্তু এক বছর সময় বৃদ্ধি করা হয়েছিল। ব’র্ধিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করতে না পারায় আবারো আগামী ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত কাজের মেয়াদকাল বা’ড়ানো হয়েছে। এক দ’ফা সময় বা’ড়ানোর পরও কাজ শেষ না হওয়ায় হতা’শা ব্যক্ত করেছে নবগ’ঙ্গার দুই পারের মানুষ।
সেতুটি নির্মা’ণ কাজ শে’ষ হলে নবগঙ্গা নদীর দু’পারের প্রায় তিনলক্ষাধিক মানুষের যো’গাযো’গ ব্যবস্থার সহজ হবে। জেলা সদরের সঙ্গে কালিয়া উপজেলার সরাসরি যোগাযোগের কোন ব্য’বস্থা নেই। কালিয়া উপজেলার বারইপাড়া খে’য়া ঘা’টে একটি সেতু না থাকায় উপজেলাটি দুই ভা’গে ভা’গ হয়ে রয়েছে। নদীর একপাশে রয়েছে ৮টি অপর প্রা’ন্তে ৬টি ইউনিয়ন।
মোট ১৪টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে কালিয়া উপজেলা গঠিত। সেতুর অভা’বে এ উপজেলায় প্রায় ২শ ৩১টি গ্রামবা’সীর দু’র্ভোগের যেন শে’ষ নেই। কাজেই বারইপাড়া খেয়াঘাটে একটি সেতু নির্মাণ এলাকাবা’সীর প্রা’ণের দাবি দীর্ঘ দিনের। উপজেলা শহরের সঙ্গে সরাসরি যাতায়াত ব্যবস্থা ভাল না হওয়ায় এখানে গ’ড়ে ও’ঠেনি কোন শিল্প-কলকারখানা।
এলাকায় কৃষকরা তাদের উৎপাদিত পণ্য শহরে আনতে চ’রম দু’র্ভোগ পো’হাতে হয়। তবে ঠি’কাদারি প্রতিষ্ঠানের গা’ফিল’তি এবং সড়ক ও জনপথ বিভাগের ন’ক’শা জ’টিলতার কারণে কাজ চলছে ম’ন্থর গতিতে।
নড়াইল সড়ক ও জনপথ বিভাগ সূত্র জানায়, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় নড়াইল-কালিয়া সড়কের ২১তম কিলোমিটারে নবগঙ্গা নদীর ওপর কালিয়া সেতু নির্মাণের সিদ্ধান্ত হয়। ঠি’কাদারী প্রতিষ্ঠান মো. মইনুদ্দীন বাসী ও মো. জামিল ইকবাল যৌথভাবে সেতুটি নির্মাণ করছে।
৬৫ কোটি ৩ লাখ ৮৯ হাজার ৩৪৪ টাকা ব্যয়ে দৈর্ঘ্য ৬৫১.৮৩ মিটার এবং ১০.২৫ মিটার প্রস্থ সেতুটির কা’র্যাদেশ দেয়া হয়েছিল ১৮ মার্চ ২০১৮ এবং ২০১৯ সালের জুন মাসের মধ্যে নির্মাণ কাজ শে’ষ হওয়ার কথা থাকলেও তা হয়নি।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ডেপুটি প্রজেক্ট ম্যানেজার মিনহাজুল ইসলাম বলেন, ‘সেতুর ন’কশা জ’টিলতার কারণে প্রথম মেয়াদে এবং হঠাৎ বর্ষায় নদীতে পানির প্রবা’হ বে’ড়ে যাওয়ায় এবং করো’না পরিস্থিতির কারণে সেতুটির নির্মাণ কাজের বিল’ম্ব হয়েছে। ইতিমধ্যে ৫০ ভাগ সম্পন্ন হয়েছে। এক বছর সময় বা’ড়ানো হয়েছে। ১৭৫ জন শ্র’মিক নিয়মিত কাজ করছেন। আশা করি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শে’ষ হবে।’
এ প্রসঙ্গে নড়াইল সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপঃসহকারী প্রকৌশলী মো. শিমুল হুসাইন বলেন,‘ কেজিং স্থাপন সম’স্যার কারণে সেতুটির নির্মাণ কাজ বিল’ম্ব হচ্ছে।’ এ ব্যাপারে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোন মন্তব্য করতে রা’জি হননি।