পরী’ক্ষিৎ চৌধূরী
অবশেষে সুখবর আসা শুরু হলো। রাজধানীতে যাত্রা শুরু করলো ন্যাশনাল অ’টি’স্টি’ক একাডেমি। অ’টিজম স্পে’কট্রাম ডি’সঅ’র্ডার এবং নিউ’রো-ডেভেলপমেন্টাল ডি’জঅ্যাবি’লিটিজ শিক্ষার্থীদেরকে শিক্ষার মূলধারায় অন্তর্ভুক্ত করতে আপাতত ঢাকায় ভাড়া বাসায় অস্থা’য়ী ভিত্তিতে নির্মিত হলো জাতীয় অ’টিস্টিক একাডেমি, ন্যাশনাল একাডেমি ফর অ’টিজম অ্যান্ড নিউ’রো-ডেভেলপমেন্টাল ডি’জঅ্যাবি’লিটিজ, সংক্ষেপে নান্ড।
বিশেষ চা’হিদাস’ম্পন্ন শি’শুদের এই একাডেমির মাধ্যমে বৃত্তিমূলক ও অন্যান্য প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সক্ষ’ম করে গ’ড়ে তোলা হবে। দেওয়া হবে আবাসিক সুবিধা। উপযুক্ত আইসিটি প্রশিক্ষণও নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। শিক্ষক, অভিভাবক ও অন্যান্য অংশীদারদের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করতেও জাতীয় একাডেমি কার্যকর উদ্যোগ নেবে। বাংলাদেশে তৃ’ণমূ’লপর্যায়ে সহা’য়তা প্রদানের জন্য একটি বিশেষ শিক্ষক ও অভিভাবক প্রশিক্ষণ ইন্সটিটিউট প্রতিষ্ঠা করা এবং খেলাধুলা, সংগীত, শিল্প এবং পে’শাগত যেমন-কারিগরি, ভোকেশনাল ও আইটি প্রশিক্ষণের মাধ্যমে অ’টিস্টি’কদের বিকল্প দ’ক্ষতা প্রদান করাই জাতীয় অ’টি’স্টিক একাডেমির মূল উদ্দেশ্য।
বিশেষ চা’হিদাসম্পন্ন শি’শু নিজেদের ভিতরে এমনভাবে গু’টিয়ে থাকতে পারে যে, সে হয়তো কোনো দিন মু’খে একটি শব্দ উচ্চারণ না করে জী’বন কা’টিয়ে দেবে কিংবা একেবারে দৈনন্দিন কাজগুলো পর্যন্ত নিজে করতে পারবে না। সে জন্যে কাউকে তাদের সাহা’য্য করতে হবে। এ রকম শি’শুদের *মা-বা’বারা এক ধরনের অস’হায় আ’তঙ্ক নিয়ে দিন কা’টান। তারা ভাবেন, যখন তারা থাকবেন না তখন তাদের অ’টি’স্টি’ক শি’শুদের কে দে’খেশু’নে রাঃখবে? আমাদের প্রধানমন্ত্রীর একটি ঘোষণা সব অ’টি’স্টিক শি’শুদের *মা-বা’বার বু’কের ভে’তর এক ধরনের স্ব’স্তি ফি’রিয়ে এনেছে। তিনি এই অভিভাকদেরকে আ’শ্বস্ত করেছেন, আমাদের রাষ্ট্র অ’ভিভাবকহী’ন সকল অ’টিস্টি’ক শি’শু কিংবা প্রতিব’ন্ধীর দা’য়িত্ব নেবে। তাঁর ঘোষণা অনুযায়ী একটা ট্রাস্ট ফান্ড তৈরি করে এই অস’হা’য় শি’শুদের একটি সুন্দর জীবনের নিশ্চয়তা সৃষ্টির উদ্যোগ নেওয়া হয়। তারই পথ ধরে সৃষ্টি হয় এই একাডেমি।
নান্ডের অস্থায়ী এই ক্যাম্পাস উদ্বোধন করা হলেও একাডেমি প্রতিষ্ঠার জন্য ঢাকার অদূরে পূর্বাচলে ৩ দশমিক ৩ একর জায়গা বরা’দ্দ করা হয়েছে। প্রস্তাবিত একাডেমিতে ১৫তলা প্রশাসনিক ও একাডেমিক ভবন, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য ১০তলা আবা’সিক ভবন, ৬ তলাবিশিষ্ট একটি ছাত্র ছা’ত্রী হো’স্টেল, ৫শ আ’সনবিশিষ্ট আন্তর্জাতিক মানের অডিটোরিয়াম এবং বিশেষায়িত সুই’মিংপুল ও খেলার মাঠ থাকবে।
বর্তমান সরকার অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নে বিশ্বা’স করে। কোনো ধরনের সী’মাব’দ্ধতার কারণে কেউ যেন পি’ছিয়ে না পড়ে সেল’ক্ষ্যে গৃহীত সরকারের বিভিন্ন প’দক্ষে’পের মধ্যে এটি অন্যতম। সংশ্লিষ্টদের প্রত্যা’শা, নান্ড যেন শুধুমাত্র অ’টিস্টি’ক শিশু’দের পরিচ’র্যায় সীমাব’দ্ধ না থাকে। এটি যেন সারাদেশের শিক্ষকদের অ’টিস্টি’ক শি’শুদের পরিচর্চায় দ’ক্ষ করে গ’ড়ে তু’লতে অবদান রাখে।
আমাদের দেশে অ’টিজ’ম ও নিউ’রো-ডেভেলপমেন্টাল ডি’জঅ্যা’বিলি’টিজ (এনডিডি) ধারণাটির বহুল পরিচিতির পেছনে যার অবদান সবচেয়ে বেশি তিনি হলেন আমাদের প্রধানমন্ত্রীর কন্যা বাংলাদেশের অটিজম বিষয়ক জাতীয় উপদেষ্টা কমিটির সভাপতি সায়মা ওয়াজেদ হোসেন। প্রতিব’ন্ধী ব্যক্তি যে সমাজের বো’ঝা নয়; তাদেরকে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করার মাধ্যমে আমাদের উন্নয়নকে এগিয়ে নেওয়া যায়, এ ধারণাটি তৈরি করেছেন তিনিই। তাঁর নির’লস প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ আজ অ’টিজ’ম বিষয়ে সারাবিশ্বে নেতৃত্ব দিচ্ছে।
বিশেষ চা’হিদাসম্পন্ন শি’শুর মেধা ও শ্র’মকে সব কর্মকাণ্ডে ব্যবহারের পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। মূলত এই সব বিষয় নজরে রেখে অ’টিজ’ম শি’শু এবং প্রতিব’ন্ধীদের জন্য সরকার নানা প’দক্ষে’প গ্রহণ করেছেন। ঢাকার মিরপুরে জাতীয় প্রতিব’ন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশন ক্যাম্পাসে অ’টিজ’ম রিসো’র্স সেন্টার ও একটি অবৈত’নিক বিদ্যালয় স্থাপন করে অ’টিজ’ম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন শি’শু ও প্রতিব’ন্ধী ব্যক্তিদের বিনামূল্যে বিভিন্ন সে’বা দেয়া হচ্ছে। ঢাকা সে’নানিবাসে প্রতিব’ন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য ‘প্রয়া’স’ নামে একটি বিদ্যালয় স্থাপন করা হয়েছে। চট্টগ্রাম ও কুমিল্লায় এর শাখা করার কাজ চলছে। পাশাপাশি প্রতিটি সে’নানিবাসে শাখা প্রতিষ্ঠার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অ’টিজ’মে আক্রা’ন্তদের দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে বিনামূল্যে থে’রাপিউ’টিক, কাউন্সেলিং ও অন্যান্য সেবা এবং সহায়ক উপকরণ দেওয়া হয়েছে। ঢাকা শি’শু হাসপা’তালসহ ১৫টি সরকারি মে’ডিকেল কলেজ ও হাসপা’তালে শি’শু বিকা’শ কেন্দ্র স্থাপন করে অ’টিজ’ম ও নিউ’রো-ডেভেলপমেন্টাল সমস্যাজনিত শি’শুদের চিকি’ৎসা প্রদান করা হচ্ছে।
-২-
পর্যায়ক্রমে জেলা ও উপজেলা হাসপাতালে অ’টিজম আক্রা’ন্তদের শনা’ক্ত করে তাদের কাউন্সিলিং ও চিকি’ৎসার ব্যবস্থা করা হবে। অ’টিজ’ম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন ব্যক্তিদের জীব’নমান উন্নয়নের লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মে’ডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ইনস্টিটিউট ফর পে’ডিয়াট্রি’ক নিউ’রো-ডি’জঅ’র্ডার এন্ড অ’টিজ’ম’-এর মাধ্যমে উপজেলা পর্যায়ে ডাক্তা’রদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। স্বা’স্থ্য অধিদপ্তর ও আইসিডিডিআরবির মাধ্যমে অ’টিস্টি’ক শি’শুদের প্রাথমিক পরিচর্যাকারী হিসেবে *মা’য়েদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এ ছাড়া অ’টিজ’ম ও স্না’য়ু-বিকা’শজ’নিত সম’স্যা প্রাথমিক পর্যায়ে শ’নাক্ত করার জন্য বিশেষ’জ্ঞ গ্রু’পের মাধ্যমে মা’ঠ পর্যায়ের ক’র্মীদের উপযোগী করে স্ক্রি’নিং টু’লস প্রণ’য়ন কার্যক্রম প্র’ক্রিয়াধীন রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী ‘বিশেষ সফটওয়্যার’ তৈরি করে অ’টিস্টি’ক ও প্রতিব’ন্ধীদের কম্পিউটার ব্যবহারের সুযো’গ করে দেওয়ার ওপরও গুরু’ত্বারোপ করেছেন। বিশেষ চাহি’দাসম্পন্ন প্রত্যেক শি’শুকে শিগগিরই ‘প্রি’ভিলে’জ কার্ড’ দেওয়ার উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার।
সেবা-সহযোগিতায় বিশেষ অগ্রা’ধিকার পাবে এমন কার্ডের অধিকা’রীরা। যাতে চিকি’ৎসা, কে’নাকা’টা, শিক্ষা, গাড়ি পা’র্কিংসহ সবক্ষেত্রে তারা বিশে’ষ সুবিধা পাবেন। এ সম’স্যা মো’কাবিলায় বেসরকারিভাবেও নেয়া হয়েছে নানা উদ্যোগ। ইতোমধ্যে ঢাকায় অ’টিস্টি”ক শি’শুদের শিক্ষা দেওয়ার বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে।
বাংলাদেশ ইতোমধ্যে অনেক স্বা’স্থ্য সূচক যেমন গ’ড় আ’য়ু, মোট শি’শু জ’ন্মদা’ন হা’র এবং শি’শু ও মা’তৃমৃ’ত্যুর হা’রের ক্ষেত্রে উন্নতি অর্জন করেছে এবং কার্যকর মা’নসি’ক স্বা’স্থ্যসেবা প্রদানের জন্য যথাযথ পথে রয়েছে। স্বা’স্থ্যকর গ’ড় আ’য়ু বৃদ্ধির ক্ষেত্রে এখন মান’সি’ক স্বা’স্থ্যের গুরুত্বের স্বীকৃতি রয়েছে। মা’নসি’ক স্বা’স্থ্য ছাড়া কোনো স্বা’স্থ্যই পরিপূ’র্ণতা পায়না।
মা’নসি’ক স্বা’স্থ্য সত্যিকারেই একটি বৈ’শ্বিক চ্যা’লেঞ্জ যা মোটেও উপে’ক্ষা করা যায় না। ২০৩০ সালের মধ্যে সকল দেশ সার্বজনীন স্বা’স্থ্য কভা’রে’জ (ইউএইচসি) অর্জনে প্রতিশ্রু’তিব’দ্ধ। ২০৩০ টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (এসডিজি) এজেন্ডার অংশ হিসেবে সকল দেশ ২০৩০ সালের মধ্যে ইউএইচসি অর্জ’ন করতে প্রতিশ্রু’তিব’দ্ধ। এসডিজি অর্জ’নে বাংলাদেশ বিশ্ব স্বা’স্থ্য সংস্থার স’ঙ্গে একযো’গে কাজ করছে। এর আলোকে অ’টিজ’ম মো’কাবি’লায়ও বাংলাদেশ অনেকদুর এগি’য়ে গেছে। এমনকি বিশ্ব সম্প্রদায়ের কৌ’শল কি হতে পারে সে পথ দেখাতেও সায়মা হোসেন ওয়াজেদের হা’ত ধরে বাংলাদেশ নে’তৃত্ব দিচ্ছে।
অ’টিজ’মের বিষয়ে জাতীয় পর্যায়ে জ’নসচে’তনতা সৃষ্টি ও পদক্ষে’প এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বাংলাদেশ যা কাজ করেছে, তা গ’র্ব করার মতো। এটা সম্ভব হয়েছে রাজনৈ’তিক ইচ্ছা এবং সং’শ্লিষ্টদের সা’ড়ায়। নানান সীমাব’দ্ধতা সত্ত্বেও জাতীয় উন্নয়নে অ’টিজ’ম আক্রা’ন্তদের স’ম্পৃক্ত করতে সরকার কাজ করছে। এসডিজির সাথে সমন্বিত করে সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় অ’টিজ’ম ও অন্যান্য এনডিডি আক্রা’ন্তদের জন্য বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। আর্লি চাই’ল্ডহু’ড সেন্টারগুলোতে অন্তত দুজন প্র’তিব’ন্ধী শি’শু ভ’র্তি বা’ধ্যতামূল’ক করা হয়েছে। জাতীয় পর্যায়ের নাটক, সিনেমা ও অন্যান্য সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে অ’টিজ’ম আক্রা’ন্তদের সুযো’গ দেওয়ারও একটি নী’তিগত সি’দ্ধা’ন্ত হয়েছে। প্রতিব’ন্ধীদের সুর’ক্ষায় বাংলাদেশ ‘আন্তর্জাতিক প্রতিশ্রু’তি’কে গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে। অটিজমে আক্রা’ন্তসহ অন্যান্য প্রতিব’ন্ধীদের আর্থসামাজিক প্রয়োজনীয়তা বিবেচনায় তাদের পরি’বা’র ও সমাজে প্রতিষ্ঠিত করতে ২০১২ সালের ১২ ডিসেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে যে রেজু’লেশন গৃ’হীত হয় তাও বাংলাদেশ উ’ত্থাপন করেছিল।
অ’টিজ’ম হলো একটি ক্রমবর্ধমান স্বা’স্থ্য সম’স্যা। সেন্টার ফর ডি’জিস ক’ন্ট্রোল (সি ডি সি) এর তথ্য অনুসারে আমেরিকাতে প্রতি ৮৮ জন শি’শুর মধ্যে একজন অ’টিজ’মে আক্রা’ন্ত। তবে এর মধ্যে মে’য়েদের তুলনায় ছে’লেদের আক্রা’ন্তের হার অনেক বেশি। যেমন প্রতি ৫৪ জন ছে’লের মধ্যে একজন এবং ২৫২ জন মে’য়ের মধ্যে ১ জন অ’টিজ’মে আক্রা’ন্ত। তবে বাংলাদেশে অ’টিজ’ম স’ম্পন্ন ব্যক্তিদের একটি বড়ো অংশই না’রী। বিশেষ’জ্ঞরা বলছেন, আমাদের দেশে গ্রামের চেয়ে শহরে বাড়ছে অ’টিজ’ম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন শি’শুর সংখ্যা। প্রতি হাজারে ১ দশমিক ৪ জন গ্রামে ও শহরে ২দশমিক ৫ জন অ’টিজ’ম বৈশিষ্ট্য শি’শুর জন্ম হয়। এধরনের বিশেষ চা’হিদাসম্পন্ন শি’শু ও তাদের পরিবা’রের চা’হিদার প্রতি লক্ষ্য রেখে আমাদের সক্ষ’মতাকে আরো বৃ’দ্ধি করতে হবে। আমাদের মনে রাখতে হবে নাগরিক হিসেবে তাদেরও রয়েছে সমঅধি’কার।
এখানে একটি কথা উল্লেখ না করলেই নয়। অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশগুলোর ন্যায় বাংলাদেশেও নিউ’রো ডেভেলপমেন্টাল ডি’জঅ্যা’বলিটি’জ, অ’টিজ’ম এবং শি’শুদের ম’নঃস্বা’স্থ্যের বিষয়ে ভ্রা’ন্ত পর্যবে’ক্ষণ রয়েছে। এমনকি স্বা’স্থ্যসে’বা প্রদান’কারীদের মধ্যেও রয়েছে। এছাড়া যে সকল কর্মকর্তা অ’টিজ’ম বিষয়ক নী’তিনির্ধা’রণের বিষয়ে সম্পর্কিত রয়েছেন তাদেরও রয়েছে সী’মাব’দ্ধতা।
-৩-
অ’টিজ’মের শি’কার একজন মানুষ আর দশজন সু’স্থ্ স্বাভাবিক মানু’ষের চেয়ে কোনোদিক দিয়ে ক’ম নয়। তাদের দরকার শুধু একটি সহম’র্মিতায় ভরা পরি’বেশ, শেখার সুযোগ আর তাদের প্রতি স’মতাপূর্ণ দৃ’ষ্টি। এটুকু দি’তে পার’লেই এই মা’নুষগুলো সমাজের সবাইকে সাথে নিয়ে দেশকে এ’গিয়ে নিয়ে যেতে পারবে।
গল্পটি মাত্র দুই মাস আগের। এক দেশের বিশেষ চাহি’দাসম্পন্ন শি’শুর স্বপ্ন ছিল সে দেশের প্রধানমন্ত্রীর সাথে গল্প করবে। তার ইচ্ছে প্রধানমন্ত্রী তাকে ভি’ডিও কল করবেন। আর এ জন্য প্রতিদিন অপে’ক্ষায়ও থাকতো সে। এই স্বপ্নের কথা জানিয়ে একটা ভিডিও বার্তাও সে সামাজিক যো’গাযো’গ মা’ধ্যমে ছে’ড়ে দিয়েছিল। ভি’ডিও প্রকাশের এক দিনের মা’থায় দেশের প্রধানমন্ত্রী নিজে ভি’ডিওকল করেছেন শি’শুটিকে। তার সঙ্গে গল্প করেছেন। শুনেছেন কবিতা আবৃত্তি। বেশ কিছু সময় ধরে গল্পও শুনেছেন ছোট্ট মে’য়েটির কাছ থেকে। শি’শুটির নাম মামিজা রহমান রায়া। প্রধানমন্ত্রীর নাম শেখ হাসিনা।
আরেকটি ছবি দেখা যাক। বিভিন্ন উৎসবে মা’নুষের কাছে প্রধানমন্ত্রী যেসব কার্ড পা’ঠান, অ’টিস্টি’ক শি’শুদের আঁকা কাডর্ই পাঠান। যার কার্ড নির্বাচিত হয় তাঁকে স’ম্মানি হিসেবে এক লাখ করে টাকাও প্রদান করা হয়। প্রধানমন্ত্রীর কার্ড সাধারণত ২০ থেকে ২৫ হাজার কপি ছা’পানো হয়। অ’টিস্টি’ক শি’শুদের আঁ’কা ছবি দিয়ে ২০০৯ সাল থেকে ‘প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দিবসের কার্ড’ তৈরি হয়। অ’টিস্টি’ক ও প্রতিব’ন্ধী শিশুদের হা’তে আঁকা ছবি দিয়েই শুভেচ্ছা কার্ড বানিয়ে তা পা’ঠিয়ে আসছেন শেখ হাসিনা। যে দেশের প্রধানমন্ত্রী অ’টিজ’ম নিয়ে বে’ড়ে ও’ঠা শি’শুদের নিয়ে এভাবে মা’নবি’কতার দু’য়ার খু’লে দেন, সে দেশের এই শি’শুদের জন্য একটি স্ব’প্নের পৃথিবী গ’ড়ে উ’ঠা খুব বেশি দূবে নয়।