স্টাফ রিপোর্টার
নড়াইল সদর উপজেলার তুলারামপুর আ’শার আলো মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ রওশন আলম খানের অ’নিয়’ম-দু’র্নী’তির কারণে কলেজটির শিক্ষা কার্যক্রম ব’ন্ধ হতে বসেছে বলে অভিযো’গ উঠেছে। অধ্যক্ষের অ’নি’য়ম-দুর্নী’তি,স্ব’জনপ্রী’তি ও অর্থ আ’ত্মসা’তের বিষয়ে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য চেয়ারম্যান, দুর্নী’তি দ’ম’ন কমিশন,ঢাকা বরাবরসহ বিভিন্ন দফতরে লিখিত অভিযো’গ করেছেন এলাকাবা’সী।
ইতোমধ্যে কলেজের অধ্যক্ষের নিয়ো’গ-বাণিজ্যের বিরু’দ্ধে সংবাদ সম্মেলনসহ মু’ক্তিযো’দ্ধা মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর সঙ্গে দে’খা করে অ’নি’য়ম-দুর্নী’তির ফিরি’স্তি তু’লে ধ’রে ব্যব’স্থা গ্রহণের দা’বিও জানানো হয়েছে। একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গ’ড়ে তু’লেছেন অধ্যক্ষ রওশন আলম।
তুলারামপুর আ’শার আলো মহাবিদ্যালয়ের সাথে গ’ড়ে তু’লেছেন জে আর খান অ’টি’জিম ও প্র’তিব’ন্ধী স্কুল। এলাকাবা’সির অভিযো’গ রওশান আলম একজন দুর্নী’তিবা’জ ও রা’জাকার পরিবা’রের স’ন্তান। তার বিরু’দ্ধে নড়াইলসহ বিভিন্ন জেলায় রয়েছে না’শক’তা মা’মলাসহ রয়েছে প্রায় ১১টি মা’ম’লা। অ’নি’য়মতা’ন্ত্রিকভাবে বঙ্গবন্ধু স্কুল এন্ড কলেজ ও অ’টি’জম ও প্রতি’ব’ন্ধী স্কুল করছে এ নিয়ে জ’নম’নে ব্যা’পক স’মালো’চনার ঝ’ড় বই’ছে।
এলাকাবাসীর সুত্রে জানা গেছে, কলেজের সাথে মু’ক্তিযো’দ্ধা টে’কনিক্যা’ল স্কুল এন্ড কলেজ নামে সাই’নবোর্ড ঝু’লিয়ে নতুন করে শিক্ষক-কর্মচা’রী নিয়ো’গ বাণি’জ্য শু’রু করেছেন। তার এ নিয়ো’গ-বাণিজ্য সম্পর্কে জানতে পেরে নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা ডি’ও লেটার দি’লেও পরবর্তীতে ওই ডি’ও লেটার বা’তিল করার জন্য নতুন করে ডি’ও লে’টার দেন বলে জানা গেছে।
অধ্যক্ষের শিক্ষক নিয়ো’গ-বা’ণিজ্য করার জন্য এলাকায় একের পর এক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গ’ড়ে তু’লে নি’য়োগ বাণিজ্য চা’লিয়ে আ’সছেন। অ’নি’য়ম-দুর্নী’তি সহজে বা বা’ধাহী’নভাবে করার জন্য তার ভাইদেরসহ আ’ত্মীয়-স্ব’জন’দের ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ব’সিয়েছেন। আ’শার আলো মহাবিদ্যালয়ে চা’কুরি দে’য়ার না’মে সদরের পেড়লী গ্রামের মঞ্জুর সরদার, হা’তিয়াড়ার ইভা রানী সরকার, বাকলীর মৃনাল অধিকা’রীর কাছ থেকে টা’কা নি’লেও তাদের চা’কুরি দেননি বলে তাদের অভিযো’গ।
তুলারামপুরের মালেক মোল্যার ছে’লে নুর আলী মোল্যাকে চা’কুরি দেয়ার কথা বলে তাদের ১৬ শতক জ’মি মহাবিদ্যালয়ের বা’উন্ডা’রী ওয়া’লের মধ্যে নিয়েছেন। পরবর্তীতে ওই ছে’লের চাকু’রি না দেয়ায় ম’নের ক’ষ্টে বা’বা মালেক মোল্যা আ’ত্ম*হ’ত্যা করেন বলে অভিযো’গ উ’ঠেছে। এছাড়া উ’ল্টো নিজের মেঝ ভা’ইকে জ’মির দা’তা দেখিয়ে কলেজের সভাপতি বা’নিয়েছেন।
এ প্রসঙ্গে অধ্যক্ষ রওশন আলম বলেন, ‘কলেজে যাদের নিয়ো’গ দেয়া হয়েছে, তাদের যো’গ্যতাই নিয়ো’গ পেয়েছেন। কারো কাছ থেকে কোন টা’কা নে’য়া হয়নি।’ নিজের পরিবারের চারজনের চা’করির কথা স্বী’কার করে বলেন, ‘তাদের যো’গ্যতানুযায়ী চা’করি হয়েছে। এখানে কোন স্ব’জনপ্রী’তি করা হয়নি। একের পর এক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান করার বিষয়টি তিনি স্বী’কার করেন। তবে কোন প্রতিষ্ঠানে নি’য়োগ বাণি’জ্য করা হয়নি বলে দা’বি করেন।’