স্টাফ রিপোর্টার
”ক*ম*রেড হেমন্ত সরকারের রা*জনৈ*তিক ম*তাদর্শের সাথেই আছে বাংলাদেশের ও*য়ার্কার্স পা**র্টি। তাঁর সং*গ্রাম. নি*ষ্ঠা ও আ*ত্মত্যা**গ থেকে এ প্রজ**ন্মের কমিউনি*ষ্টদের শিক্ষা নিয়ে সামনের বন্ধুর পথ পাড়ি দেবার শপ*থ নিতে হবে। তাঁর প্রদর্শিত জনগ**ণতান্ত্রিক বিপ্ল**বের মাধ্যমে শো**ষণহী*ন সমাজব্যব*স্থা কায়েমের লক্ষেই এগিয়ে চ*লেছে আমাদের দ*ল। তবে সময়ের প্রয়োজনে মৌ**লবা**দী অ**পশ**ক্তির আ**স্ফা*লন ও মু*ক্তিযু**দ্ধের চে*তনা বিরো**ধী অ**পতৎপ**রতাকে রু**খে দিতে সাময়িকভাবে পার্টিকে বিভিন্ন কৌ**শল অ*ব*ল*ম্বন করতে হয়েছে।” সোমবার নড়াইলে তে-ভাগা আ*ন্দো**লনের অন্যতম প*থিকৃ*ত ও প্রখ্যা**ত কমিউনি*স্ট নেতা ক*ম*রেড হেমন্ত সরকারের ২২তম **মৃ**ত্যুবার্ষিকীতে আয়োজিত স্ম**রণসভায় বাংলাদেশের ওয়া*র্কার্স পা**র্টির প*লিটব্যু*রো সদস্য ক*ম*রেড মুস্তফা লুৎফুল্লাহ এমপি এসব কথা বলেন।
ইতিহাসখ্যা*ত নড়াইলের তেভাগা আ**ন্দোলনের অন্যতম শীর্ষ নে**তা ক*ম*রেড হেমন্ত সরকারের জ**ন্মস্থান নড়াইল সদর উপজেলার মুলিয়া ইউনিয়নের বড়েন্দার গ্রামে তাঁর সমা**ধি চত্বরে যৌ**থভাবে এ স্ম**রণভার আয়োজন করে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি ও বড়েন্দার হেমন্ত সরকার স্মৃ*তির*ক্ষা যু*ব কমিটি।
এবারের কর্মসূচীর মধ্যে ছিল প্র**য়াত ক*ম*রেডের সমা**ধিতে পুষ্পমা*ল্য অ**র্পণ ও সামাজিক দূ**রত্ব মেনে স্ম**রণসভা। বেলা তিনটায় ক*ম*রেড হেমন্ত সরকারের সমা**ধিস্থলে ক*ম*রেড নির্মল গো*লদা*রের সভাপতিত্বে আয়োজিত স্ম**রণসভায় প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের ওয়া*র্কার্স পা**র্টির প*লিটব্যু*রো সদস্য ক*ম*রেড কমরেড মুস্তফা লুৎফুল্লাহ এমপি, প্রধান বক্তা হিসাবে বক্তব্য রাখেন নড়াইল জেলা ওর্য়া*কার্স পা**র্টির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ক*মরে*ড নজরুল ইসলাম।
আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন ও*য়ার্কার্স পা**র্টি নড়াইল জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ক*ম*রেড অধ্যাপক আমিরুল ইসলাম, অধ্যাপক মলয় কান্তি নন্দী, শাহজাহান মৃধা, নারদ বালা, শচীন্দ্রনাথ অ*ধিকা*রী, স্বপ্না সেন ও সৌরভ গো*লদা*র। এছাড়াও বাংলাদেশের ও*র্য়াকার্স পা**র্টি (মা*র্কসবা*দী), জাতীয় গনতান্ত্রিক ফ্র*ণ্টসহ বিভিন্ন বা*মপ*ন্থী রা*জনৈ*তিক দ**ল, সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন দেশের বিভিন্ন স্থানে ক*ম*রেড হেমন্ত সরকারের **মৃ*ত্যুদিন পা*লন করেছে।
ক*মরে*ড হেমন্ত সরকার ১৯১০ সালে নড়াইল সদর উপজেলার বড়েন্দার গ্রামে এক কৃষক পরিবা*রে জ**ন্মগ্রহণ করেন। দা**রিদ্রের কারণে তিনি প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার সুযো**গ থেকে ব**ঞ্চিত ছিলেন। প্রথম জী*ব*নে তিনি নড়াইলের প্রতা**পশালী জ*মিদার*দের লা**ঠিয়াল হিসেবে কাজ করতেন। পরে উ*পমহাদে*শের প্রখ্যাত কমিউনি*স্ট নে**তা ক*ম*রেড অমল সেনের সংস্পর্শে এসে মা*র্কসবা*দের দী**ক্ষা নেন এবং সব ছেড়ে কমিউনি**স্ট আ**ন্দোলনে নি*জেকে উৎস**র্গ করেন। চল্লিশের দশকে তিনি তে-ভাগা আ*ন্দোলনে নে*তৃত্ব দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। সাংগঠনিক দক্ষ**তা ও যো*গ্যতার বলে তিনি প্রথমে পূর্ব পাকিস্তান কমিউনি*স্ট পার্টি (এম এল) ও পরবর্তীতে স্বা*ধীনতার পরে বাংলাদেশের বিপ্ল*বী কমিউনি*স্ট পার্টি (এম এল) এর যশোর জেলা ও কেন্দ্রীয় কমিটির গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। অ*কৃ**তদার এই নে**তা তাঁর ৮৮ বছরের জী**বনকালের মধ্যে ষাট বছরই জে**লখা*নায় ও আ**ত্মগো**পনে কা**টিয়েছেন। জী**বনের শে*ষ দিন পর্যন্ত তিনি কখনো আ*দর্শের সাথে আপো*ষ করেননি। ১৯৯৮ সালের ২৮ ডিসেম্বর ভোরে আ**ত্মগো**পন থাকাকালীন নড়াইলের এক বাড়ীতে তিনি শে**ষ নি:শ্বা**স ত্যা**গ করেন।