স্টাফ রিপোর্টার
পৌষসংক্রান্তি উপলক্ষে নড়াইলের আফরা-বেলতলার মেলা, শেখাটির বুড়ো মার মেলা এবং হিজলডাঙ্গার পাগল চাঁদের মেলা সম্পন্ন হয়েছে। শত বছর পূর্ব থেকে নড়াইলের এই তিনটি জায়গায় গ্রামীণ মেলা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার(১৪ জানুয়ারী) সদরের মুলিয়া ইউনিয়নের হিজলডাঙ্গায় হিন্দু ধর্মীয় গুরু পাগল চাঁদের মেলা অনুষ্ঠিত হয়। মেলায় ধর্মীয় গুরু পাগল চাঁদের স্মরণে ভক্তিগীতি, নামকীর্ত্তন ও প্রসাদ বিতরণের আয়োজন করা হয়।
মেলা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক শিক্ষক স্বপন রায় জানান, পাগল চাঁদ নামে এক হিন্দু ধর্মীয় গুরু ১৯৩৫ সালে এই হিজলডাঙ্গা গ্রামে মহাপ্রয়াণ ঘটে। তার মৃত্যুর পর থেকে পৌষ মাসের শেষ দিনে এ মেলা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। করোনার কারণে আমরা সীমিতভাবে এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে মেলা করার চেষ্টা করলেও প্রতি বছরের মতো কয়েক হাজার মানুষ এ মেলায় আসে। করোনার কারনে সদর থানা পুলিশ বিভিন্ন স্টল দিতে দেয়নি। তারপর সীমিতভাবে কিছু খাবারের দোকান খোলা ছিল।
এদিকে বৃহস্পতিবার সনাতন ধর্মের শত বছরের পুরোনো তীর্থ স্থান সদরের শেখাটি ইউনিয়নের আফরা-বেলতলার গঙ্গা মায়ের মেলা, গঙ্গা ¯œান এবং একই ইউনিয়নের শেখাটি বুড়ো মায়ের মেলা শেষ হয়েছে।
জানা গেছে, নড়াইলের এ তিনটি মেলায় অর্ধ লক্ষ মানুষের সমাগম ঘটে। এসব মেলায় দু’হাজারের বেশী ছোট বড় দোকান তাদের পসরা সাজিয়ে বসে। লোকজ বিভিন্ন কারু, হারিয়ে যাওয়া বিভিন্ন বেত ও বাঁশের তৈরী বিভিন্ন পণ্যের সমাহার ঘটে। ছোটদের বিনোদনের জন্য নাগোরদোলার ব্যবস্থা থাকে। প্রতি বছর এ এলাকার মেয়ে-জামাই মেলাকে কেন্দ্র করে বাপের বাড়িতে বেড়াতে আসেন। এ সময় এসব বাড়িতে শীতের পিঠা তৈরীর ধুম পড়ে। তবে এবার করোনার প্রাদুর্ভাব এবং পুলিশি বাঁধা-নিষেধের কারনে এবার লোক সমাগম কম ছিল।