নড়াইল পৌর নির্বাচনে এক মঞ্চে ৪মেয়র প্রার্থী, প্রতিশ্রুতি দিলেন পরিকল্পিত পৌরসভা গড়ার

5
24
নড়াইল পৌর নির্বাচনে এক মঞ্চে ৪মেয়র প্রার্থী, প্রতিশ্রুতি দিলেন পরিকল্পিত পৌরসভা গড়ার
নড়াইল পৌর নির্বাচনে এক মঞ্চে ৪মেয়র প্রার্থী, প্রতিশ্রুতি দিলেন পরিকল্পিত পৌরসভা গড়ার

স্টাফ রিপোর্টার

নড়াইল পৌরসভা নির্বাচনে এক মঞ্চে উঠলেন ৪মেয়র প্রার্থী। প্রতিশ্রুতি দিলেন পরিকল্পিত পৌরসভা গড়ার। শুক্রবার (১৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় নড়াইল সরকারী বালক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে “বদলে দিবেন? নাকি বদলে যাবেন?”এ শ্লোগানকে সামনে এনে স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন চলো পাল্টাই এর আয়োজনে এক অনুষ্ঠানে তারা এ অঙ্গিকার ব্যক্ত করেন।

আগামী ৩০জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য এ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বি চারজন প্রার্থীই একই মঞ্চে উপস্থিত থেকে বলেছেন, নড়াইল পৌরসভাকে দেশের মধ্যে অন্যতম একটি মডেল পৌরসভা হিসেবে গড়ে তুলবেন। এছাড়া প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট পৌর নির্বাচনে লেভেল প্লেইং ফিল্ড তৈরীসহ সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ন নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি জানান। দু’ঘন্টাব্যাপি চলা এ অনুষ্ঠানে ৯টি ওয়ার্ডের বাসিন্দারা তাদের স্ব স্ব এলাকার বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরেন। এছাড়া বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার ব্যক্তি মেয়র প্রার্থীদের কাছে বিভিন্ন প্রশ্ন করেন। মেয়র প্রার্থীরাও তাদের সে প্রশ্নের উত্তর দেন।

আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক আনজুমান আরা বলেন, তিনি নির্বাচিত হলে মাদক ও সন্ত্রাসমুক্ত পৌরসভা গঠন, ড্রেনেজ ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, রাস্তাঘাট, পৌরকর সহনীয়মাত্রা রাখাসহ একটি মাস্টার প্লান অনুযায়ী পৌরসভাকে গড়ে তুলবেন।
বিএনপি প্রার্থী জুলফিকার আলী বলেন, তিনি পূনরায় মেয়র নির্বাচিত হলে ২৫ বছরের পরিকল্পনা করে যাবতীয় উন্নয়নমূলক কাজ করবেন। ইসলামী আন্দোলনের মেয়র প্রার্থী মাওলানা খায়রুজ্জামান বলেন, তিনি ময়ের নির্বাচিত হলে জনগণের মতামতের ভিত্তিতে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ করা হবে।

স্বতন্ত্র (আ’লীগের বিদ্রোহী) মেয়র প্রার্থী সর্দার আলমগীর হোসেন বলেন, তিনি মেয়র হলে পরিকল্পিতভাবে রাস্তাঘাট, ড্রেন, বাড়ি, মসজিদ, মন্দির, গীর্জাসহ বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ করা হবে।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন চলো পাল্টাই এর প্রধান উপদেষ্টা নড়াইল-২ আসনের এমপি মাশরাফী বিন মোর্ত্তজার বাবা গোলাম মোর্তজা স্বপন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন নড়াইলের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন, মুক্তিযোদ্ধা, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, শিক্ষক, গুমাধ্যমকর্মী এবং বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনায় ছিলেন চলো পাল্টাই-এর সায়েদুর রহমান, হাবিবা ও হেলেন। অনুষ্ঠানটির সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন চলো পাল্টাই-এর প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক জাকারিয়া খান।