নড়াইল থেকে নবম শ্রেণির ছাত্র এক সপ্তাহ ধরে নিখোঁজ

5
274
নড়াইল থেকে নবম শ্রেণির ছাত্র এক সপ্তাহ ধরে নিখোঁজ
নড়াইল থেকে নবম শ্রেণির ছাত্র এক সপ্তাহ ধরে নিখোঁজ

স্টাফ রিপোর্টার

নড়াইল শহর থেকে সুপ্ত নামে নবম শ্রেণির মেধাবী ছাত্র এক সপ্তাহ ধরে নিখোঁ’জ রয়েছে। সুপ্তর মা গায়ত্রী রাণী সূতারের (৫০) ধারণা স্বামীর সাথে তার পারিবারিক কলহের কারনে স্বামী ছেলেকে অপহ’রণ করেছে। নিখোঁ’জের ঘটনায় সদর থানায় একটি ডায়রি হলেও তার কোনো খোঁজ মেলেনি। সুপ্ত মজুমদার নড়াইল সরকারি বালক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র।

গায়ত্রী রাণী বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড-এর (বিআরডিবি)একটি প্রজেক্টে নড়াইলে কর্মরত হওয়ার সুবাদে সুপ্ত ও অষ্টম শ্রেনিতে পড়ুয়া কন্যা দীপাকে নিয়ে শহরের আলাদাতপুর এলাকায় ভাড়া বাড়িতে বসবাস করেন। গায়ত্রী জানান, গত বুধবার(১৩ জানুয়ারী) ছেলে সারাদিন বাসায় ছিল। দুপুরের দিকে বাসা থেকে বের হয়। পরে আর ফেরেনি।

জানা গেছে, ২০০৪ সালে বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ থানার ভরপাশা গ্রামের মাখনলাল সূতারের কন্যা গায়ত্রীর সাথে একই জেলা ও থানার রুনশী গ্রামের প্রয়াত মহারাজ মজুমদারের পূত্র দীপংকর মজুমদারের বিবাহ হয়। গায়ত্রীর অভিযোগ, তাদের ঘরে সুপ্ত এবং দীপার জন্ম হবার ৬ বছরের মাথায় স্বামী অন্যত্র এক মহিলার সাথে অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে।

বিষয়টি নিয়ে এর প্রতিবাদ করলে স্বামী তার ওপর শারীরিক ও মানসিকভাবে অত্যাচার শুরু করে। এক পর্যায়ে ২লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে। এ টাকা না দেওয়ায় এবং বিভিন্ন সময় স্বামীর অনৈতিক সম্পর্কের প্রতিবাদ করায় ২০১৫ সালের ১০ফেব্রুয়ারী স্বামী তাকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। পরবর্তীতে তিনি তার নাবালিকা দু’সন্তানকে মাতৃত্বে লালন-পালনে নিজ হেফাজতে নিতে বরিশাল নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে ফৌজদারী কার্যবিধির ১০০ ধারায় মামলা করেন এবং আদালতের রায়ের মাধ্যমে ২০১৬ সালের ২৬ ডিসেম্বর নাবালক সন্তানদের নিজ হেফাজতে নেন। এর পরপরই পল্লী দারিদ্র বিমোচন ফাউন্ডেশনের মাঠকর্মী হিসেবে নড়াইলে যোগদান করে এখানে অবস্থান করছেন। দু’সন্তান নড়াইলের দু’টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে লেখাপড়া করছে।

এদিকে ২০২০ সালের ৩১ জানুয়ারী গায়ত্রী তার এবং দু’সন্তানের খাওয়া, লেখাপড়া ও চিকিৎসার খরচ পেতে নড়াইল সদর পারিবারিক আদালতে স্বামীর বিরুদ্ধে একটি খোরপোষের মামলা করেন। মামলাটি বিচারাধীন রয়েছে। গায়ত্রী রাণীর সন্দেহ স্বামী সুপ্তকে নিজ জি’ম্মায় নিতে তাকে অপহ’রণ করেছে।

এ ব্যাপারে ভূক্তভোগি গায়ত্রী রাণীর দেওয়া স্বামীর পুরোনো একটি মোবাইল নম্বরে ফোন করলে অপরপ্রাপ্ত থেকে রং নম্বর বলা হয়। এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সদর থানার এস.আই ইব্রাহীম খলিল জানান, বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট থানার এক পুলিশ কর্মকর্তা এবং ওই এলাকার কয়েকটি ফোন নম্বরে কথা বলেছি। তারা কেউ ওই ছেলেকে তার বাবার সাথে বা আশে পাশে কোথাও দেখা যায়নি।