নড়াইলে আউট অব স্কুল চিলড্রেন এডুকেশন প্রোগ্রাম বিষয়ক কর্মশালা

5
12
নড়াইলে আউট অব স্কুল চিলড্রেন এডুকেশন প্রোগ্রাম বিষয়ক কর্মশালা
নড়াইলে আউট অব স্কুল চিলড্রেন এডুকেশন প্রোগ্রাম বিষয়ক কর্মশালা

স্টাফ রিপোর্টার

নড়াইলে আউট অব স্কুল চিলড্রেন এডুকেশন প্রোগ্রাম বিষয়ক এক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (২৫ জানুয়ারী) দিনব্যাপি নড়াইল জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আউট অব স্কুল চিলড্রেন এডুকেশন প্রোগাম (পিইডিপি-৪, সাব কম্পোনেন্ট ২.৫) বাস্তবায়ন বিষয়ক অবহিতকরণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ( রাজস্ব) মোঃ ফকরুল ইলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে কর্মশালার উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান। কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) মোঃ রিয়াজুল ইসলাম, জেলা শিক্ষা অফিসার এস.এম ছায়েদুর রহমান, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ হুমায়ুন কবির, নড়াইল প্রেসক্লাবের সভাপতি এনামুল কবির টুকু প্রমুখ। কর্মশালার প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন নড়াইল জেলা উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর সহকারী পরিচালক মুহম্মদ বজলুর রশিদ এবং শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন অগ্রনী মহিলা উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক অনুপমা মিত্র। কর্মশালায় জেলা পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তা, শিক্ষক, এনজিও প্রতিনিধি সাংবাদিক, সুশীল সমাজের প্রতিনিধিসহ ৫৭ জন অংশ গ্রহন করেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান বলেন, এটি সরকারের মহৎ একটি উদ্যোগ। এ কার্যক্রম যেন জবাবদিহিতা এবং সঠিকভাবে পরিচালিত হয় সেদিকে খেয়া রাখতে হবে। এর জন্য সরকারিভাবে মনিটরিং-এর ব্যবস্থা থাকবে।

কর্মশালায় জানানো হয়- মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চান এ দেশে যেন কোন শিশু যেন শিক্ষা থেকে বঞ্চিত না হয়। সে জন্য এ কার্যক্রমের আওতায় ৮-১৪ বছরের যারা ঝড়ে পড়া এবং বিদ্যালয়ে ভর্তি না হওয়া শিশুদের চিহিৃত করে সারাদেশের মতো নড়াইল ও কালিয়া উপজেলায় ১৪০ টি বিদ্যালয়ে প্রাথমিক থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত এ শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হবে। প্রত্যেক ক্লাসে কমপক্ষে ১৫ থেকে ৩০জন শিক্ষার্থীও জন্য একজন শিক্ষক পাঠদান করবেন। এ দুই উপজেলায় ঝরে পড়া এবং বিদ্যালয়ে ভর্তি না হওয়া শিশুর তালিকা জরিপের কাজ শেষ পর্যায়ে। তবে প্রাথমিকভাবে জানানো হয়েছে এ সংখ্যা ৪ হাজার ৪৪৭ জন। চুড়ান্ত তালিকার পর এর সংখ্যা কিছু বাড়তে পারে। করোনার পর আগামি ফেব্রুয়ারী মাস থেকে স্কুলের ক্লাস কার্যক্রম চালু হলে পরবর্তী ৪২ মাস এ কার্যক্রম পরিচালিত হবে। জেলা উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো, নড়াইল এর আয়োজন করে।