মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালে স্বাধীন বাংলাদেশের সংবিধানে সকল মানুষের সমান অধিকার প্রতিষ্ঠার অঙ্গিকার ব্যক্ত করেছেন। সেই আলোকে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ভিশন বা রূপকল্প হলো ‘উন্নত জীবন এবং যত্নশীল সমাজ’ এবং মিশন বা অভিলক্ষ্য হলো ‘সামাজিক সুরক্ষা প্রদান, ক্ষমতায়ন এবং উন্নয়নের মাধ্যমে দরিদ্র, অসহায়, সুবিধাবঞ্চিত ও প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর জীবনমানের উন্নতি সাধন’। এই লক্ষ্যকে সামনে রেখে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় দেশের দুঃস্থ, দরিদ্র, অবহেলিত, অনগ্রসর ও সুযোগ-সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীকে সেবা প্রদানের মাধ্যমে মানব সম্পদে পরিণত করে দারিদ্র্যমোচন ও সামাজিক নিরাপত্তাসহ পারিবারিক উন্নয়ন সাধনে বিভিন্নমুখী কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।
মাত্র তিন চারটি কর্মসূচি নিয়ে যাত্রা শুরু করা সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় এখন তার অধীনে একটি পূর্ণাঙ্গ অধিদপ্তর ও পাঁচটি সংস্থার মাধ্যমে অর্ধ শতাধিক কার্যক্রম অত্যন্ত সাফল্যের সাথে পরিচালনা করছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মানবদরদি ও বিচক্ষণ দিক নির্দেশনায় তাঁর অধীনে তিন মেয়াদের সরকারে দেশের এমন সকল সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠী এই সকল কার্যক্রমের মাধ্যমে সেবা কর্মসূচির আওতায় এসেছে, যাদের কথা আগে কোনো সরকার চিন্তাই করেনি। তাঁর রাজনৈতিক প্রজ্ঞায় বাংলাদেশের পিছিয়ে থাকা বেশ কয়েক লক্ষ নাগরিক প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে এই মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে বিবিধ সেবা ও সুবিধাভোগ করছে এবং নিয়মিত কর্মসূচির মাধ্যমে দেশের প্রায় ০১ (এক) কোটি নাগরিক সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় এসেছে।
সমাজের অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর সার্বিক অবস্থার উন্নয়ন দেশের আর্থসামাজিক অগ্রগতির একটি গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশক। সরকার শুরু থেকে এক্ষেত্রে যথেষ্ট গুরুত্বারোপ করে আসছে। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সমাজসেবা অধিদপ্তর দেশের বিপুল সংখ্যক প্রতিবন্ধী, দুস্থ, অসহায় এবং অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর দারিদ্র্যমোচন, মানবসম্পদ উন্নয়ন ও সামাজিক নিরাপত্তাসহ অন্যান্য কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে।
সরকার ২০২০-২১ অর্থবছরে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কর্মসূচির আওতায় বয়স্কভাতা, বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা মহিলা ভাতা, অসচ্ছল প্রতিবন্ধী ভাতা এবং প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপবৃত্তির জন্য মোট ৫,৮৮৫.৬৪ কোটি টাকা বরাদ্দ প্রদান করেছে। চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরে বয়স্ক ভাতাভোগীর সংখ্যা ৪৪ লক্ষ থেকে বৃদ্ধি করে ৪৯ লক্ষ, বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা মহিলা ভাতাভোগীর সংখ্যা ১৭ লক্ষ থেকে বৃদ্ধি করে ২০ লক্ষ ৫০ হাজার, অসচ্ছল প্রতিবন্ধী ভাতাভোগীর সংখ্যা ১৫ লক্ষ ৪৫ হাজার জন থেকে বৃদ্ধি করে ১৮ লক্ষ জনে উন্নীত করা হয়েছে এবং প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপবৃত্তি কর্মসূচির আওতায় উপকারভোগীর সংখ্যা ১ লক্ষ জন করা হয়েছে। বর্তমানে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় শুধু এ চারটি কার্যক্রমের উপকারভোগীর সংখ্যা সর্বমোট ৮৮ লক্ষ ৫০ হাজার জন; যা পূর্ববর্তী অর্থবছরের মোট উপকারভোগীর তুলনায় শতকরা প্রায় ১৪.২৭ শতাংশ বেশি। অন্যান্য বছর সাধারণত ১০ শতাংশ ভাতা বৃদ্ধি করা হয়। কোভিড-১৯ বিবেচনায় অতিরিক্ত ৪.২৭ শতাংশ অর্থাৎ ৩.৩০ লক্ষ জনকে ভাতা বৃদ্ধির আওতায় আনা হয়েছে। এছাড়া, দারিদ্র্যপ্রবণ ১১২টি উপজেলায় ভাতা প্রাপ্তির যোগ্য শতভাগ মানুষকে বিধবা ও বয়স্ক ভাতা প্রদান করা হবে। সকল প্রতিবন্ধী ব্যক্তি এ বছর ভাতার আওতায় আসবে। ভাতাভোগীদের সুবিধার্থে সকল ব্যক্তিকে ডিজিটাল ব্যবস্থাপনায় (জিটুপি) এ বছর ভাতা প্রদান করা হবে।
২০২০-২১ অর্থবছরে সরকারি শিশু পরিবারসহ অন্যান্য আবাসিক প্রতিষ্ঠানের মোট ১৭ হাজার ৬৭৫ জন নিবাসীর জন্য ৭৪ কোটি ২৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ রয়েছে। ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৩ হাজার ৯২৮টি ক্যাপিটেশন গ্রান্টপ্রাপ্ত বেসরকারি এতিমখানায় ৯৬ হাজার ৬৭৬ জন এতিমে জন্য ২৩২ কোটি ২ লক্ষ ২৪ হাজার টাকা বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে। ২০২০-২১ অর্থবছরে ১ লক্ষ জন এতিমের মধ্যে ক্যাপিটেশন গ্রান্ট বাবদ ২৪০ কোটি টাকা এবং সরকারি এতিমখানায় ১০ হাজার ৩০০ জন এতিমের জন্য ৪৩ কোটি ২৬ লক্ষ টাকা বরাদ্দ রয়েছে।
দারিদ্র্যমোচন কর্মসূচির আওতায় সুদমুক্ত ক্ষুদ্রঋণ হিসেবে এ পর্যন্ত মোট ৭০৭.২৭৬২ কোটি টাকা মোট ৪৩ লক্ষ ৬ হাজার ২০৬ জনের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে। ২০২০-২১ অর্থবছরে পল্লী সমাজসেবা কার্যক্রমের আওতায় আরও ৫০ কোটি টাকা, পল্লী মাতৃকেন্দ্র (আরএমসি) কার্যক্রমের আওতায় ২২ কোটি টাকা এবং দগ্ধ ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের পুনর্বাসন কার্যক্রমের আওতায় ১.৮২ কোটি টাকার বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে।
পল্লী এলাকায় নারীদের ক্ষমতায়ন, অর্থনৈতিক মুক্তি প্রদান এবং স্বনির্ভর হওয়ার জন্য পল্লী মাতৃকেন্দ্র কার্যক্রম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বর্তমানে দেশের ৬৪টি জেলার ৪৯২টি উপজেলাসহ ৪৯৪টি ইউনিয়নের ১৪ হাজার ৮০৬টি গ্রামে মাতৃকেন্দ্র গঠন করে এ কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। বিগত ৪৫ বছরে (১৯৭৫ থেকে জুন ২০২০) ১৩ লক্ষ ৭ হাজার ২৬ জন গ্রামীণ দুঃস্থ মহিলাকে মাতৃকেন্দ্রের সদস্য হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে ৯ লক্ষ ৭০ হাজার ৬৯৬ জন মহিলাকে বিভিন্ন পেশায় বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে কর্মক্ষম করে তোলার জন্য বর্তমানে পুঞ্জীভূত বিতরণকৃত ঋণের পরিমাণ ১৬৯ কোটি ৫০ লক্ষ ২০ হাজার টাকা।
শহর সমাজসেবা কার্যক্রম (ইউসিডি) সমাজসেবা অধিদপ্তরাধীন প্রারম্ভিক কর্মসূচি। ১৯৫৫ সাল থেকে শহরের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর আর্থসামাজিক উন্নয়নকল্পে এ কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছে। বর্তমানে সকল সিটি কর্পোরেশন ও জেলা শহরসহ সর্বমোট ৮০টি শহর সমাজসেবা কার্যালয়ের মাধ্যমে এ কার্যক্রম বাস্তবায়িত হচ্ছে। শহর সমাজসেবা কার্যক্রম পরিচালিত অন্যতম কার্যক্রম সুদমুক্ত ক্ষুদ্রঋণ শহর এলাকার উন্নতজীবন এবং যত্নশীল সমাজ প্রতিষ্ঠার রূপকল্প বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সফলভাবে বাস্তবায়িত হচ্ছে। এ কার্যক্রমের মূলধনের পরিমাণ এ পর্যন্ত ৫১ কোটি ৪ লক্ষ ৬৮ হাজার টাকা এবং সুবিধাভোগীর সংখ্যা ১ লক্ষ ৩৯ হাজার ৮৭৫টি পরিবার।
ভিক্ষাবৃত্তিরমতো অমর্যাদাকর পেশা থেকে মানুষকে বিরত রাখতে সরকার ‘ভিক্ষাবৃত্তিতে নিয়োজিত জনগোষ্ঠীর পুনর্বাসন ও বিকল্প কর্মসংস্থান’ শীর্ষক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। ২০২০-২১ অর্থবছরে সরকার এই কর্মসূচির জন্য ৫ কোটি টাকা অনুমোদন দিয়েছে।
হিজড়া সম্প্রদায়কে সমাজের মূলস্রোতধারায় সম্পৃক্তকরণের জন্য ২,৬০০ জন হিজড়াকে বয়স্ক/বিশেষভাতা, ১,২২৫ জনকে ৪টি স্তরে শিক্ষা উপবৃত্তি এবং ৯৯০ জনকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে। এজন্য ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটে ৫ কোটি ৫৬ লক্ষ টাকার সংস্থান রাখা হয়েছে।
বেদে জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে ৫,১০০ জন বেদেকে বয়স্ক/বিশেষভাতা, ৪,০০০ জনকে ৪টি স্তরে শিক্ষা উপবৃত্তি, ৫০০ জনকে প্রশিক্ষণ এবং ৫০০ জনকে প্রশিক্ষণোত্তর সহায়তার জন্য ২০২০-২১ অর্থবছরে বাজেটে ৯ কোটি ২৩ লক্ষ টাকার সংস্থান রাখা হয়েছে।
দেশের চা বাগানসমূহে কর্মরত শ্রমিকরা বছরে প্রায় ৩-৪ মাস বেকার থাকে এবং সংকটাপন্ন অবস্থায় দিনযাপন করে থাকে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের লক্ষ্যে সরকার আর্থিক সহায়তা হিসেবে ২০১২-১৩ অর্থবছরে এ কর্মসূচি চালু করে। বর্তমানে এ কর্মসূচির আওতায় ৫০ হাজার শ্রমিককে বছরে এককালীন ৫ হাজার টাকা হিসেবে প্রদানের জন্য ২০২০-২১ অর্থবছরে ২৫ কোটি টাকা বরাদ্দ রয়েছে।
-৩-
ক্যান্সার, কিডনী ও লিভার সিরোসিস রোগীর আর্থিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় এ সকল রোগীদের চিকিৎসা সহায়তা বাবদ ২০২০-২১ অর্থবছরে ১৫০ কোটি টাকার বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে। বরাদ্দকৃত অর্থ দ্বারা ৩০ হাজার জন দরিদ্র ও অসচ্ছল রোগীকে ৫০ হাজার টাকা এককালীন অনুদান প্রদান করা হচ্ছে।
সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক কার্যক্রম ‘কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট কর্মসূচি’। ৫-৬ বছর বয়সি সম্পূর্ণ বধির শিশুদের অন্তঃকর্ণে কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট করলে বধির শিশু তার শ্রবণশক্তি এবং বাকশক্তি ফিরে পেয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসে। প্রতিটি কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট ডিভাইসের মূল্য প্রায় ৭ লক্ষ টাকা। বর্তমানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় নাক, কান ও গলা ইন্সটিটিউট, সি এম এইচ, ঢাকা, সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং সিএমএইচ, চট্টগ্রাম- এ ৫টি সরকারি প্রতিষ্ঠানে ইমপ্লান্ট করার সুযোগ রয়েছে। ২০২০-২১ অর্থবছরে এ কর্মসূচিতে সরকারের বরাদ্দের পরিমাণ ৩৫ কোটি টাকা।
সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশন সারাদেশের ৬৪টি জেলা ও ৩৯টি উপজেলায় মোট ১০৩টি প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্র স্থাপন করেছে। এসব কেন্দ্রের মাধ্যমে অটিজমসহ প্রতিবন্ধী ব্যক্তি এবং প্রতিবন্ধিতার ঝুঁকিতে থাকা ব্যক্তিদের বিনামূল্যে নিয়মিত থেরাপি সেবা প্রদান করা হচ্ছে। উক্ত কেন্দ্রসমূহে আগস্ট ২০২০ পর্যন্ত নিবন্ধিত রোগীর সংখ্যা ৫ লক্ষ ৩১ হাজার ৯৩ জন এবং সেবা সংখ্যা ৭০ লক্ষ ৪৬ হাজার ৯৭২টি। ২ এপ্রিল ২০১০ তারিখে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্র শীর্ষক কর্মসূচি উদ্বোধন করেন। এ কর্মসূচি পর্যায়ক্রমে উপজেলা পর্যায় পর্যন্ত সম্প্রসারণ করা হবে। ১০৩টি প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্র হতে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের মধ্যে বিনামূল্যে ৪৫ হাজার ৫৪৩টি সহায়ক উপকরণ বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া ৩২টি মোবাইল থেরাপি ভ্যানের মাধ্যমে স্থানীয় পর্যায়ে জনগণকে থেরাপি সেবা প্রদান করা হচ্ছে। ২০২০ সালের মার্চ পর্যন্ত সেবা গ্রহীতার সংখ্যা ৩ লক্ষ ৪৯ হাজার ৫৫ জন এবং সেবা সংখ্যা ৭ লক্ষ ৯০ হাজার ৮৬৬টি।
কোভিড-১৯ জনিত কারণে ‘লক ডাউন’ পরিস্থিতিতে দুঃস্থ প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সহায়তার জন্য জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশন সর্বমোট ১ কোটি ১০ লক্ষ টাকা ত্রাণ সহায়তা প্রদান করেছে। জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে বিতরণকৃত ত্রাণ সহায়তার মাধ্যমে মোট ১৬ হাজার ৭৫৫ জন দুস্থ প্রতিবন্ধী উপকৃত হয়েছে। উপকারভোগীদের বৃহদাংশ প্রতিবন্ধী মহিলা।
সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অন্যতম জাতিগঠন ও কল্যাণমূলক মন্ত্রণালয়। এ মন্ত্রণালয় দেশের দুঃস্থ, দরিদ্র, অবহেলিত, অনগ্রসর ও সুযোগ-সুবিধাবঞ্চিত ও সমস্যাগ্রস্ত জনগোষ্ঠীকে নিরলসভাবে সেবাপ্রদান করে যাচ্ছে। লক্ষ্যভুক্ত সকল জনগোষ্ঠীকে মানবসম্পদে পরিণত করে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় দারিদ্র্যবিমোচন, সামাজিক নিরাপত্তাপ্রদানের মাধ্যমে দেশের সার্বিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
লেখক : সিনিয়র তথ্য অফিসার, তথ্য অধিদফতর।