নড়াইলের কালিয়ায় আল-আমিন হ/ত্যা/র ঘটনায় আসা/মিদের বাড়ি ভাংচু/র ও লু/টপাটের অভিযোগ

4
51
কালিয়ায় আল-আমিন হ/ত্যা/কান্ডের ঘটনায় আসামিদের বাড়ি ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ
কালিয়ায় আল-আমিন হ/ত্যা/কান্ডের ঘটনায় আসা/মিদের বাড়ি ভাংচু/র ও লু/টপাটের অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার

জমির সীমানা নিয়ে নড়াইলের কালিয়া উপজেলার পাচগ্রাম ইউনিয়নের মহিষখোলা গ্রামের রেজাউল বিশ্বাস এবং মাহাবুর রহমানের মধ্যে বিরো/ধ চলে আসছিল। সম্প্রতি মাহাবুর রহমান রেজাউল বিশ্বাসের জমির একাংশ দখ/ল করে একটি বাথরুম নির্মাণ করতে গেলে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তে/জনা দেখা দেয়। ইউপি চেয়ারম্যান মো. জহুরুল হক বিষয়টি আপো/ষ মী/মাংশার জন্য ১৬ ফেব্রুয়ারি বিকেলে এক সালিশ বৈঠক ডাকেন। বৈঠকের এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘ/র্ষ বেধে যায়। সংঘ/র্ষে ১০ জনের মতো আহত হন। আহতদের নড়াইল সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর মধ্যে আল আমিন শেখ (২৮) নামে এক যুবককে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎ/সাধীন অবস্থায় ২০ ফেব্রুয়ারি /মা/রা যান। এ ঘটনায় নিহ/ত আল আমিনের ভাই লাহু শেখ বাদী হয়ে ২৪ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞা/তনামা আরো ৮/১০জনকে আসা/মি করে কালিয়া থানায় মামলা করেন।

আল আমিন মহিষখোলা গ্রামের শেখ আবুল হোসেনের ছেলে। তিনি পাশের পাটেশ্বরী গ্রামের জামে মসজিদে ইমামতী করতেন। পুলিশ মামলার এজাহারভূক্ত আসামির মধ্যে ৩জনকে আটক করে। মামলার ১৭জন আসামি আদালতে হাজির হলে আদালত তাদের জেল হাজতে প্রেরণ করেন। মামলার ৪জন আসা/মি পলাতক রয়েছেন।

গত বৃহস্পতিবার (১১ মার্চ) সরেজমিন দেখা গেছে, আসামি পক্ষের বাড়ি ঘরে কোন পুরুষ মানুষ নেই। বাড়ির মহিলারা ছেলে মেয়েদের নিয়ে আ/তংকের মধ্যে রাত যা/পন করছেন। কয়েকটি বাড়ি ভাংচু/র করা হয়েছে। অভিযোগ করা হচ্ছে আসা/মিদের ঘেরের মাছ লু/ট করা হয়েছে।

মাহাবুর রহমানের স্ত্রী লাকী বেগম বলেন, আমার স্বামী বাড়িতে না থাকার সুযোগে বাড়ি ভাংচু/র করে মালামাল সব লু/ট করে নিয়ে গেছে। নতুন বাথরুম বুধবার দুপুরে লোকজনে ভে/ঙ্গে ফেলেছে। বাড়ির নলকুপ, অনেকের ঘেরের মাছ মে/রে নিয়ে গেছে। আমরা এখন বাড়ি ছা/ড়া।

তর্জন শেখের স্ত্রী মিম বেগম বলেন, আমার স্বামীর দোকান ভাংচু/রসহ লু/টপা/ট করা হয়েছে। তিনি দাবি করেন, প্রায় দুই লাখ টাকার মালামাল লু/ট করা হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় অভিযোগ করেছি।
জানতে চাইলে মামলার বাদী লাহু শেখ বাড়ি-ঘর ভাংচু/রসহ লুটপাটের ঘটনা অস্বী/কার করেন।

তিনি বলেন, আসা/মি পক্ষের লোকজন নিজেরা রাতের বেলায় তাদের বাড়ির মালামাল অন্যত্র সরিয়ে ফেলেছে। তিনি দাবি করেন হ/ত্যা মামলাটিকে ভিন্ন খাতে দেবার জন্য এ সব অভিযো/গ করা হচ্ছে। তিনি বলেন, আমাদের বাড়ির সামনে এবং পেছনে আসা/মিদের বাড়ি রয়েছে। তাদের বাড়ি-ঘরের কোনো ক্ষ/তি হয়নি। মাহাবুর রহমানের বাড়ি ভাংচু/রের ঘটনায় মা/রামা/রির দিনে হয়েছে। এরপর আর কোন ভাংচু/র বা লু/টপাট কোন কিছুই হয়নি।

কালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. কনি মিয়া বলেন, আল আমিন হ/ত্যা মামলার ২৪ জন আসা/মির মধ্যে ৪জন আসামি প/লাতক রয়েছেন। তাদের গ্রে/প্তারের চেষ্টা চলছে। এলাকার পরিস্থিতি শান্ত আছে। পুলিশ মোতায়েন রয়েছেন।