স্টাফ রিপোর্টর
নড়াইল সদর উপজেলার সীমাখালী গ্রামে পারিবারিক কলহের জের ধরে সোমবার রাতে চার মাসের গ/র্ভবতী মোসা: মৌসুমী খাতুন (২৪) নামে এক গৃহবধূকে হ/ত্যার অভিযোগ স্বামী খায়রুল মোল্যার বিরু/দ্ধে। নিহ/ত মৌসুমী যশোর সদর উপজেলার উত্তর নলিতাদহ গ্রামের মোতালেব মিয়ার মেয়ে।
পুলিশ মঙ্গলবার লা/শ উদ্ধার করে ম/য়না তদন্তের জন্য নড়াইল সদর হাসপাতাল ম/র্গে প্রেরণ করেছে।পুলিশ ও নিহ/তের স্বজন সূত্রে জানা যায়, নড়াইল সদর উপজেলার সীমাখালী গ্রামের শাহাদাত মোল্যার ছেলে খায়রুল মোল্যা ওরফে মানোর সঙ্গে যশোর সদর উপজেলার উত্তর নলিতাদহ গ্রামের মোতালেব মিয়ার মেয়ে মোসা: মৌসুমী খাতুনের বিয়ে হয় প্রায় ৮ বছর আগে। বিয়ের পর তাদের ঘরে মারিয়া (৭) ও চাঁদনী (৮মাস) নামে দুই কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। বিয়ের পর থেকে নানা কারণে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগ/ড়া কল/হ লেগে ছিল।
মৌসুমী খাতুনের পিতা মোতালেব মিয়া জানান, আমার চারমাসের গর্ভবতী মেয়ে মৌসুমী সোমবার রাত প্রায় ১১টার সময় আমাকে মোবাইলে ফোনে জানায়, আব্বা আমাকে বাঁচাও। আমি খুব বিপদে আছি। তখন আমি তাকে নানা ধরনের কথা বলে স্বান্ত্বনা দেই। পরে মঙ্গলবার সকালে খবর পাই মেয়ে মা/রা গেছে। খবর পেয়ে দ্রুত সীমাখালী জামাই বাড়ি এসে দেখতে পাই মেয়ের গলায়সহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আ/ঘা/তের চি/হ্ন। কান দিয়ে র/ক্ত পড়ছে। স্থানীয় কয়েকজন আমাকে জানায় মানো সোমবার রাতে সীমাখালী ঘাটে জু/য়া খেলছিল। মৌসুমী এসে মানোর জু/য়া খেলার প্রতিবা/দ করায় ঘটনাস্থলে সে আমার মেয়েকে মা/রপিট করে। পরবর্তীতে বাড়ি ফিরে ওই রাতে আমার মেয়েকে হ/ত্যা করে গ/লায় র/শি ঝু/লিয়ে পালিয়ে যায়। আমি আমার মেয়ে হ/ত্যাকারীর দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই।
গৃহবধূর ফুফাতো ভাই জাহাঙ্গীর আলম জানান, খায়রুল মোল্যা ওরফে মানো নে/শাগ্রস্ত ও জু/য়া খেলায় আস/ক্ত ছিল। গৃহবধূর চাচাতো ভাই জুয়েল জানায়, আমার চাচি গত ১৯ মার্চ মৌসুমীকে উত্তর নলিতাদহ গ্রামের পিতার বাড়ি থেকে স্বামীর বাড়ি এনে রেখে যায়। সংসারের ব্যয়ভার নির্বাহ না করে নে/শা করে এবং জুয়া খেলে বেড়াতো ভগ্নিপতি মানো। নড়াইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: ইলিয়াস হোসেন জানান, পুলিশ খবর পেয়ে লা/শ উ/দ্ধার করে ম/য়না তদন্তের জন্য নড়াইল সদর হাসপাতাল ম/র্গে প্রেরণ করেছে।