স্টাফ রিপোর্টার
পদ্মাসেতু রেল লাইন প্রোজেক্টের নড়াইল অংশে রেলওয়ে সড়কে সীতারামপুরে বিলের পানি চলাচলের জন্য নির্দিষ্ট স্থানে কালভার্ট নির্মাণের দাবিতে কৃষকরা মানববন্ধন করেছে। তারা জানান, নির্দিষ্ট স্থানের পরিবর্তে অন্য কোথাও কালভার্ট হলে বিভিন্ন বিলে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হবে। ফলে প্রতি বছর কয়েক হাজার হেক্টর জমির ফসল বিনষ্ট হবে।
বুধবার (৩১ মার্চ) দুপুরে সীতারামপুরসহ স্থানীয় কয়েক গ্রামবাসীর আয়োজনে সীতারামপুরে নির্মানাধীন নড়াইল-যশোর-বেনাপোল রেললাইলের সামনে অনুষ্ঠিত এ মানববন্ধনে বক্তব্য দেন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক রনজিৎ বিশ্বাস, মুলিয়া ইউনিয়নের মেম্বর সুজন গাইন, স্বসধর বিশ্বাস, শিশুবল বিশ্বাস, নিল রতন রায় প্রমুখ। এদিকে মানববন্ধনের খবর পেয়ে এ প্রজেক্টের ত্বত্ত্বাবধানে থাকা বাংলাদেশ সেনাবাহিনী নড়াইল ক্যাম্পের দু’ কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে আসলে কৃষকরা তাদের কাছে কালভার্ট সমস্যার কথা জানান।
মেম্বর সুজন গাইন জানান, যুগ যুগ ধরে সদরের মুলিয়া, তুলারামপুর, বেতেঙ্গা, বাহিরডাঙ্গা, নয়নপুর শাহাবাদ, ভওয়াখালীসহ কয়েকটি বিলের পানি বিভিন্ন খাল-জলাশয় দিয়ে চলাচল করে। তেমনি সীতারামপুর ব্রীজের উত্তর পার্শ্বে একটি নির্দিষ্ট স্থান দিয়ে এ পানি চলাচল করে। ৫ মাস পূর্বে এখানে বালি দেওয়ার পূর্বে রেল কর্তৃপক্ষ পানি চলাচলের জন্য একটি পাইপ কালভার্ট করে দেয়। কিন্তু শোনা যাচ্ছে পার্শ্ববর্তী জমির প্রভাবশালী ও ধনী এক মালিক এই স্থানের পরিবর্তে নিজ স্বার্থে তার জায়গার ওপর কালভার্ট করার চেষ্টা করছে। তাতে জনগনের কোন লাভ হবে না। বরং এসব বিলে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হবে। আমরা মাননীয় জেলা প্রশাসক এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কাছে কালভার্টের দাবির বিষয়টি লিখিতভাবে জানাব।
জানা গেছে, পদ্মাসেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের আওতায় ঢাকা-নড়াইল-যশোর রেল লাইনে নড়াইল অংশের কাজ শুরু হয়েছে। জেলার প্রায় ২২ কিঃমিটার বিভিন্ন এলাকায় বালু ভরাট করে রোলার দিয়ে সমান করা এবং ৪টি রেলসেতুসহ অসংখ্য কালভার্ট নির্মাণের প্রাথমিক কাজ শুরু হয়েছে।
নড়াইলের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান জানান, বিষয়টি তার জানা নেই। তবে এলাকাবাসী যদি বিষয়টি অবহিত করে তাহলে আমরা প্রকল্পের প্রজেক্ট ডিরেক্টরের সাথে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করব।