নিজস্ব প্রতিবেদক
হালিমা খাতুন (৬৫)। স্বামী-সন্তানহারা। ২৫ বছর আগে স্বামী আর ১৫ বছর আগে হারান একমাত্র ছেলেকে। নিজের কোনো জমিজমা নেই। থাকেন নড়াইল পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ড ডুমুরতলা এলাকায় সরকারি জমিতে ছোট্ট কুঁড়েঘরে। সর্বহারা এই নারী তার কষ্টের কথা বলেন । ওই এলাকার কাউন্সিলর সাইফুল আলম বাচ্চু বলেন, হালিমা খাতুন দীর্ঘদিন ধরে ডুমুরতলা এলাকায় থাকেন। তার পৃথিবীতে কেউ নেই। তিনি একদিন আমার কাছে একটি ঘর চেয়েছিলেন। আমি সরকারের উপহারের ঘর তাকে দিয়েছি।
পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ড ভাদুলীডাঙ্গা এলাকার নারী শংকরী ঘোষ। ইচ্ছে ছিল বড় ছেলেকে পুলিশ অফিসার বানাবেন। কিন্তু সে আশার গুড়ে বালি। স্বামী দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ থাকায় সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
কখনো পরের বাড়িতে কাজ করে, আবার কখনো দিনমজুরি করে সংসার চালাতে হচ্ছে। দুই ছেলেকে দু’বেলা দু’মুঠো খাবার মুখে তুলে দিতে পারেন না। আর পড়ালেখার খরচ জোগানো তো দূরের কথা। বৃষ্টি এলে ঘর দিয়ে পানি পড়ে। শান্তিতে ঘুমাতেও পারেন না।
শংকরী ঘোষ বলেন, আমার কপাল খারাপ। নারী হয়েও আমাকে সংসারের হাল ধরতে হয়েছে। স্বামী বিছানায় পড়ে আছে। ঘরে কখনো চাল থাকে আবার কখনো থাকে না। বাজার করতে পারি না। ছেলেদের খাওয়াতে পারি না। তাই নিজেই সংসারের বোঝা কাঁধে তুলে নিয়েছি।
শহরের দূর্গাপুর এলাকার রাবেয়া খাতুন (৭০)। স্বামী ১৯৭২ সালে মারা যান। অনেক কষ্টে দুই ছেলেকে মানুষ করেছেন। তবে দুঃখের কথা, ছেলেরা বিয়ে করে মাকে আর দেখেন না। পরের কাছে চেয়েচিন্তে খাবার জোগাড় করেন রাবেয়া।
রাবেয়া খাতুন বলেন, আমার স্বামী মা/রা গেছে ১৯৭২ সালে। তারপর থেকে দুই ছেলেকে অনেক কষ্টে মানুষ করছি। এখন ছেলেরা বড় হয়ে আমাকে চেনে না। তারা চোখের দেখাটা পর্যন্ত করতে আমার কাছে আসে না।