স্টাফ রিপোর্টার
নড়াইলের কালিয়ায় রাজু চৌধুরী (১৬) নামের এক কিশোরকে শুপারি চো/র স/ন্দেহে আটক করা হয়। এর পর উপজেলার নড়াগাতি থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বাঐসোনা ইউপির বিতর্কিত চেয়ারম্যান শাহ মো.ফোরকান মোল্যা তাকে চ/ড়-থা/প্পড় ও লা/থি মা/রার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
রোববার (৯ মে) ওই কিশোরের নি/র্যা/তনের ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে এলাকা জুড়ে তো/লপাড় সৃষ্টি হয়। রাজু উপজেলার পদ্মবিলা গ্রামের কাইউম চৌধুরীর ছেলে। ওই ঘটনায় রাজুর বাবা বাদি হয়ে সোমবার রাতে উপজেলার নড়াগাতি থানায় চেয়ারম্যান ফোরকান মোল্যাসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। চেয়ারম্যানসহ নির্যাতনকারিরা পলাতক রয়েছে।
পুলিশ জানায়,উপজেলার নড়াগাতী থানার পদ্মবিলা গ্রামের রাজু পাশের গ্রাম মধুপুর মহাশ/শ্মানের পাশদিয়ে তার পাশের গ্রাম জলাডাঙ্গায় তার আত্মীয়ের বাড়িতে যাওয়ার সময় চেয়ারম্যানের লোক রাজুকে শুপারি চো/র বলে আটক করে।পরে বাঐসোনা ইউপির চেয়ারম্যান ফোরকান মোল্যা ঘটনাস্থলে এসে তাকে শারীরিকভাবে নি/র্যাত/ন করে। ওই ঘটনার ধারণ করা ভিডিওটি চেয়ারম্যান ফোরকান মোল্যার নামের একটি ফেসবুক আইডিতে রোববার (৯মে) ছড়িয়ে পড়লে প্রশাসনসহ এলাকায় তোলপা/ড়ের সৃষ্টি হয়।
সোমবার (১০মে) রাতে রাজুর বাবা বাদি হয়ে ফোরকান মোল্যা ও তার চাচাতো ভাই শাহীন মোল্যার নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ১ একজনকে আসা/মী করে মামলা দায়ের করেন। চোর সন্দেহে নির্যাতনের ভিডিওর বিষয়ে সরেজমিনে উপজেলার মধুপুর গ্রামের বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রায় ৩-৪ মাস আগে ওই গ্রামের বাসিন্দারা পদ্মবিলা গ্রামের কিশোর রাজুর ওপর ওই আ’লীগ নেতা ও ইউপি চেয়ারম্যান অমানবিক শারীরিক নি/র্যা/তন করে।
বাঐসোনা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও নড়াগাতি থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ মো.ফোরকান মোল্যা বলেন, ‘শুপারি চো/র ধরার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। আটক চোরকে লোক দেখানো চ/ড়-থা/প্পড় দিয়ে জনরো/ষ ও গণধো/লাই থেকে রক্ষা করি। সেটিকে কেবা কারা গোপনে ভিডিও ধারণ করে আমার রাজনৈতিক ও পারিবারিক সুনাম ন/ষ্ট করতে ফেক আইডি খুলে ফেসবুকে ছেড়ে দিয়েছে।’
নড়াগাতি থানার ওসি রোকসানা খাতুন বলেন, ‘চো/র সন্দেহে কিশোর নি/র্যা/তনের ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা ফোরকান মোল্যাসহ ৩জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। প/লাতক আসা/মীদের গ্রেফতারে পুলিশী অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’