ওশান ডেস্ক
শুক্রবার (১১ জুন) বিচার বিভাগীয় ডিজিটাল ড্যাশবোর্ড এর পরিচিতি ও তার কার্যকরী ব্যবহার নিশ্চিত করণার্থে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের এ টু আই অর্থাৎ এস্পায়ার টু ইনোভেট প্রোগ্রাম কর্তৃক পরিচালিত ‘মিশন ডিজিটাল কোর্ট-২০২১’ এর আওতায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তর এর অর্থায়নে নড়াইল জেলার বিজ্ঞ বিচারক ও কর্মচারীদের জন্য জুডিসিয়াল ড্যাশবোর্ডের ওরিয়েন্টেশন ও পরিচালনা পদ্ধতি নিয়ে ভার্চুয়াল প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়।
৩ ঘন্টাব্যাপী অনুষ্ঠিত উক্ত ভার্চুয়াল ট্রেনিং সেশনে সভাপতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নড়াইল জেলার মাননীয় জেলা ও দায়রা জজ মুন্সী মোঃ মশিয়ার রহমান, প্রধান অতিথি হিসেবে যুক্ত ছিলেন গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের আইন ও বিচার বিভাগ (প্রশাসন ১) এর যুগ্ম সচিব বিকাশ কুমার সাহা।
এছাড়া যুক্ত ছিলেন নড়াইল জেলার বিজ্ঞ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী আল মাসুদ, এটুআই জুডিসিয়ারী টিমের সদস্য অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ফারজানা খান, যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ সাব্বির মাহমুদ চৌধুরী ও সিনিয়র সহকারী জজ জনাব মাহবুব সোবহানী। আরো উপস্থিত ছিইলেন নড়াইল বিচার বিভাগের সকল পর্যায়ের বিজ্ঞ বিচারক ও কর্মচারীবৃন্দ।
সর্বমোট ০৮টি সেশনে বিভক্ত উক্ত ট্রেনিং এর প্রথম সেশনে মিশন ডিজিটাল কোর্ট ২০২১ সম্পর্কে ধারনা ও স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন এটুআই টিমের সদস্য অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ফারজানা খান। ২য় সেশনে বিচার বিভাগের ডিজিটালাইজেশনের কার্যক্রম, প্রয়োজনীতা, সম্ভাবনা ও করনীয় বিষয়ে আলোচনা করেন উক্ত প্রশিক্ষণ সভার প্রধান অতিথি গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের যুগ্ম সচিব জনাব বিকাশ কুমার সাহা। এরপর জেলা পর্যায়ে বিচার বিভাগের ডিজিটাল কার্যক্রম পরিচালনা বেগবান বিষয়ক নির্দেশনা মূলক বক্তব্যে প্রদান করেন নড়াইল জেলার মাননীয় জেলা ও দায়রা জজ মুন্সী মোঃ মশিয়ার রহমান।
নড়াইল বিচার বিভাগের বিজ্ঞ বিচারক যুগ্ম জেলা জজ জানাব সেলিনা আক্তার ও জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমাতুল মোর্শেদা ভার্চুয়াল প্রশিক্ষন কর্মশালায় উপস্থিত ৪০ জন প্রশিক্ষণার্থীকে ডিজিটাল ড্যাশবোর্ডে তথ্য ইনপুট বিষয়ক প্রশিক্ষণ প্রদান করেন।
প্রশিক্ষণার্থীদের ইনপুটকৃত তথ্য মূল্যায়ন করেন জেলা ও দায়রা জজ মুন্সী মোঃ মশিয়ার রহমান ও প্রশিক্ষক যুগ্ম জেলা জজ সেলিনা আক্তার ও জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমাতুল মোর্শেদা। জেলা ও দায়রা জজের সমাপনী বক্তব্যের মধ্য দিয়ে শেষ হয় উক্ত ভার্চুয়াল ট্রেনিং সেশন।