‘জাতীয় উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের পথযাত্রায় দক্ষিণাঞ্চল’ বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত

360
11
‘জাতীয় উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের পথযাত্রায় দক্ষিণাঞ্চল’ বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত
‘জাতীয় উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের পথযাত্রায় দক্ষিণাঞ্চল’ বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত

এনামুল কবীর টুকু

বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল তথা খুলনা বিভাগের টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে খুলনা শহরের শামসুর রহমান সড়কে ৬০ শতাংশ জমির ওপর ১৫ তলা বিশিষ্ট এডমিনিস্ট্রেটিভ কনভেনশন সেন্টার নির্মিত হচ্ছে। প্রায় ১৪৬ কোটি ২৭ লক্ষ ৬৭ হাজার টাকা ব্যয়ে ১ লক্ষ ৭৭হাজার ৩১৪ দশমিক ৯০ বর্গফুট ব্যবহৃত স্পেস বিশিষ্ট এ ভবন নির্মান প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে খুলনা বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়। ২০১৮ সালের ৩ আগষ্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসের মধ্যে নির্মান কাজ শেষ হওয়ার কথা।

এ উপলক্ষে সোমবার বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে সন্ধ্যা পৌনে ৭টা পর্যন্ত খুলনা বিভাগীয় কমিশনারের কর্যালয়ের আয়োজনে ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে অনুষ্ঠিত ‘জাতীয় উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের পথযাত্রায় দক্ষিণাঞ্চল’ বিষয়ক সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এমপি, বিশেষ অতিথি ছিলেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কে এম আলী আজম। সেমিনারের উদ্বোধনী ভাষণে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘দেশের যুবসমাজকে দক্ষ জনশক্তিতে পরিনত করা এখন সময়ের দাবি’।

খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মোঃ ইসমাইল হোসেন এনডিসি এর সভাপতিত্বে ও সঞ্চালনায় সেমিনারে দীর্ঘমেয়াদী প্রস্তাবনার মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনা করেন খুলনা বিএল কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ প্রফেসর শরীফ আতিকুজ্জামান। অপরদিকে, স্বল্পমেয়াদী প্রস্তাবনার মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনা করেন বেসরকারি সংস্থা রূপান্তরের নির্বাহী পরিচালক স্বপন কুমার গুহ। এডমিনিস্ট্রেটিভ কনভেনশন সেন্টার নির্মান প্রকল্পের তথ্য উপাত্ত উপস্থাপন করেন প্রকল্প পরিচালক আবু সায়েদ মো. মনজুর আলম। নড়াইলসহ খুলনা বিভাগের ১০টি জেলার জেলা প্রশাসক, জনপ্রতিনিধ, রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক, প্রকৌশলীসহ মোট ৯০জন এ সেমিনারে অংশগ্রহন করেন। নড়াইল জেলা প্রান্ত থেকে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান, নড়াইল প্রেসক্লাবের সভাপতি ও বাংলাদেশ টেলিভিশনের নড়াইল জেলা প্রতিনিধি এনামুল কবীর টুকু, নড়াইল সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ ড. মো. মাহবুবুর রহমান এবং কালিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. নাজমুল হুদা সেমিনারে অংশগ্রহন করেন।

সেমিনারে জানানো হয়, সরকারি, স্বায়ত্বশা/সিত, বেসরকারি কর্মকর্ত/কর্মচারিদের পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধিতে প্রশিক্ষণ ও গবেষণার সুযোগ সৃষ্টি, রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন অনুষ্ঠান, কর্মশালা, সেমিনার, সিম্পোজিয়া ইত্যাদির আয়োজন করা এবং দেশি-বিদেশি খেলোয়াড়, ব্যবসায়ী ও পর্যটকদের আবাসনের চাহিদা পূরণ করাই আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্পন্ন এ এডমিনিস্ট্রেটিভ কনভেনশন সেন্টারের মূল কার্যক্রম।

এ ছাড়াও এ ভবনে থাকছে ডে-কেয়ার সেন্টার, মাদার কর্ণার, প্রতিবন্ধীদের জন্য র‌্যাম্প, সুইমিং পুল, ফি/টনেস ক্লাব, হে/লথ সেন্টার, ফা/য়ার প্রটেকশন, বিল্ডিং মানেজমেন্ট সিস্টেম, ওয়াটার রিসাইকেলিং, ডোর ল/ক ও লাইট সেন্সর, সোলার সিস্টেম ইত্যাদি।

প্রকল্প সূত্রে আরও জানা গেছে, এডমিনিস্ট্রেটিভ কনভেনশন সেন্টারে এক সাথে ৭৫ খানা গাড়ি পার্কিং, উন্নত পরিবেশে ১১২ জনের আবাসন ব্যবস্থা, ৪৫০ জনের ব্যবহার উপযোগী মাল্টিপারপাস হল, ১৩০ জন ধারণ ক্ষ/মতাসম্পন্ন মিটিং রুম, ৩০০ জনের একটি সেমিনার হল, ১২০ জনের সেমিনার গ্যালারী, ৪০০জন ধারণ ক্ষ/মতাসম্পন্ন ৪টি লেকচার রুম, ৩০ জনের জন্য একটি ল্যাংগুয়েজ ক্লাব, ৬০ জনের ব্যবহার উপযোগী ২টি কম্পিউটার ল্যাব, এক্সিবিশন স্পেস একটি, লাইব্রেরী ১টি, জিমনেশিয়াম ১টি, ইনডোর গেম স্পেস ১টি, সুইমিং পুল ১টি, ২০০ জন একসঙ্গে বসতে পারেন এমন রেস্টুরেন্ট একটি, ৭৮ জনের জন্য ক্যাফে এ্যান্ড পেস্ট্রি ১টি, ৭৮ জনের জন্য নমাজের স্থান ১টি এবং ৭ হাজার ৭৫০ বর্গ ফুট অভ্যন্তরীণ সড়ক।