শামীমূল ইসলাম
“পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের” আওতায় নড়াইলের তুলারামপুর এলাকায় অর্ধশত পরিবার অধিগ্রহনকৃত জমি ও জমির ওপর নির্মিত স্থাপনার ক্ষতিপূরণ পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রায় ৩ বছর তুলারামপুর মৌজায় অবস্থিত জমি এবং স্থাপনার মূল্য নির্ধারণ করা হলেও এখনও তারা ক্ষতিপূরণ পাননি। ক্ষতিগ্রস্থরা এ নিয়ে এলাকাবাসী জেলা প্রশাসকের কাছের অভিযোগ দিয়েছেন।
জানা গেছে, “পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের” আওতায় ঢাকা-নড়াইল-যশোর রেল লাইনে নড়াইল অংশে ২২কিঃমিটার লাইনের কাজ শুরু হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে জেলা প্রশাসকের ভূমি অধিগ্রহন শাখা সদর ও লোহাগড়া উপজেলার বিভিন্ন মৌজার জমির সাথে সদরের ৭৯নং তুলারামপুর মৌজায় অবস্থিত অর্ধশত বাস্তুভিটা ও বাড়ি এবং ধানি জমির মূল্য ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে নির্ধারণ করা হয়। এ সময় বেশ কিছু ক্ষতিগ্রস্থ জমির মালিক তাদের স্থাপনার নির্মাণ ব্যয় জেলা প্রশাসকের কাছে পূনরায় মূল্যায়নের আবেদন করলে নড়াইল গণপূর্ত বিভাগ কর্তৃপক্ষ গত বছরের (২০২০) ৫ মার্চ যাচাই-বাছাই করে পূনরায় মূল্য নির্ধারণ করে ১৯আগস্ট এক প্রতিবেদন দেন। কিন্তু এতোদিন অতিবাহিত হলেও এসব পরিবার অধিগ্রহনকৃত জমি এবং জমির ওপর নির্মিত স্থাপনার ক্ষতিপূরণ পাননি।
তুলারামপুর গ্রামের ভূক্তভোগি নিউটন শেখ জানান, তার বংশের ৫টি পরিবার এখনও জমি এবং স্থাপনার মূল্য পায়নি। জেলা প্রশাসনের ভূমি অধিগ্রহন শাখায় গেলে অফিসের দুজন (নাম বলেননি) আজ না কাল, কাল না পরশু এভাবে ঘোরাচ্ছে। কিন্তু একই মৌজার ১৬৯৬ দাগের মামুন মোল্যা ও হায়দার আলী তাদের জমি ও স্থাপনার ক্ষতিপূরণ ঠিকই পেয়েছেন। আমরা রহস্যজনক কারনে আমাদের ক্ষতিপূরণ পাচ্ছি না।
এ ব্যাপারে নবনিযুক্ত নড়াইলের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রেভিনিউ) দেবাশীষ চৌধুরী (০১৩২৪-১৭৯৩৭৮) এ প্রতিনিধিকে বলেন, ক্ষতিপূরণ না পাওয়ার অভিযোগ পাওয়ার পর মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) তুলারামপুর অধিগ্রহনকৃত এলাকায় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমানসহ এলাকায় যাই। ভূক্তভোগিরা যাতে তাদের সঠিক ক্ষতিপূরণ পেতে পারেন সে জন্য দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেব।