আগামীকাল থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে; বাধ্যতামূলক ১০টি বিষয়

23
2

ডেস্ক রিপোর্ট

সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী আগামীকাল রোববার থেকে দেশের সব স্কুল-কলেজ খুলছে। গত ৩ সেপ্টেম্বর শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার ঘোষণা দেন। শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য আন্তঃমন্ত্রণালয় সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বাধ্যতামূলক করা হয়েছে ১০টি বিষয়। প্রতিদিনের কার্যক্রম চেকলিস্টের মাধ্যমে তদারকি করা হবে, এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন পাঠাতে হবে ঢাকায়; শিক্ষার্থীদের দৈনিক সচেতন করা হবে; বাধ্যতামূলকভাবে মাস্ক ব্যবহার; হাত ধোয়ার ব্যবস্থা; দৈনিক প্রত্যেকের শরীরের তাপমাত্রা যাচাই- এজন্য গেটে ৩০ মিনিট সময় বরাদ্দ; প্রয়োজনে পিসিআর ল্যাবে নমুনা পরীক্ষা; লক্ষণ থাকলে শিক্ষার্থীকে অনুপস্থিত হিসেবে বিবেচনা না করা; স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে ক্লাসরুমে বসানো; স্কুলে সমাবেশ না করা, তবে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ক্লাসরুমে যার যার সিটে রেখে হালকা শারীরিক কসরত; পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখা; হোস্টেলে বিশেষ নির্দেশনা অনুসরণ।

শিক্ষার্থীদের প্রতিদিন স্কুলে যেতে হবে না। শুধু পিইসি, এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা দৈনিক ক্লাস করবে। বাকিদের সপ্তাহে একদিন সরাসরি পাঠদান হবে। অন্যান্য দিনগুলো অনলাইনে বা টেলিভিশনের মাধ্যমে পাঠদান চলবে।

এছাড়া শিক্ষার্থীদের ক্লাস রুটিন নিয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর (মাউশি) ১১টি জরুরি নির্দেশনা দিয়েছে। নির্দেশনাগুলো হলো-

১. ২০২১ ও ২০২২ সালের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থী এবং পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা প্রতিদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আসবে। ২. প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ, ষষ্ঠ, সপ্তম, অষ্টম ও নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা সপ্তাহে একদিন প্রতিষ্ঠানে আসবে।

৩. সপ্তাহে প্রতিদিন নির্দিষ্ট শ্রেণিতে দুটি করে ক্লাস ধরে প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রুটিন প্রণয়ন করবে। ৪. রুটিনের সঙ্গে প্রযোজ্য ক্ষেত্রে ব্যবহারিক ক্লাসসমূহ নির্ধারণ করা যেতে পারে।

৫. যেসব প্রতিষ্ঠানে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্তর সংযুক্ত সেসব প্রতিষ্ঠান ওই সব স্তরের জন্য নির্ধারিত ক্লাসসমূহ সমন্বয় করে রুটিন প্রণয়ণ করবে।

৬. জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর চলমান ডিগ্রি, সমমান ও মাস্টার্স পরীক্ষার সঙ্গে সমন্বয় সাপেক্ষে ২০২১ ও ২০২২ সালের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের জন্য রুটিন প্রণয়ন করে শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনা করবে।

৭. রুটিন প্রণয়নের ক্ষেত্রে লক্ষ্য রাখতে হবে যেন শিক্ষার্থীদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রবেশ/প্রস্থান/অবস্থানের সময় স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘনের মতো কোনো বিষয় না ঘটে।

৮. রুটিন এমনভাবে প্রস্তুত করতে হবে যেন ভিন্ন ভিন্ন শ্রেণির শিক্ষার্থীরা ভিন্ন ভিন্ন সময়ে প্রতিষ্ঠানে প্রবেশ করে এবং প্রতিষ্ঠান থেকে বের হয়।

৯. শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আপাতত এসেম্বলি বন্ধ থাকবে। ১০. প্রতিদিন নির্ধারিত চেকলিস্ট অনুযায়ী তথ্য প্রেরণ করতে হবে। ১১. পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত ক্লাস রুটিন তৈরির ক্ষেত্রে উপর্যুক্ত বিষয়সমূহ অনুসরণ করতে হবে।