বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থা যুগোপযোগী করতে হলে করণীয়

24
7
বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থা যুগোপযোগী করতে হলে করণীয়
বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থা যুগোপযোগী করতে হলে করণীয়

মীর আব্দুল গণি, জার্মানি প্রবাসী

বাংলাদেশের শিক্ষাদান ব্যবস্থা যুযোপযোগী বা প্রক্রিয়াজাত করতে হলে নিম্নলিখিত বিষয়ে বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে- (১) ব্যক্তির মৌলিক শিক্ষার বিষয়সমূহ নির্ধারণ করে শিক্ষাদানের প্রক্রিয়া গ্রহণ করতে হবে। (২) শিশুর ৩ বা ৪ বছর বয়স হতে ৮ম বা ১০ শ্রেণি পর্যন্ত পর্যায়ক্রমে মৌলিক শিক্ষার বিষয়সমূহে শিক্ষাদানের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

(৩) কিন্ডারগার্টেনসহ ১০ম শ্রেণি পর্যন্ত সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহ যথাযথ কর্তৃপক্ষের নজরদারিতে রেখে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করতে হবে। (৪) শিক্ষা বিজ্ঞানে (pedagogic বা science of teaching) শিক্ষকদের যথাযথ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। (প্রক্রিয়াগত কোনোরূপ শূন্যতা সৃষ্টির সুযোগ না দিয়ে সদা সদ্য গবেষণালব্ধ প্রক্রিয়া অবহিত করা ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা রাখতে হবে।) গুরুত্ব দিতে হবে প্রক্রিয়া-পদ্ধতি প্রয়োগের প্রশিক্ষণে।

(৫) শিক্ষকতা পেশা গ্রহণে ইচ্ছুকদের জন্য অধ্যয়ন পর্বের একটা পর্যায় হতে শিক্ষকতার বিষয়ে অধ্যয়ন বাধ্যতামূলক করতে হবে। (যেমন- ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার ও অন্যান্য পেশা বিষয়ের শিক্ষাদানের ক্ষেত্রে করা হয়ে থাকে।) (৬) শিক্ষকের পারিশ্রমিক অবশ্যই হতে হবে সম্মানজনক ও মানসম্পন্ন জীবনযাপনের উপযোগী।

(৭) নীতিনৈতিকতায় শিক্ষককে অতি যত্নবান হতে হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বাইরে বিশেষ পাঠদানের নামে ব্যবসা বন্ধ করতে হবে। সুনাগরিক সমাজ-রাষ্ট্র গড়ে তুলতে হলে এবং শিক্ষার মান নিশ্চিত করতে হলে উল্লিখিত বিষয়সমূহ শিক্ষাব্যবস্থায় অবশ্যই যথাযথ রূপে গ্রহণ করতে হবে। চলবে…পূর্ব লেখাঃ

বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে পর্যালোচনা