স্টাফ রিপোর্টার
নড়াইল সদর উপজেলার ১৩ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন আগামী ১১ নভেম্বর। এ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নৌকা ও স্বতন্ত্র প্রার্থী একে অপরের বিরু/দ্ধে পাল্টা-পাল্টি হা/মলা-ভাংচু/রের অভিযোগ করেছেন। জানা গেছে, সদর উপজেলা কলোড়া ইউনিয়নে পৃথক হামলার ঘটনা ঘটেছে। নৌকা প্রার্থী আশিষ কুমার বিশ্বাস অভিযোগ করেন বিএনপির লোকজন নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্বাস আলী সরদার আমার সমথর্কদের বাড়ি-ঘর ভাংচু/র করেছে এবং আমার নৌকার অফিস পু/ড়িয়ে দিয়েছে।
অপরদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্বাস আলী সরদারের অভিযোগ নৌকা প্রার্থী আশিষ কুমার বিশ্বাসের সমর্থকদের হাম/লায় কমপক্ষে ৫ জন আহ/ত হয়েছে এবং এসময় একাধিক মোটর সাইকেল ভাংচু/র করা হয় বলে । এর মধ্যে আহত একজনকে সদর হাসপাতালে ভর্তিকরা হয়েছে অন্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্বাস আলী সরদারের অভিযোগ করেন, রোববার সন্ধ্যা ৭টার দিকে কলোড়া ইউনিয়নের বাহিরগ্রাম কুন্ডুপাড়া এলাকায় আমরা পৌঁছালে নৌকা প্রার্থী আশিষ কুমার বিশ্বাসের সমর্থকরা আমাদের ওপর হা/মলা চালিয়ে মোটরসাইকেলের ভাংচু/র করে এবং আমাদের মা/রধর করে। এঘটনা পর আবারও রাত সাড়ে ৮টার দিকে আগদিয়া চৌরাস্তা এলাকায় আমার সমর্থক সোহেল সিকদার (৪০)কে কু/পিয়ে ও পি/টিয়ে আহত করে বলেও অভিযোগ করেন।
আহত সোহেল সিকদার অভিযোগ করেন, আমার দোকানে এসে আমার উপর হা/মলা চালিয়ে কু/পিয়ে ও পি/টিয়ে আহত করে দোকান থেকে ৫০ হাজার টাকা নিয়ে যায়। এসময় আমার মোটর সাইকেলটিও ভাংচু/র করে নৌকার সমর্থকরা।
নৌকা প্রার্থী আশিষ কুমার বিশ্বাস হা/মলার অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি অভিযোগ করে বলেন, গতরাতে বিএনপির লোকজন নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্বাস আলী সরদার আমার সমর্থদের বাড়ি-ঘর ভাংচু/র করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্পর্কে বাজে মন্তব্য করেছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, নৌকার একাধিক অফিস পু/ড়িয়ে দিয়েছে তারা রাতে।
অপর দিকে নড়াইল সদরের মুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী বিপুল কুমার সিকদারের কর্মী ও সমর্থকদের বিভিন্ন ধরণের ভয়ভী/তি দেখানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। নৌকা প্রতীকের প্রার্থীসহ তার ছেলে শেখর অধিকারী বাহিরাগত স/ন্ত্রাসী এনে ইউনিয়নের ভোটারসহ বিভিন্ন পেশার মানুষকে হু/মকি দিচ্ছেন। এমন অভিযোগে রবিবার সন্ধ্যায় মুলিয়া বাজার এলাকায় সংবাদ সম্মেলন করেন স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী বিপুল কুমার সিকদার।
তিনি আরো বলেন, নির্বাচনে প্রচার-প্রচারণা শুরু হলেও আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী রবীন্দ্রনাথ অধিকারী ও তার ছেলে শেখর অধিকারীসহ তাদের ভাড়া করা স/ন্ত্রাসীদের তা/ন্ডবে ইউনিয়নবাসী আ/তংকিত। প্রতিনিয়ত মোহড়া দিয়ে সাধারণ ভোটারসহ আমার কর্মী সমর্থকদের ভয়ভী/তি দেখানো হচ্ছে। তারা বলছে, ভোট বুথঘরে না দিয়ে ওপেন টেবিলের উপর মা/রতে হবে। ফলে আমার কর্মী সমর্থকেরা চরম আ/তঙ্কের মধ্যে আছেন। নির্বাচন সুষ্ঠু হবে কিনা তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। সুষ্ঠু নির্বাচনসহ প্রচারণার ক্ষেত্রে সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টির জন্য নির্বাচন কমিশন ছাড়াও প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শওকত কবির বলেন, উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হলে আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাদের শান্ত করি। সোমবার সকাল ১০টা পর্যন্তু কোন পক্ষে লিখিত অভিযোগ করেনি, অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।