নড়াইলে ইউপি নির্বাচনে উত্তাপ বাড়ছে, বিদ্রোহী প্রার্থীরা ভোট নিয়ে শংকা!

4
29
নড়াইলে ইউপি নির্বাচনে উত্তাপ বাড়ছে, বিদ্রোহী প্রার্থীরা ভোট নিয়ে শংকা!
নড়াইলে ইউপি নির্বাচনে উত্তাপ বাড়ছে, বিদ্রোহী প্রার্থীরা ভোট নিয়ে শংকা!

এস কে সুজয়

ইউপি নির্বাচনের দিন যত ঘনিয়ে আসছে ততই নির্বাচনী সহিং/সতার উত্তাপ বাড়ছে। বিদ্রোহী প্রার্থীর প্রচার মাইক ভাংচু/র, কর্মীদের কাজে বাধা হুম/কীসহ নানা অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে, পুলিশ বিদ্রো/হীদের মামলা গ্রহণ না করে টালবাহানা করছেন এমন অভিযোগ ও রয়েছে। নির্বাচনী সহিং/সতা হয়েছে আউড়িয়া, চন্ডিবরপুর, শাহাবাদ,কলোড়া সহ প্রায় সব ইউনিয়নে।

সদরের শাহাবাদ ইউনিয়নে আ.লীগ প্রার্থীর বিপরীতে দুইজন বিদ্রোহী প্রার্থী। এখানে আ.লীগ প্রার্থীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহী জিয়াউর রহমান জিয়া ও দেলোয়ার হোসেন পান্নার অভিযোগ রয়েছে। প্রচার মাইক ভাংচুর, সমর্থকদের বিরুদ্ধে মারধ/র ১ নভেম্বর এবং ৭ নভেম্বর রাতে পান্নার প্রচার মাইক ও কয়েকটি মোটর সাইকেল ভেঙ্গে ফেলে স/ন্ত্রাসীরা। এর আগে ২৮ অক্টোবর জিয়াউর রহমান জিয়ার প্রচার মাইক এবং কর্মীকে হুমকী সহ পোষ্টার ছিড়ে ফেলার ঘটনা ঘটেছে। সহিংসতার অভিযোগ কলোড়া ইউপিতে আ.লীগ প্রার্থী আশিষ এর বিরুদ্ধে।

শাহাবাদ ইউপতে বিদ্রোহী মোটর সাইকেল প্রতীকের প্রার্থী জিয়াউর রহমান বলেন, নির্বাচনে হ/ত্যা এবং মারধ/রের হু/মকী দিচ্ছে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী। আমি আমার নিজের জীবন নিয়েও শংকায় আছি।

অপর বিদ্রোহী আনারস প্রতীকের দেলোয়ার হোসেন পান্না বলেন,১ নভেম্বর হামলার পরে থানায় এজাহার দিলাম কোন ব্যবস্থা নিলো না, ৭নভেম্বর আবার বহিরাগতরা এসে হকিস্টিক নিয়ে হাম/লা করেছে, মামলা করে কি হবে বুঝতে পারছি না।

অভিযোগ বিষয়ে শাহাবাদ ইউনিয়নের আ.লীগের প্রার্থী আশরাফ খান মাহমুদের সাথে কথা বলার জন্য যোগাযোগ করা হলে কয়েক দফা ফোন কেটে দেন, পরে ফোন রিসিভ করে তিনি ব্যাস্ত আছেন বলে মোবাইল সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।

নির্বাচনী সহিং/সতার বিষয়ে নড়াইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো.কবির হোসেন বলেন, যখনই যেখানে সহিং/সতার খবর পাচ্ছি সেখানেই পুলিশ যাচ্ছে, প্রার্থীরা মামলা করতে চাইলে আমরা মামলা নিয়ে নিবো।

শিংগাসোলপুর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান ও বিদ্রোহী প্রার্থী মো.উজ্জ্বল শেখ নিজের জীবনের আশংকা করেছেন। ওয়ার্ড আ.লীগের নেতৃবন্দ সহ আ.লীগ কর্মীরা তার সাথে প্রচারে রয়েছেন। এদর অভিযোগ,নৌকা প্রার্থী ও তার কর্মীরা বলে বেড়াচ্ছেন,ভোট না দিলেও আমরা চেয়ারম্যান হবো,এলাকা ছাড়ার হুমকী রয়েছে তাদের উপর।
সিংগাসোলপুর ইউনিয়নের আ.লীগের প্রার্থী সাইফুল ইসলাম হিটু সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন,এসব ভিত্তিহীন বানানো কথা। আমি কিম্বা আমার কোন কর্মী এ ধরনেন হুমকী কিম্বা ভয়ভীতি প্রদর্শন করিনি।

এদিকে হবখালী ইউনিয়নের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মো.টিপু সুলতান বলেন, আমি ৩৩ মার্কস পেয়ে পাশ করতে চাই না,আমি চাই প্রতিদ্বন্দীতামূলক ভোটে জনগন স্বতঃস্ফুর্তভাবে আমাকের নির্বাচিত করুক। আগামী ১১ নভেম্বর নড়াইল সদরের ১৩ ইউনিয়নে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। বড় দলগুলো নির্বাচনে অংশ না নেয়ায় আ.লীগ আর বিদ্রোহীদের মধ্যেই নির্বাচন জমে উঠছে। বেশীরভাগ ইউনয়নে বিদ্রোহীরাই মাঠ দখলে রেখেছে।

সদরের ১৩ ইউনিয়নের ৬ টিতে বিদ্রোহী প্রতিদ্বন্দিতা করছেন বর্তমান চেয়ারম্যান। কয়েক ইউনিয়নে কয়েক দফা প্রার্থী ও বদল হয়েছে আ.লীগের। আ.লীগ সমর্থকরাই এখন বিদ্রোহীদের পক্ষে কাজ করছেন। নানা আতঙ্ক আর হামলার ভয়ে জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে,সদর উপজেলার ১৩ ইউনিয়নে ১ লক্ষ ৯০ হাজার ২’শ ৪৫ ভোটর ভোট প্রদান করবেন। মোট ৪৪ জন চেয়ারম্যান ৩১ জন সংরক্ষিত আসনের প্রার্থী ৩৮২ জন সাধারন সদস্য পদে লড়ছেন।

সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো.কামরুজ্জামান বলেন, নির্বাচনের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন,প্রার্থীদের ভোট নিয়ে সংশয় থাকতে পারে,তবে আমরা নির্বাচন সুষ্ঠু করতে সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করছি।

নড়াইলের পুলিশ সুপার প্রবীর কুমার রায় বলেন,সদর উপজেলার পুরো এলাকায় পুলিশের উর্দ্ধকন কর্মকর্তা সহ ডিবি,ডি এসবি মোতায়েন রয়েছে। কে কোথায় ভোট দিলো এটা পুলিশের কাজ নয়। সকল ভোটার যেন নির্ভয়ে ভোট দিতে পারে আমরা সেই পরিবেশ বজায় রাখবো।