স্টাফ রিপোর্টার
নড়াইল সদেররর ভদ্রবিলা ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আ’লীগ মনোনীত প্রার্থী সৈয়দ আবিদুল ইসলাম (৫০) ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) মামলা হয়েছে। সোমবার (৮ নভেম্বর) বিকেলে দুদকের যশোর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে ওই মামলা হয়। বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) এ ইউনিয়নসহ ১৩টি ইউনিয়নে নির্বাচন।
দুদক সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালের একটি অভিযোগের ভিত্তিতে দুদক ২০১০ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত তাঁদের সম্পদের অনুসন্ধান করে। এতে দেখা যায় আবিদুল ইসলামের (৫০) ঢাকার গুলশানে একটি বাড়ি, মিরপুরে একটি ফ্লাট ও আরেকটি প্লট রয়েছে। এ ছাড়া ওই সময়ে (২০১০-২০১৯) তাঁর ৪ কোটি ৮২ লাখ ৩০ হাজার ১৬৩ টাকার অস্থবর সম্পদের তথ্য পাওয়া যায়, যার মধ্যে রয়েছে গাড়ি, পিস্তল, গুলি, আসবাব এবং গৃহস্থলির অন্যান্য মালামাল। তিনি দুদকে যে সম্পদ বিবরণী দাখিল করেছেন তা যাচাই করে ৫ কোটি ৪৫ লাখ ৫৬ হাজার ৬২২ টাকা জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের তথ্য পাওয়া গেছে। এ ছাড়া তাঁর স্ত্রী ইসরাত জাহান সহেলীর (৫০) ৮০ লাখ ৯৬ হাজার ২৭১ টাকা জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের তথ্য পাওয়া গেছে, যা তিনি অবৈধ পন্থায় অর্জন করেছেন। জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের সহকারী পরিচালক মো. মোশাররফ হোসেন বাদী হয়ে তাঁদের বিরুদ্ধে পৃথক ওই মামলা করেন।
এ বিষয়ে দুদকের যশোর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে উপ-পরিচালক মো. নাজমুচ্ছায়াদাত মামলা হওয়ার বিষয়টি নিশ্চত করে বলেন, অনুসন্ধান করে আবিদুল ইসলামের সম্পদের ৮৮ দশমিক ৯০ ভাগ ও তাঁর স্ত্রীর সম্পদের ৯৪ দশমিক ৭৫ ভাগ জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে। এখন এ বিষয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আবিদুল ইসলাম ওই ইউনিয়নের পাইকড়া গ্রামের মৃত সৈয়দ আকবর আলীর ছেলে। তাঁর সঙ্গে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আ’লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী স্বদ্য বহিষ্কৃত মোঃ নাসির উদ্দীন ও আল ইমাম সিকদার, স্বতন্ত্র প্রার্থী সজীব মোল্লা এবং ইসলামী আন্দোলনের মোঃ হাফিজুর রহমান।
সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ব্যবসায়ী আবিদুল ইসলাম বলেন,‘দুদকের মামলার বিষয়ে আমার জানা নেই। তিনি নির্বাচনে বিজয়ের ব্যাপারে শতভাগ নিশ্চিত বলে জানান। জানা যায়, গতবারও আবিদুল ইসলাম এ ইউনিয়নে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করে বিদ্রোহী প্রার্থী শহিদুর রহমান মিনার কাছে পরাজিত হয়েছিলেন।