স্টাফ রিপোর্টার
নড়াইলের কালিয়া উপজেলার হামিদপুর ইউনিয়নের ৫নং সাধারণ ওয়ার্ডে মেম্বর পদে ভোট গননায় কারচুপির অভিযোগ এনে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন লালন খান (ফুটবল প্রতীক) নামের এক মেম্বর প্রার্থী। বুধবার বেলা ১২টায় শহরের আরজে এফ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে লালন খান বলেন, ভোমবাগ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে গত ২৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচনে মেম্বর প্রার্থী নির্বাচনে ভোট গননায় কারচুপির আশ্রয় নিয়ে পরিকল্পিতভাবে আমাকে মাত্র তিন ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করে তালা প্রতীকের প্রার্থী এম,সাইফুল ইসলামকে বিজয়ী করার ব্যাপারে সহযোগিতা করেছেন সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার মো: মাকসুদুল হাসান পলাশ। তিনি (প্রিজাইডিং অফিসার) আমাকে হারানোর লক্ষ্যে এ কেন্দ্রে মোট কাষ্ট হওয়া একহাজার তিনশত এক ভোটের মধ্যে ৩৩টি ভোট বাতিল বলে ঘোষণা করে তা গননা থেকে বাদ রাখেন। বাতিল সনাক্ত করা ৩৩ ভোটের মধ্যে আমার ফুটবল প্রতীকের ভোট ছিল ৭টি এবং বিজয়ী এম সাইফুল ইসলামের তালা প্রতীকের ভোট ছিল ২টি। ওইদিন ভোট গননা শেষে মাত্র তিনভোটের ব্যবধানে আমাকে পরাজয় ঘোষণা করা হলে বিষয়টি আমার কাছে, আমার নির্বাচনী এজেন্ট খান মঞ্জুরুল হক ও সমর্থকদের কাছে সন্দেহাতীত ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়।আমি ও আমার নির্বাচনী এজেন্ট খান মঞ্জুরুল হক তাৎক্ষনিক ভোট পুন:গণনার জন্য কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসারের কাছে আবেদন জানাই।তিনি ভোট পুন:গণনার ব্যাপারে গড়িমসি করতে থাকেন। আমি ও আমার এজেন্ট এবং সমর্থকদের জোর দাবির প্রেক্ষিতে এক পর্যায়ে তিনি (প্রিজাইডিং অফিসার) বলেন আপনারা ভোট পুন:গননার জন্য কালিয়া উপজেলা রিটার্নিং অফিসারের কাছে আবেদন করেন। আমি ওইদিন উপজেলা রিটার্নিং অফিসারের কাছে পুন:গণনার জন্য আবেদন জানালে তিনি জানান, সাধারণ মেম্বরের ভোট পুন:গণনার এখতিয়ার আমার নেই।
এ ব্যাপারে প্রিজাইডিং অফিসার মো: মাকসুদুল হাসান পলাশ জানান, ভোমবাগ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে মেম্বর কিংবা চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বীতাকারী প্রার্থীদের ভোট গননায় কোন ধরনের কারচুপি হয়নি।প্রার্থীদের নির্বাচনী এজেন্টদের সামনে ভোট নিয়ম মাফিক গননা শেষে ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে।তিনি আরো জানান ভোমবাগ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে মোট ভোটারের সংখ্যা ১,৮৫৪জন।প্রাপ্ত বৈধ ভোটের সংখ্যা ১,৩০১জন। অনুপস্থিত ভোটারের সংখ্যা ৫৫৩জন। বাতিলকৃত ভোটের সংখ্যা ৩৩।এ কেন্দ্রে ভোট হওয়া ৫নং ওয়ার্ডে ৩১২ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন এম,সাইফুল ইসলাম।তার নিকটতম প্রতিদ্ব/ন্দ্বী লালন খান পেয়েছেন ৩০৯ ভোট।
হামিদপুর ইউনিয়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত রিটার্নিং অফিসার স্বপন কুমার দাস বলেন, সাধারন মেম্বর পদের ভোট পুন:গণনার এখতিয়ার আমার নেই। ভোট পুঃন গণনা জন্য ওই পরাজিত প্রার্থীকে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে আবেদন করার জন্য পরামর্শ দিয়েছি।